[Featured Post][featured][recent][5]

জনপ্রিয় পোস্ট

মারিয়ানা’স ওয়েব কি? ইন্টারনেট এর এই সবচেয়ে রহস্যময় ও অন্ধকার স্থান সম্পর্কে জানুন

অনেকেই হয়ত মারিয়ানা'স ওয়েব এর নাম শুনেছেন; আবার অনেকে হয়ত শুনেন নি। মারিয়ানা'স ওয়েব আসলে কি? আমরা কি মারিয়ানা'স ওয়েব সার্ফ ক...

খালেদার মদদেই এরশাদ ক্ষমতায় যান
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, তার মদদ ছাড়া এরশাদ ক্ষমতা নেয়ার সাহস পেলেন কিভাবে? জিয়া হত্যার পর উনি (খালেদা) এরশাদের কাছ থেকে দুটো বাড়ি, গাড়ি, অর্থসহ সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিয়েছেন। আর এরশাদ সাহেব ভাবি সাহেবের যত্ন করতে একটুও কার্পণ্য করেননি। তাহলে রহস্যটা কী? আওয়ামী লীগের ওপর জিয়া খুনের দায় চাপানোর বিষয়ে বিএনপি নেত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতদিন পর উনি আবিষ্কার করলেন তার স্বামী হত্যার সঙ্গে নাকি আমরা জড়িত। কিন্তু আমরা কেন খুন করতে যাব। খুন তো বিএনপি নেত্রীরই অভ্যাস, খুন করতে তারাই পারদর্শী। তিনি নিজে খুনি, তার স্বামী জিয়াউর রহমান খুনি, ছেলে খুনি, পুরো পরিবারই খুনি।

গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিশাল জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির শেষ দিনে গতকাল এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। এ আলোচনাসভা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। দুপুরের পর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশ্যে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা ও ইউনিয়ন থেকে শত শত মিছিল আসতে থাকে। শেখ হাসিনা ৪টা ২২ মিনিটে জনসভাস্থলে পৌঁছেন। এর আগেই পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়। বিদেশিদের কাছে কান্নাকাটি করে দেশের বদনাম করা থেকে বিরত থাকার জন্য খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে যারা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আসেনি, নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি তারা দেশের মানুষের সমর্থন না পেয়ে বিদেশি প্রভুদের পা ধরে কান্নাকাটি শুরু করেছে। তবে আওয়ামী লীগ কখনো বিদেশি প্রভুদের পা ধরে না। এদেশের মানুষের উপর ভরসা করে আওয়ামী লীগ। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যারা সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে আবোল-তাবোল বকে যাচ্ছে তাদের ব্যথা কেথায় তা বুঝি। তবে ভুল করলে তো খেসারত দিতেই হবে।

সুইস ব্যাংকে পাচারকৃত সকল অর্থ ফেরত আনার ঘোষণা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সুইস ব্যাংকে কার কার টাকা আছে সে ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। কার কার টাকা আছে তালিকা আনবো। বিএনপি নেত্রীর এক পুত্রের টাকা যেমন ফেরত এনেছি, তেমনি এ টাকাও ফেরত আনব। তিনি বলেন, শুধু সুইস ব্যাংক কেন, বিশ্বের যেখানেই অর্থ পাচার করা হয়েছে সব তথ্যই আমরা জোগাড় করার চেষ্টা করছি। উনার ছেলের পাচারকৃত অর্থ সুইস ব্যাংকেও আছে কি না জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখানে উনারও (খালেদা) টাকা রয়েছে, উনিও যে ধরা খাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে নির্বিচারে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা ও রাষ্ট্রের সম্পদ ধ্বংস কার নির্দেশে হয়েছে? খালেদা জিয়ার নির্দেশেই জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি এসব হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও সুরক্ষায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা তো অনেক চেষ্টা করেছি। আলাপ-আলোচনা টেলিফোন সবই করেছি। কিন্তু টেলিফোন ধরতেই তার কয়েক ঘণ্টা লাগে। টেলিফোনে তাঁর (খালেদা জিয়া) কথা ও ঝাড়িমারা দেশবাসী শুনেছে। তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় একাত্তরের কায়দায় বিএনপি-জামায়াত যেভাবে মানুষ হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ করেছে, ঠিক একই কায়দায় ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকাতে আন্দোলনের নামে তারা মানুষ হত্যা, নির্যাতন করেছে। মূলত বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না। এ কারণে একাত্তরের পরাজিতদের দোসর হিসেবে খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে কাজ করেছেন। একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিলেন। আসলে তার মনে এখনো আছে সেই পেয়ারে পাকিস্তান।

ওয়ান ইলেভেনের জন্য খালেদা জিয়াকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় থাকতে তাঁর দুঃশাসন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, বিদেশে অর্থ পাচার, জঙ্গীবাদ সৃষ্টি, বাংলা ভাই সৃষ্টি, ৫ শ' স্থানে বোমা হামলা, বৃটিশ হাই কমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলা এসব কারণেই দেশে ওয়ান ইলেভেন এসেছিল। আর সেনা সমর্থিত সেই সরকারের দুই বছরে দেশের সকল মানুষকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

জিয়া হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জিয়া হত্যার পর একটি বাক্স আনা হলো। সেই বাক্সে কী ছিল? সেই বাক্সে লাশ আছে কি না সেটাও তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দেখলেন না কেন? তার ছেলের বয়স তো তখন ১৪/১৫ হবে। ছেলেও কেন তার মৃত বাবার মুখ দেখতে চায়নি? আসলে এর পেছনে রহস্যটা কী? তিনি বলেন, জিয়া হত্যাকাণ্ডের ৯ বছর পর খালেদা জিয়া '৯০ সালে গুলিস্তানের একটি সমাবেশ থেকে দাবি করলেন তাঁর স্বামীর হত্যাকারী নাকি জেনারেল এরশাদ! এতোদিন পর তার এটি মনে হলো? প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেনারেল জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর একমাত্র আমিই প্রথম বিবৃতি দিয়ে সাংবিধানিক ক্ষমতা যাতে ব্যাহত না করা হয় সেই আহ্বান করেছিলাম। অন্য কেউ মুখ খোলারও সাহস পায়নি। এরপর দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক করে সবরকম চেষ্টা করেছি যাতে গণতন্ত্র ব্যাহত না হয়, সামরিক শাসন জারি করা না হয়। তিনি বলেন, জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জেনারেল এরশাদও ক্ষমতা গ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জেনারেল জিয়া বন্দুকের নল ধরে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তার যে নলে আগমন ঘটেছিল সেই নলেই গমন হয়েছে। এই জেনারেল জিয়া নির্বাচিত নন, ঘোষিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণাকারী খুনি মোশতাক সেনাপ্রধান হিসেবে জিয়াকেই বেছে নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার দোসর কে ছিল এতেই তা পরিষ্কার হয়। বঙ্গবন্ধুই এই জিয়াকে তাঁর পরিবার রক্ষার স্বার্থে উপ-সেনাপ্রধান করে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এনেছিলেন। অথচ মোশতাকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জিয়াও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে গাদ্দারি করেন। আর বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল ফারুকও বিবিসিতে সাক্ষাত্কার দিয়ে জিয়া যে জড়িত ছিল তা স্বীকার করেছে। ফারুক বলেছে, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যার আগে জেনারেল জিয়ার সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে, জিয়া তাদের সফলতা কামনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই জিয়াই খুনীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেন। এর কী অর্থ দাঁড়ায়?

জিয়াউর রহমানের শাসনামলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়ার বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতা দখলের পর সামরিক বাহিনীতে ১৮/১৯টি ক্যু হয়। প্রতিটি ক্যু-এর পর জেনারেল জিয়া হাজার হাজার সেনা অফিসার ও সৈনিককে নির্বিচারে হত্যা করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ যাতে স্বাধীনতার সুফল পেতে না পারে সে জন্য জিয়া একে একে সকল প্রতিষ্ঠানকে ও চেতনাকে ধ্বংস করেছিলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর বার বার আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে ও ভাঙ্গতে জেনারেল জিয়াও অনেক চেষ্টা করেন, কিন্তু পারেননি। আওয়ামী লীগ হীরের টুকরোর মতো। যতই কাটবে ততই উজ্জ্বল আলোকরশ্মি বের হবে। আর এ আলোকরশ্মিতে বাঙালি জাতি উদ্ভাসিত হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে বাঙালি জাতি দ্বারা গঠিত সংগঠন। সেই সংগঠনকে বার বার আঘাত করেও কেউ দমাতে পারেনি। শত ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করেই আওয়ামী লীগ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, জনগণের জন্য কাজ করেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে হত্যা করতে বারবার হামলা চালানো হয়েছে। চট্টগ্রামে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হামলায় আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। অথচ খালেদা জিয়া সেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পুলিশ অফিসার হুদাকে পদোন্নতি দেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা করেন খালেদা জিয়া। উনি অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া, সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার, মমতাজ উদ্দিনসহ শত শত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছেন। আর সর্বশেষ নির্বাচন ঠেকাতে খালেদা জিয়া একাত্তরের কায়দায় দেশের মানুষকে নির্যাতন করেছেন, নির্মম-নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগ করে তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ কিছু পায়। আর যারা ক্ষমতা দখলকারী, উড়ে এসে জুড়ে বসে তারা ক্ষমতায় আসলে শুধু নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করে। জিয়া হত্যার পর রেখে যাওয়া ভাঙ্গা-স্যুটকেস ছেঁড়াগেঞ্জি যাদুর বাক্স হয়ে গিয়েছিল। সেই যাদুর বাক্স থেকে শুধু সম্পদ বের হয়, জিয়া পরিবার অসংখ্য ব্যাংক-প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছে, বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে। বিএনপি নেত্রী ২/৩ লাখ টাকার দামি শিফন শাড়ি পরে ঘুরে বেড়ান। এতো অর্থ তিনি কোথায় পেলেন? দুর্নীতি করেই তারা এত সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণকে দেয়, আর বিএনপি ক্ষমতায় এসে জনগণের অর্থ-সম্পদ লুটে নিয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে প্রথম জনগণ উপলব্ধি করেন, সরকার মানে জনগণের সেবক।

শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের অর্থেই পদ্মা সেতু করছি। আমরা কারো কাছে মাথানত করবো না ইনশাল্লাহ। কয়েকদিনের মধ্যেই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। বাংলাদেশ আজ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অর্থনীতি আজ খুবই শক্তিশালী। বর্তমানে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বিশ্বের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ, শক্তিশালী অর্থনৈতিক উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। ইনশাল্লাহ আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলবো।

জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাহরা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ডা. দীপু মনি, এম এ আজিজ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রমুখ। মঞ্চে দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জনসভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে দেশের প্রথিতযশা শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এখন অতীত ইতিহাস। এটি আর কোন দিন ফিরে আসবে না। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি নেত্রীকে সংলাপে ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তিনি সাড়া না দিয়ে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিলেন। এখন সংলাপ চায়, কিন্তু সংলাপ হবে না। নির্বাচন হবে ২০১৯ সালে। আর ওই নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনেই। ওই নির্বাচনে আগে সংলাপ হতে পারে।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিএনপি নেত্রীর সমালোচনা করে বলেন, যখন ভারতের রাষ্ট্রপতি দেশে এসেছিলেন তখন হরতালের দোহাই দিয়ে বিএনপি নেত্রী তার সাথে দেখা করেননি। আর এখন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসার খবর শুনে বিএনপি নেত্রী দেখা করার জন্য আগেভাগেই বসেছিলেন, জামদানি শাড়িও কিনে রাখেন। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী নির্বাচনে না এসে হেরে গিয়ে এখন বুঝতে পারছেন শেখ হাসিনা কি জিনিস। একেই বলে রাজনীতি, একেই বলে কূটনীতি।

কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে। যতদিন দেশের জনগণ থাকবে ততদিন আওয়ামী লীগ থাকবে।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, সরকার, রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যম এই তিনটি হচ্ছে গণতন্ত্রের জন্য প্রধান স্তম্ভ। সবাই মিলে একত্রিত হয়ে গণতন্ত্রের এই অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হবে। এখানে কেউ একজন যদি আমরা ভুল করি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য ভয়াবহ রূপ আসতে পারে। তিনি বলেন, অনেকে না বুঝে না জেনে গণতান্ত্রিক যাত্রাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। সরকারের যেমন গণমাধ্যমের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি গণমাধ্যমেরও সরকারের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করার প্রয়োজন রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের উপ-নির্বাচন ঘিরে সংবাদ পরিবেশনে কয়েকটি দৈনিকের 'পক্ষপাতিত্বের' সমালোচনা করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, সংবাদ মাধ্যম কোনো পক্ষ নিলে তাদের আর নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে খবর প্রকাশের নীতিতে থাকে না। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে উপ-নির্বাচন আসার সঙ্গে সঙ্গে কিছু মহল সারা বাংলাদেশে অতি চিত্কার শুরু করলো, এটা একটা নিছক মামুলি উপ-নির্বাচন। প্রথমে আওয়ামী লীগকে সেখানে জড়ানোর চেষ্টা করা হলো। না পেরে তারা বললো, এই উপ-নির্বাচন একদিকে নারায়ণগঞ্জবাসীর, আরেক দিকে ওসমান পরিবার। ওই নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুঃখের বিষয় কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা সেই নির্বাচনটাকে ওসমান পরিবার বনাম নারায়ণগঞ্জবাসীর এভাবে উল্লেখ করতে চেয়েছিল। আমার আসলে দুঃখ হয়, তারা ওসমান পরিবার সম্পর্কে কিছু জানে না বা জানলেও অজানার ভাব করে। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবার আওয়ামী লীগের। এই ওসমান পরিবারকে, এই খান সাহেব ওসমানকে আমরা আওয়ামী লীগের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারবো না। খান সাহেব ওসমান আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। আওয়ামী লীগের জন্মের অন্যতম স্থান এই নারায়ণগঞ্জ। এই ওসমান পরিবারে আজ পর্যন্ত যারা রাজনীতি করেছেন, তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

Post a Comment