শুরু হচ্ছে নকআউট পর্ব
সোহেল সারোয়ার চঞ্চল, ব্রাজিল থেকে
একদিন বিরতির পর আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের নকআউট পর্ব। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় ব্রাজিল-চিলির ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্টের সবচাইতে চিত্তাকর্ষক এই পর্ব। ব্রাজিল সহজেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে এমনটা প্রত্যাশা নিয়েই স্টেডিয়ামে ও টেলিভিশনের সামনে আজ বসবেন ব্রাজিল সমর্থকরা। নেইমারের আলো ছড়ানো ফুটবল শৈলী আর ব্রাজিলের সেই চিরায়ত ছন্দময় খেলা উপভোগের জন্য যেন প্রতীক্ষার প্রহর গুণছে গোটা ফুটবল বিশ্ব।
এই দুই দেশের ফুটবল অতীত বলে ব্রাজিলের সামনে চিলি কখনোই উজ্জ্বলতা ছড়াতে পারেনি। যদিও দুই দলের মধ্য ৬৮ বার দেখা হয়েছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১০ বার। বিশ্বকাপ চূড়ান্ত পর্বে তিনবার, দক্ষিণ আমেরিকান আঞ্চলিক ফুটবলে ২১ বার, প্রীতি ম্যাচে ৩৪ বার তারা মুখোমুখি হয়। এর মধ্যে ব্রাজিলের জয়ের পাল্লাই বেশি ভারী। জিতেছে ৪৮ বার। চিলির জয় ৭টি। ড্র ১৩টি। চিলি নিজেদের মাঠে২০০২ জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই পর্বে ৩-০ গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে শেষ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল। আর ২০১৩ সালে বেলে হরিজোন্তের (আজ যেখানে খেলা হবে) মাঠে অনুষ্ঠিত কনফেডারেশন কাপ ফুটবলে ব্রাজিল-চিলি ম্যাচটি গোল শূন্য ড্র হয়। পরিসংখ্যান বলে চিলি এবং ব্রাজিলের ফুটবল পার্থ্যকটা অনেক। ব্রাজিল এগিয়ে। তারপরও আজ রাতে দুই দেশের ফুটবল যুদ্ধে যদি চিলি ব্রাজিলকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েই ফেলে তাহলে সেটা হবে বড় চমক।
লাওনেল সানচেজ, হুয়ান কালোর্স, ইভান জামারানো, মার্সালো সালাসরার মতো গুণী ফুটবলারদের বিদায়ের পর চিলির ফুটবলটা যেন বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তার উপর যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলতে পারেনি সাসপেনশনের কারণে। অনেকটাই দূরে চলে গিয়েছিল চিলির ফুটবল। তাই এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপ ফুটবলে চিলি ছিল আলোচনার বাইরে। 'বি' গ্রুপ থেকে নেদারল্যান্ডসের কাছে হার (২-০) দিয়ে শুরু করা চিলি দ্বিতীয় ম্যাচে চমক দেয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়ে (২-০)। তৃতীয় ম্যাচে (৩-১) অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে নকআউট পর্বে উঠেই দেখে সামনে ব্রাজিল দাঁড়িয়ে। ভাইডাল, সানচেজ, ভারগাসদের তো মাথায় হাত। আবার সেই ব্রাজিল। চিলি কিভাবে ব্রাজিলের ফুটবল শক্তির পাহাড় টপকাবে তা বুঝে উঠতে পারছে না। কারণটা সবার জানা। চিলি দুই ম্যাচে ৫ গোল করলেও তাদের খেলায় ধারাবাহিকতা নেই। চিলির ফরমেশন ৩-৪-১-২। তারপরও চিলির আক্রমণ ডায়নামিক না বলে ব্রাজিলের ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ব্রাজিলকে মোকাবিলা করতে হবে কাউন্টার অ্যাটাকে। ৩ ম্যাচে ৪ গোল করা সুযোগ সন্ধানী স্ট্রাইকার নেইমার যেভাবে পিক ফর্মে রয়েছেন তাতে এই স্ট্রাইকারকে সামাল দেয়াটাই কঠিন হয়ে যাবে চিলির গোলকিপার অধিনায়ক ব্রাভোর জন্য। নেইমার তো বলেই দিয়েছেন 'চিলি যেভাবে খেলে মনে হয় ঝড়ের মতো খেলছে। এটা কেমন খেলা আমি বুঝতে পারি না।'
চিলির ফুটবলের দায়িত্বে রয়েছেন চার আর্জেন্টাইন কোচিং স্টাফ। কোচ সামপওলি কিভাবে আজ ব্রাজিলকে মোকাবেলা করে টিকে থাকবেন, তা বলা কঠিন। কোন পদ্ধতিতে খেলাবেন সেটা প্রকাশও করেননি। তবে তাদের লক্ষ্য নেইমারকে ঠেকাতে হবে। অবশ্য চিলিকে নিয়ে খুব বেশি ভাবছে না ব্রাজিল। বৃহস্পতিবার দলের অনুশীলন খুব একটা হয়নি। ২০১১ সালে রিওতে ঘটে যাওয়া একটা দুর্ঘটনার শিকার পরিবারের স্বজনদের ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের অনুশীলন শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে নেইমার সবার সাথে কথা বলেছেন। নিজের ফুটবল শৈলী দেখিয়ে আনন্দ দিয়েছেন। হুইল চেয়ারে বসা ১৩ বছরের বালকের জার্সিতে অটোগ্রাফও দিয়েছেন নেইমার।
ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেয় চিলি। সব মিলিয়ে ৫ বার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় হয় চিলি। শুধু একবার ৬২ সালে চিলি নিজেদের ঘরের মাঠে তৃতীয় হয়েছিল। সাফল্য বলতে এটাই। প্রতিবারই গ্রুপ পর্বেই চিলি থেমে গিয়েছিল। ৬২ সালে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে দারুণ এক লড়াই হয়েছিল। সেই খেলায় ৪-২ গোলে হেরে যায় চিলি। এছাড়া চিলি যে কয়বার কোনো রকমে নকআউট পর্বে উঠেছিল, সেখানেও ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়ে বিদায় নিতে হয়েছে পর পর দুই বার। ৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ব্রাজিলের কাছে ৪-১ এবং ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ফুটবলের নকআউট পর্বে ৩-০ গোলে হেরে বিদায় নেয় চিলি। কোনো ভাবেই ব্রাজিলকে এড়াতে পারছে না দেশটি। কী দুর্ভাগ্য, এবারও তাই হয়েছে। কথায় বলে পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে। চিলির অবস্থাটা যেন তেমনই হয়েছে। এবার নিয়ে টানা তিনবার বিশ্বকাপ ফুটবলে নকআউট পর্বে চিলি পড়লো ব্রাজিলের মুখে।
এদিকে নকআউট পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচটি (কলম্বিয়া-উরুগুয়ে) অনুষ্ঠিত হবে আজ রাত দুইটায়।
দ্বিতীয় রাউন্ড
ব্রাজিল-চিলি, রাত ১০টা
কলম্বিয়া-উরুগুয়ে , রাত ২টা
সোহেল সারোয়ার চঞ্চল, ব্রাজিল থেকে
একদিন বিরতির পর আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের নকআউট পর্ব। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় ব্রাজিল-চিলির ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্টের সবচাইতে চিত্তাকর্ষক এই পর্ব। ব্রাজিল সহজেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে এমনটা প্রত্যাশা নিয়েই স্টেডিয়ামে ও টেলিভিশনের সামনে আজ বসবেন ব্রাজিল সমর্থকরা। নেইমারের আলো ছড়ানো ফুটবল শৈলী আর ব্রাজিলের সেই চিরায়ত ছন্দময় খেলা উপভোগের জন্য যেন প্রতীক্ষার প্রহর গুণছে গোটা ফুটবল বিশ্ব।
এই দুই দেশের ফুটবল অতীত বলে ব্রাজিলের সামনে চিলি কখনোই উজ্জ্বলতা ছড়াতে পারেনি। যদিও দুই দলের মধ্য ৬৮ বার দেখা হয়েছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১০ বার। বিশ্বকাপ চূড়ান্ত পর্বে তিনবার, দক্ষিণ আমেরিকান আঞ্চলিক ফুটবলে ২১ বার, প্রীতি ম্যাচে ৩৪ বার তারা মুখোমুখি হয়। এর মধ্যে ব্রাজিলের জয়ের পাল্লাই বেশি ভারী। জিতেছে ৪৮ বার। চিলির জয় ৭টি। ড্র ১৩টি। চিলি নিজেদের মাঠে২০০২ জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই পর্বে ৩-০ গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে শেষ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল। আর ২০১৩ সালে বেলে হরিজোন্তের (আজ যেখানে খেলা হবে) মাঠে অনুষ্ঠিত কনফেডারেশন কাপ ফুটবলে ব্রাজিল-চিলি ম্যাচটি গোল শূন্য ড্র হয়। পরিসংখ্যান বলে চিলি এবং ব্রাজিলের ফুটবল পার্থ্যকটা অনেক। ব্রাজিল এগিয়ে। তারপরও আজ রাতে দুই দেশের ফুটবল যুদ্ধে যদি চিলি ব্রাজিলকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েই ফেলে তাহলে সেটা হবে বড় চমক।
লাওনেল সানচেজ, হুয়ান কালোর্স, ইভান জামারানো, মার্সালো সালাসরার মতো গুণী ফুটবলারদের বিদায়ের পর চিলির ফুটবলটা যেন বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তার উপর যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলতে পারেনি সাসপেনশনের কারণে। অনেকটাই দূরে চলে গিয়েছিল চিলির ফুটবল। তাই এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপ ফুটবলে চিলি ছিল আলোচনার বাইরে। 'বি' গ্রুপ থেকে নেদারল্যান্ডসের কাছে হার (২-০) দিয়ে শুরু করা চিলি দ্বিতীয় ম্যাচে চমক দেয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়ে (২-০)। তৃতীয় ম্যাচে (৩-১) অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে নকআউট পর্বে উঠেই দেখে সামনে ব্রাজিল দাঁড়িয়ে। ভাইডাল, সানচেজ, ভারগাসদের তো মাথায় হাত। আবার সেই ব্রাজিল। চিলি কিভাবে ব্রাজিলের ফুটবল শক্তির পাহাড় টপকাবে তা বুঝে উঠতে পারছে না। কারণটা সবার জানা। চিলি দুই ম্যাচে ৫ গোল করলেও তাদের খেলায় ধারাবাহিকতা নেই। চিলির ফরমেশন ৩-৪-১-২। তারপরও চিলির আক্রমণ ডায়নামিক না বলে ব্রাজিলের ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ব্রাজিলকে মোকাবিলা করতে হবে কাউন্টার অ্যাটাকে। ৩ ম্যাচে ৪ গোল করা সুযোগ সন্ধানী স্ট্রাইকার নেইমার যেভাবে পিক ফর্মে রয়েছেন তাতে এই স্ট্রাইকারকে সামাল দেয়াটাই কঠিন হয়ে যাবে চিলির গোলকিপার অধিনায়ক ব্রাভোর জন্য। নেইমার তো বলেই দিয়েছেন 'চিলি যেভাবে খেলে মনে হয় ঝড়ের মতো খেলছে। এটা কেমন খেলা আমি বুঝতে পারি না।'
চিলির ফুটবলের দায়িত্বে রয়েছেন চার আর্জেন্টাইন কোচিং স্টাফ। কোচ সামপওলি কিভাবে আজ ব্রাজিলকে মোকাবেলা করে টিকে থাকবেন, তা বলা কঠিন। কোন পদ্ধতিতে খেলাবেন সেটা প্রকাশও করেননি। তবে তাদের লক্ষ্য নেইমারকে ঠেকাতে হবে। অবশ্য চিলিকে নিয়ে খুব বেশি ভাবছে না ব্রাজিল। বৃহস্পতিবার দলের অনুশীলন খুব একটা হয়নি। ২০১১ সালে রিওতে ঘটে যাওয়া একটা দুর্ঘটনার শিকার পরিবারের স্বজনদের ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের অনুশীলন শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে নেইমার সবার সাথে কথা বলেছেন। নিজের ফুটবল শৈলী দেখিয়ে আনন্দ দিয়েছেন। হুইল চেয়ারে বসা ১৩ বছরের বালকের জার্সিতে অটোগ্রাফও দিয়েছেন নেইমার।
ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেয় চিলি। সব মিলিয়ে ৫ বার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় হয় চিলি। শুধু একবার ৬২ সালে চিলি নিজেদের ঘরের মাঠে তৃতীয় হয়েছিল। সাফল্য বলতে এটাই। প্রতিবারই গ্রুপ পর্বেই চিলি থেমে গিয়েছিল। ৬২ সালে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে দারুণ এক লড়াই হয়েছিল। সেই খেলায় ৪-২ গোলে হেরে যায় চিলি। এছাড়া চিলি যে কয়বার কোনো রকমে নকআউট পর্বে উঠেছিল, সেখানেও ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়ে বিদায় নিতে হয়েছে পর পর দুই বার। ৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ব্রাজিলের কাছে ৪-১ এবং ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ফুটবলের নকআউট পর্বে ৩-০ গোলে হেরে বিদায় নেয় চিলি। কোনো ভাবেই ব্রাজিলকে এড়াতে পারছে না দেশটি। কী দুর্ভাগ্য, এবারও তাই হয়েছে। কথায় বলে পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে। চিলির অবস্থাটা যেন তেমনই হয়েছে। এবার নিয়ে টানা তিনবার বিশ্বকাপ ফুটবলে নকআউট পর্বে চিলি পড়লো ব্রাজিলের মুখে।
এদিকে নকআউট পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচটি (কলম্বিয়া-উরুগুয়ে) অনুষ্ঠিত হবে আজ রাত দুইটায়।
দ্বিতীয় রাউন্ড
ব্রাজিল-চিলি, রাত ১০টা
কলম্বিয়া-উরুগুয়ে , রাত ২টা
Post a Comment