পনের দিনের মধ্যে সর্বদলীয় সরকার
তালুকদার হারুন : শিগগিরই সর্বদলীয় সরকার গঠন হচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন এই সর্বদলীয় সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সরকার গঠনের আগেই বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যরা পদত্যাগ করবেন। এ লক্ষে আগামী সাতদিনের মধ্যে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র জমাদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব আলোচনা হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সর্বদলীয় সরকার গঠনের স্বার্থে এই পদত্যাগপত্র জমা দিচ্ছি’ উল্লেখ করে মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগপত্র লিখতে হবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সবাইকে পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর এ প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, সর্বদলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তারা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, সর্বদলীয় সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৭ নভেম্বর শ্রীলংকা সফর শেষে দেশে ফেরার পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তিনি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন। কবে নাগাদ সর্বদলীয় সরকার হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমিতো আগেই বলেছি, নির্বাচন ঘোষণার ৪৫ দিনের মধ্যে সর্বদলীয় সরকার গঠন করতে হবে। সেটি ১০ দিন আগে হতে পারে ৫ দিন আগেও হতে পারে। আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরাতো বলেছি, কোন কোন মন্ত্রণালয় আপনারা চান আমরা দিতে প্রস্তুত। এমনকি আমার অর্থ মন্ত্রণালয় চাইলেও পাবেন। তবে সরকার প্রধান হবেন ক্ষমতাসীন দল থেকে। এটি মানতেই হবে।
এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, সর্বদলীয় সরকারে বিএনপি কখনো অংশ নেবে না। এছাড়া ওই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না দলটি। তিনি গতকাল সোমবার নয়া পল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, নির্দলীয় সরকারের দাবীর প্রতি কোনো সাড়া না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা বারবার বলছেন। এ ঘোষণা রাজনীতিকে আরো সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে।
সূত্র জানায়, নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই সর্বদলীয় সরকারের সদস্য হবেন। তবে বিএনপি নির্বাচনে এলে সর্বদলীয় সরকারের কাঠামো বাড়বে। সর্বদলীয় সরকারে নতুন মুখের প্রাধান্য থাকবে। নভেম্বরের শেষের দিকে নির্বাচনের তফসিল এবং জানুয়ারির শুরুর দিকে নির্বাচনের সম্ভাবনা বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। সর্বদলীয় সরকার গঠনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে কথা বলবেন। সর্বদলীয় সরকারের কাঠামো কী হবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো মন্ত্রী কিছু বলছেন না। তারা জানান, এটি নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর। সর্বদলীয় সরকারে জামায়াতের কোনো সদস্য থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়াও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী জোট যেসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে তা অতি সতর্কতার সাথে মোকাবেলা করতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বদলীয় সরকারের অধীনে সময় মতো আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে বিরোধী দল বিএনপিও অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলকে নিয়েই সর্বদলীয় সরকার গঠনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। এ জন্যই আপনাদের পদত্যাগপত্র আমার কাছে জমা রেখে সর্বদলীয় সরকার গঠনের পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, তবে কারো জন্য অপেক্ষা না করে সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা বদ্ধপরিকর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলের হরতালকে অহেতুক ও অযৌক্তিক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এ হরতালে মানুষ হত্যা আর গাড়ি পোড়ানো ছাড়া তারা কিছু অর্জন করতে পারবে না। তিনি হরতালের নামে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করেন। বৈঠকে বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের ব্যাপারে মন্ত্রিসভার সদস্যরা তাদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনার বিষয় উল্লেখ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া টেলিফোনের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে জামায়াতের চাপে হরতাল অব্যাহত রেখে সংলাপের পথরুদ্ধ করে রেখেছেন। তারপরও বিরোধীদলীয় নেত্রীর প্রতি আমার আহ্বান হরতাল প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসুন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের উপায় খুঁজে বের করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি।
তালুকদার হারুন : শিগগিরই সর্বদলীয় সরকার গঠন হচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন এই সর্বদলীয় সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সরকার গঠনের আগেই বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যরা পদত্যাগ করবেন। এ লক্ষে আগামী সাতদিনের মধ্যে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র জমাদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব আলোচনা হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সর্বদলীয় সরকার গঠনের স্বার্থে এই পদত্যাগপত্র জমা দিচ্ছি’ উল্লেখ করে মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগপত্র লিখতে হবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সবাইকে পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর এ প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, সর্বদলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তারা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, সর্বদলীয় সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৭ নভেম্বর শ্রীলংকা সফর শেষে দেশে ফেরার পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তিনি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন। কবে নাগাদ সর্বদলীয় সরকার হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমিতো আগেই বলেছি, নির্বাচন ঘোষণার ৪৫ দিনের মধ্যে সর্বদলীয় সরকার গঠন করতে হবে। সেটি ১০ দিন আগে হতে পারে ৫ দিন আগেও হতে পারে। আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরাতো বলেছি, কোন কোন মন্ত্রণালয় আপনারা চান আমরা দিতে প্রস্তুত। এমনকি আমার অর্থ মন্ত্রণালয় চাইলেও পাবেন। তবে সরকার প্রধান হবেন ক্ষমতাসীন দল থেকে। এটি মানতেই হবে।
এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, সর্বদলীয় সরকারে বিএনপি কখনো অংশ নেবে না। এছাড়া ওই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না দলটি। তিনি গতকাল সোমবার নয়া পল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, নির্দলীয় সরকারের দাবীর প্রতি কোনো সাড়া না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা বারবার বলছেন। এ ঘোষণা রাজনীতিকে আরো সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে।
সূত্র জানায়, নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই সর্বদলীয় সরকারের সদস্য হবেন। তবে বিএনপি নির্বাচনে এলে সর্বদলীয় সরকারের কাঠামো বাড়বে। সর্বদলীয় সরকারে নতুন মুখের প্রাধান্য থাকবে। নভেম্বরের শেষের দিকে নির্বাচনের তফসিল এবং জানুয়ারির শুরুর দিকে নির্বাচনের সম্ভাবনা বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। সর্বদলীয় সরকার গঠনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে কথা বলবেন। সর্বদলীয় সরকারের কাঠামো কী হবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো মন্ত্রী কিছু বলছেন না। তারা জানান, এটি নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর। সর্বদলীয় সরকারে জামায়াতের কোনো সদস্য থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়াও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী জোট যেসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে তা অতি সতর্কতার সাথে মোকাবেলা করতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বদলীয় সরকারের অধীনে সময় মতো আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে বিরোধী দল বিএনপিও অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলকে নিয়েই সর্বদলীয় সরকার গঠনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। এ জন্যই আপনাদের পদত্যাগপত্র আমার কাছে জমা রেখে সর্বদলীয় সরকার গঠনের পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, তবে কারো জন্য অপেক্ষা না করে সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা বদ্ধপরিকর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলের হরতালকে অহেতুক ও অযৌক্তিক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এ হরতালে মানুষ হত্যা আর গাড়ি পোড়ানো ছাড়া তারা কিছু অর্জন করতে পারবে না। তিনি হরতালের নামে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করেন। বৈঠকে বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের ব্যাপারে মন্ত্রিসভার সদস্যরা তাদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনার বিষয় উল্লেখ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া টেলিফোনের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে জামায়াতের চাপে হরতাল অব্যাহত রেখে সংলাপের পথরুদ্ধ করে রেখেছেন। তারপরও বিরোধীদলীয় নেত্রীর প্রতি আমার আহ্বান হরতাল প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসুন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের উপায় খুঁজে বের করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি।
Post a Comment