[Featured Post][featured][recent][5]

জনপ্রিয় পোস্ট

মারিয়ানা’স ওয়েব কি? ইন্টারনেট এর এই সবচেয়ে রহস্যময় ও অন্ধকার স্থান সম্পর্কে জানুন

অনেকেই হয়ত মারিয়ানা'স ওয়েব এর নাম শুনেছেন; আবার অনেকে হয়ত শুনেন নি। মারিয়ানা'স ওয়েব আসলে কি? আমরা কি মারিয়ানা'স ওয়েব সার্ফ ক...

আন্তির্জাতিক অঙ্গনে বন্ধুহীন সরকারআহমদ আতিক : বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। অথচ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বন্ধুহীন হয়ে পড়ছে সরকার। এক দেশদর্শী পররাষ্ট্রনীতি, কূটনৈতিক ব্যর্থতা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অদূরদর্শিতাই মূলত এ জন্য দায়ী। আলেম-ওলামাদের প্রতি দমনপীড়ন এবং ইসলাম নিয়ে উন্নাসিকতার কারণে সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে চলছে শীতল সম্পর্ক। পদ্মা সেতু ইস্যুতে বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি এবং ড. ইউনূস ইস্যুতে আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক কার্যত তলানীতে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বিদেশ সফরের রেকর্ড গড়লেও তার সুফল তেমন দেখা যায়নি। বরং কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে কয়েকটি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। প্রভাবশালী দেশগুলোর কূটনীতিকরা দৌড়ঝাপ করলেও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন নিশ্চিত করার অনুরোধ সরকার অগ্রাহ্য করায় তারা রুষ্ট। ভারতের সঙ্গে তোষণনীতি করলেও সে ভারতও এখন সরকারকে আস্থায় নিতে পারছে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের মতো দেশগুলোও এখন বাংলাদেশ ইস্যুতে একমত। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশসমূহ এবং মালয়েশিয়ার মতো দেশও সরকারের অবস্থানের পক্ষে নেই। এ অবস্থায় সরকার গত সপ্তাহে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতসহ সাহায্য সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বাধ্য হয়েছে। অন্যদিকে প্রধান সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন না হলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা পর্যবেক্ষক পাঠানো থেকে বিরত থাকতে পারে বলেও সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে। এটা হলে তা হবে সরকারের জন্য আন্তর্জাতিক মহলে কূটনৈতিক বিপর্যয়।
টিকফা চুক্তি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বর্তমান সরকারের। এরপর ড. ইউনূস ইস্যুতে এ দূরত্ব আরো বৃদ্ধি পায়। অবস্থা এতদূর গড়িয়েছে যে, ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সাক্ষাৎ দিতে অনীহার কথাও সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে। সরকারের টিকফা স্বাক্ষরে গড়িমসির কারণে জিএসপি’র মতো বিষয়গুলো ঝুলে যায়। এ দূরত্বের কারণে মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব জন কেরির বাংলাদেশ সফরও শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়।
ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক ইস্যুতে সরকারের উপর বিরক্ত হয়ে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। সেই সাথে গার্মেন্টস খাতে একের পর এক অগ্নিকা-ে এবং শ্রমিক অধিকারের বিষয়গুলো নিয়েও এ দূরত্ব আরো বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বারবার বলছে, তারা কোন সংঘাত চায় না। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে সংলাপের ব্যাপারে কোন অগ্রগতি না দেখে তারাও সরকারের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছে।
দেশের সবচেয়ে বড় পদ্মা সেতু নিয়ে লেজে-গোবরে অবস্থা তৈরি হয় মালয়েশিয়া এবং চীনের সাথে। মুখে কিছু না বললেও মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার পুনরায় খোলার ব্যাপারে এর প্রভাব পড়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং সোনাদিয়া দ্বীপে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে চীন। এছাড়া চট্টগ্রামকে মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে চীনের কুনমিংয়ের সঙ্গে রেল ও সড়কের মাধ্যমে সংযুক্ত করতেও আগ্রহ ব্যক্ত করেছে চীন। এ ব্যাপারেও সরকারের শীতল প্রতিক্রিয়ার কারণে নাখোশ চীন। অন্যদিকে চীনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বিরোধী দল বিএনপি’র সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। চীন বাংলাদেশে তার নীতি বাস্তবায়ন করতে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের চেয়ে বিএনপিকে বেশি উপযোগী মনে করে। একই অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোরও। এসব দেশের সাথে বিএনপি-জামায়াত জোটের সম্পর্ক আওয়ামী লীগের চাইতে ভালো। হেফাজতে ইসলাম কর্মীদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা এবং নারী নীতি নিয়ে সরকারের অবস্থানকে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর কাছে বর্তমান সরকারকে ইসলাম বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পাকিস্তান, বেশকিছু পশ্চিমা দেশ এবং মুসলিম দেশগুলো রয়েছে এই ব্লকে। ফলে সরকার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে কাক্সিক্ষত সম্পর্ক তৈরি করে বন্ধ শ্রমবাজারও পুনরায় চালু করতে পারেনি। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রেমিটেন্সে।
বাংলাদেশ ইস্যুতে বৈরী দেশ চীনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বন্দ্ব ও অবিশ্বাসের সম্পর্ক বিদ্যামান থাকলেও বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রও ভারতকে পাশ কাটিয়ে চীনের দিকেই ঝুঁকেছে। চীনও এক্ষেত্রে ‘শত্রু’ ভারতকে রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
বর্তমান সরকারের প্রতি ভারতের সমর্থন রয়েছে আওয়ামী লীগ এই তথ্য বাজারে ছড়ালেও তা নাকচ করে দিয়েছে ঢাকাস্থ ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সঞ্জীব চক্রবর্তী। তিনি গত সপ্তাহে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ভারতের সাথে এদেশের সম্পর্ক কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে নয়, সম্পর্ক রয়েছে এদেশের জনগণের সাথে।
এছাড়াও বর্তমান সরকার ভারতের সাথে তিস্তার পানি ভাগাভাগি, আন্তঃসীমান্ত চুক্তি এবং টিপাইমুখ সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হওয়ায় রাজনীতি এবং কূটনীতির শিবিরে ভারতের সাথে বর্তমান সরকারের যে সুসম্পর্ক নেই সে বিষয়টি পরিষ্কার। যেমনটি গত ২৮ আগস্ট রাজধানীতে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিস্তা চুক্তি এবং স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকর না হওয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনারের সামনেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, বন্ধুত্ব ওয়ান সাইডেড (একপাক্ষিক) হয় না। দুই পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হয়।
বিপরীতে বিরোধী দল বিএনপি’র সাথে ভারতের সম্পর্ক এখন অনেক ভালো। ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী নেত্রী হিসেবে দিল্লি¬ সফরে আসা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং তৎকালীন কেন্দ্রের শীর্ষ মন্ত্রী (বর্তমানে প্রেসিডেন্ট) প্রণব মুখোপাধ্যায়। শাসক দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের তাতে গোস্সা হলেও দিল্লি¬ আমল দেয়নি। আন্দবাজারের অপর এক রিপোর্টে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়, খালেদা জিয়া দিল্লি¬তে এসে অঙ্গীকার করে গিয়েছিলেন, ফের ক্ষমতায় এলে অতীতের সে-সব ভুল তার দল আর করবে না। কোনো বিশেষ দলের প্রতি নয়াদিল্লি¬র পক্ষপাতের প্রশ্ন নেই। ঢাকায় যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, প্রতিবেশী হিসেবে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে বলেই আমরা আশা করি।
এ অবস্থায় আগামী ১১ নভেম্বর দিল্লিতে এশিয়া-ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে তার মূল অ্যাজেন্ডা আটকে থাকা তিস্তা ও স্থলসীমা চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের সম্মতি আদায়৷ বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে অবশ্যই ছায়া ফেলবে বহুদিন ধরে আটকে থাকা তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি এবং ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমা চুক্তি দুটির বাস্তবায়ন৷ তবে ভারতীয় পত্রপত্রিকাগুলো বলছে, সফরে প্রাপ্তির ব্যাপারে দীপু মনি যথেষ্ট আশাবাদী হলেও তাকে খালি হাতেই দেশে ফিরতে হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, ভারতে সরকার পরিবর্তনে কিংবা বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এলেও ভারত- বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশেষ কোনো রদবদল হবে না। বাহ্যিক কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলেও প্রকৃত অর্থে এই দুই দেশের সম্পর্কে কোনো রদবদল হবে না।
অপরদিকে ২০ নভেম্বর হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানসূচক অ্যাওয়ার্ড ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ এর ৫০ বর্ষপুর্তি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন ২০০৯ সালে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত এবং শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস। বিশ্বের খ্যাতনামা আরো কয়েকজনও আসবেন এ অনুষ্ঠানে। এ বছর সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনসহ ১৬ জনকে অ্যাওয়ার্ড দেবেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ড. ইউনূসের এ সময়ের সফরও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাও বর্তমানে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
বর্তমান রাজনৈতিক সংকটকে ঘিরে কূটনৈতিক তৎপরতাকে ভালো চোখে দেখছে না বর্তমান সরকার। আর তা তাদের বিভিন্ন বক্তব্যে উঠে আসছে। চলতি মাসের শুরুতেই পাবনার এক অনুষ্ঠানে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইয়িদ বলেন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনার তৎপরতা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের লঙ্ঘন। ড্যান মজিনা একটি রাজনৈতিক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অপরদিকে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের সাম্প্রতিক এক আসরে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে রাজনৈতিক সংকট হলে বিদেশীরা তাদের নিজেদের স্বার্থেই আগ্রহ দেখাবে। এটা সীমা লঙ্ঘন নয়। বিশ্বায়নের এই যুগে এটা আমরা কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারি না। এছাড়াও ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকেও বিদেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করবে। ভারত যেমন অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশের তিন পাশেই রয়েছে। সুতরাং তারা আমাদের দেশ নিয়ে ইন্টারেস্ট দেখাতেই পারে। এছাড়া আমেরিকা, চীন, বিশ্বব্যাংক তাদের নিজেদের প্রয়োজনে ইন্টারেস্ট দেখাতে পারে। এছাড়া জাতিসংঘ আমাদের দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ দেখতে চায় বাইরের বিশ্ব। জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি নিল ওয়াকার বলেন, সবার অংশগ্রহণে তারা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, বিভিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারত নিশ্চিত হয়েছে যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। তাই এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও ভারত চাইছে জনসমর্থন যেদিকে সেদিকেই থাকতে। ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূতও এক বিবৃতিতে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ‘সহিংসতার বদলে প্রজ্ঞার’ পরিচয় দিতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। সংকট নিরসনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ প্রয়োজন বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার গ্রেগ উইলককও।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ-জানিপপ’র চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল¬øাহ বলেন, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন এক সুরে কথা বলছে। তাদের কাছে বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন কীভাবে হবে তার ওপর গভীরভাবে নজর রাখছে।
ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্ল¬াহ বলেন, আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে সর্বশেষ নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দলটির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই হবে। নয়তো দেশে-বিদেশে কোথাও সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব সংকট নিরসনে দুই নেত্রীর সংলাপের কথা বলেছেন। দেশের মানুষও তাই চায়।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বিএনপি’র সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। চীন বাংলাদেশে তার নীতি বাস্তবায়ন করতে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের চেয়ে বিএনপিকে বেশি উপযোগী মনে করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা গত ২৩ অক্টোবর থেকে তিন দিনের জন্য ভারত সফর করেছেন। তার এই সফরকে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশে¬øষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতকে তার অবস্থান আবারো পরিষ্কার করতে বলেছে। কারণ, বাংলাদেশে উভয় দেশের জন্যই ‘কমন ইন্টারেস্ট-এর জায়গা আছে। আবার আছে কিছু বৈপরিত্যও। তাই তারা তাদের সেই স্বার্থের জায়গা সম্পর্কে পরস্পরকে পরিষ্কার করে দিতে চায়।
ড. আহমেদ মনে করেন, মজিনা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফিরলে আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যাবে। কারণ, নির্বাচনের বেশি দেরি নেই। আর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই দল এখন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং নিরাপত্তা, এই দুটি ইস্যু নিয়ে একটি অবস্থান নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
অপরদিকে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত পর্যবেক্ষক পাঠানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে না জাতিসঙ্ঘসহ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগীরা। এমনকি প্রধান সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন না হলে পর্যবেক্ষক পাঠানো থেকে বিরত থাকতে পারে তারা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইইউর পাঁচ সদস্যের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ দিন বাংলাদেশে অবস্থান করে। একজন পশ্চিমা কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে আমরা কঠোর অবস্থান নেবো। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হলে আমাদের হয়তো পর্যবেক্ষক পাঠানো থেকে বিরত থাকতে হবে। নির্বাচনের উপায় খুঁজে বের করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি।

Post a Comment