শেষ সময়ে একনেকে প্রকল্প অনুমোদনের হিড়িক
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সরকারের একেবারে শেষ সময়ে এসে হিড়িক পড়েছে নতুন প্রকল্প অনুমোদনের। বাস্তবায়ন সম্ভব না হলেও রাজনৈতিক কারণেই অনুমোদনের রেকর্ড গড়েছে সরকার- এমন মত বিশ্লেষকদের। একনেকের গত সভায় একত্রে ১৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে সরকার। আজকের (মঙ্গলবার) সভায়ও অনুমোদন দিতে যাচ্ছে আরও ১৫টি প্রকল্প। এসব রাজনৈতিক প্রকল্পে ব্যাপক মাত্রায় অর্থ তসরুপের শঙ্কা রয়েছে অনেকের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার এসব প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছে। কারণ, এসবের অধিকাংশই সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ছিল। ক্ষমতায় থাকাকালে এসব প্রকল্প সরকার হাতেই নিতে পারেনি। এখন ভোট চাইতে জনগণের কাছে যেতে হবে। তাই মেয়াদ পূর্তির সময়ে এসে প্রকল্পের অনুমোদন দিচ্ছে। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে ধোঁকায় ফেলতে চাইছে সরকার। ওই কর্মকর্তা বলেন, এক বছরের মাথায় এসব প্রকল্পে আবারও অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। এতে করে প্রকল্প ব্যয় ও সময় বাড়বে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে নতুন ১৫টি প্রকল্প উঠছে যার সবগুলোই অনুমোদন দেয়া হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। গত মঙ্গলবারের বৈঠকেও ১৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল একনেক। এটা বর্তমান সরকারের রেকর্ড। কারণ পরাপর দুই সভায় কখনোই ৩০ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়নি সরকার।
তবে পরিকল্পনা কমিশন দাবি করছে, বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোর চাপেই প্রকল্প বাড়ানো হয়েছে। এসব প্রকল্প হাতে না নিলে সংস্থাগুলোর সহায়তা ভবিষ্যতে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। আমরা যত প্রকল্প বাড়াবো, দাতা সংস্থাগুলো আমাদের তত সহযোগিতা করবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান, ভৌত অবকাঠামো ছাড়াও শিল্প ও শক্তি বিভাগের আওতাধীন এই ১৫ প্রকল্প।
আর্থসামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নের মধ্যে আছে গৌরনদী টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন, গোপালগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, ঢাকায় ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিকেল ফিজিক্স এ্যাট অটোমেটি এনার্জি সেন্টার স্থাপন, ৬৪ জেলায় মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্প, স্কিল এন্ড ট্রেনিং এনহেন্সমেন্ট প্রকল্প।
কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের চন্দনা বারাসিয়া নদী খনন প্রকল্প, মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রজেক্ট, রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপির বাজার চিলমারী জেলা সদর দপ্তরের সঙ্গে সংযোগকারী সড়কে তিস্তা নদীর ওপর ১৪৯০ মিটার পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প আজ অনুমোদন দেয়া হবে।
ভৌত অবকাঠামো বিভাগের বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের লঞ্চঘাট এবং ওয়েসাইড ঘাট উন্নয়ন প্রকল্প, কনস্ট্রাকশন অব লিঙ্করোড ফ্রম ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড টু বায়েজিদ বোস্তামি রোড, রোড এ্যাট দ্য আউটার প্রিফারি অব এইউডবি প্রকল্প, এনএসআই’র দশতলা বিল্ডি নির্মাণ প্রকল্প আজ অনুমোদন হবে।
একনেকের গত সভায় অনুমোদিত ১৫টি প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩ হাজার ১২৩ কোটি টাকা আসবে সরকারি রাজস্ব খাত থেকে। আর ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকা আসবে বিদেশি প্রকল্প সহায়তা থেকে।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সরকারের একেবারে শেষ সময়ে এসে হিড়িক পড়েছে নতুন প্রকল্প অনুমোদনের। বাস্তবায়ন সম্ভব না হলেও রাজনৈতিক কারণেই অনুমোদনের রেকর্ড গড়েছে সরকার- এমন মত বিশ্লেষকদের। একনেকের গত সভায় একত্রে ১৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে সরকার। আজকের (মঙ্গলবার) সভায়ও অনুমোদন দিতে যাচ্ছে আরও ১৫টি প্রকল্প। এসব রাজনৈতিক প্রকল্পে ব্যাপক মাত্রায় অর্থ তসরুপের শঙ্কা রয়েছে অনেকের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার এসব প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছে। কারণ, এসবের অধিকাংশই সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ছিল। ক্ষমতায় থাকাকালে এসব প্রকল্প সরকার হাতেই নিতে পারেনি। এখন ভোট চাইতে জনগণের কাছে যেতে হবে। তাই মেয়াদ পূর্তির সময়ে এসে প্রকল্পের অনুমোদন দিচ্ছে। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে ধোঁকায় ফেলতে চাইছে সরকার। ওই কর্মকর্তা বলেন, এক বছরের মাথায় এসব প্রকল্পে আবারও অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। এতে করে প্রকল্প ব্যয় ও সময় বাড়বে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে নতুন ১৫টি প্রকল্প উঠছে যার সবগুলোই অনুমোদন দেয়া হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। গত মঙ্গলবারের বৈঠকেও ১৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল একনেক। এটা বর্তমান সরকারের রেকর্ড। কারণ পরাপর দুই সভায় কখনোই ৩০ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়নি সরকার।
তবে পরিকল্পনা কমিশন দাবি করছে, বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোর চাপেই প্রকল্প বাড়ানো হয়েছে। এসব প্রকল্প হাতে না নিলে সংস্থাগুলোর সহায়তা ভবিষ্যতে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। আমরা যত প্রকল্প বাড়াবো, দাতা সংস্থাগুলো আমাদের তত সহযোগিতা করবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান, ভৌত অবকাঠামো ছাড়াও শিল্প ও শক্তি বিভাগের আওতাধীন এই ১৫ প্রকল্প।
আর্থসামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নের মধ্যে আছে গৌরনদী টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন, গোপালগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, ঢাকায় ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিকেল ফিজিক্স এ্যাট অটোমেটি এনার্জি সেন্টার স্থাপন, ৬৪ জেলায় মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্প, স্কিল এন্ড ট্রেনিং এনহেন্সমেন্ট প্রকল্প।
কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের চন্দনা বারাসিয়া নদী খনন প্রকল্প, মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রজেক্ট, রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপির বাজার চিলমারী জেলা সদর দপ্তরের সঙ্গে সংযোগকারী সড়কে তিস্তা নদীর ওপর ১৪৯০ মিটার পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প আজ অনুমোদন দেয়া হবে।
ভৌত অবকাঠামো বিভাগের বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের লঞ্চঘাট এবং ওয়েসাইড ঘাট উন্নয়ন প্রকল্প, কনস্ট্রাকশন অব লিঙ্করোড ফ্রম ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড টু বায়েজিদ বোস্তামি রোড, রোড এ্যাট দ্য আউটার প্রিফারি অব এইউডবি প্রকল্প, এনএসআই’র দশতলা বিল্ডি নির্মাণ প্রকল্প আজ অনুমোদন হবে।
একনেকের গত সভায় অনুমোদিত ১৫টি প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩ হাজার ১২৩ কোটি টাকা আসবে সরকারি রাজস্ব খাত থেকে। আর ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকা আসবে বিদেশি প্রকল্প সহায়তা থেকে।
Post a Comment