[Featured Post][featured][recent][5]

জনপ্রিয় পোস্ট

মারিয়ানা’স ওয়েব কি? ইন্টারনেট এর এই সবচেয়ে রহস্যময় ও অন্ধকার স্থান সম্পর্কে জানুন

অনেকেই হয়ত মারিয়ানা'স ওয়েব এর নাম শুনেছেন; আবার অনেকে হয়ত শুনেন নি। মারিয়ানা'স ওয়েব আসলে কি? আমরা কি মারিয়ানা'স ওয়েব সার্ফ ক...

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গার মৃত্যু
ইনকিলাব ডেস্ক : বঙ্গোপসাগর হয়ে বাংলাদেশে আসার সময় ৭০ জন রোহিঙ্গা মুসলিম বহনকারী একটি ট্রলার ডুবে গেছে। রোববারের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মাত্র আটজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও বাকি সবাই মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠন ‘অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার’-এর কর্মী আবদুল মালিক জানান, রোববার নৌকাটিতে করে একদল রোহিঙ্গা বাংলাদেশে যাচ্ছিলেন। মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা অং উইন জানান, বঙ্গোপসাগর উপকূলে নিখোঁজদের স্বজনেরা তাদের প্রিয়জনকে ফিরে পেতে অধীর আগ্রহ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছে।
চলতি মাসের প্রথম থেকেই রোহিঙ্গারা ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে বিদেশে যাওয়া শুরু করতে পারে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়েছিল। সাধারণত নভেম্বর থেকে সাগর শান্ত হয়ে যায় বলে তারা নৌকায় করে বিদেশ পাড়ি দেয়ার জন্য এই সময়টিকেই বেছে নেয়। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর গত শনিবার জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেড় হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।
গত বছরের জুন ও অক্টোবরে দু’দফায় মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ রাখাইন বৌদ্ধদের হাতে সহিংসতার শিকার হবার পর থেকেই দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানরা দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সাগর পাড়ি দেয়া শুরু করে। তাদের প্রধান গন্তব্যস্থল প্রতিবেশী বাংলাদেশ হলেও, অনেকে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াও পাড়ি জমায়। মিয়ানমার সরকারের দেয়া তথ্যমতে, গত বছরের ওই সহিংসতায় প্রায় ১৯২ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই রোহিঙ্গা মুসলমান। জাতিসংঘের দেয়া অন্য এক তথ্যে দেখা গেছে, সহিংসতার পর থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বাস করছেন। তারা বাড়িতে ফিরে যাওয়ার মতো সাহস পাচ্ছেন না।
বাস্তুভিটা হারা এসব রোহিঙ্গা মুসলমান প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে বাস করে আসলেও সরকার তাদেরকে নাগরিক বলেই স্বীকার করে না। সরকারের বৈষম্যের স্বীকার হয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা তাই নিরাপদে বেঁচে থাকার আশায় প্রধানত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এছাড়া কিছু কিছু রোহিঙ্গা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াসহ আশপাশের দেশেও পাড়ি জমায়। সূত্র : আল জাজিরা

Post a Comment