ভিসা জামানত পরিকল্পনা বাতিল করেছে ব্রিটেন
ইনকিলাব ডেস্ক : বাংলাদেশসহ ছয় দেশের নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসার আগেই তিন হাজার পাউন্ড জামানত রাখার পরিকল্পনা তীব্র সমালোচনার মুখে বাতিল করেছে ব্রিটেন। চলতি নভেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ার আদলে পরীক্ষামূলকভাবে এই ‘বন্ড’ ব্যবস্থা চালু হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নাইজেরিয়া ও ঘানার ক্ষেত্রে এ নিয়ম চালুর পরিকল্পনা করেছিল ব্রিটিশ সরকার।
পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, অভিবাসনের ক্ষেত্রে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ এই ছয় দেশের নাগরিকদের ভিসার আবেদনের সঙ্গে জামানত হিসেবে তিন হাজার পাউন্ড জমা দিতে হবে। ভিসার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে দেশে ফিরে না গেলে বাজেয়াপ্ত হবে ওই টাকা। তবে ওই পরিকল্পনা বাতিলের কথা জানিয়ে রোববার ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অবৈধ অভিবাসন কমিয়ে আনতে পরীক্ষামূলকভাবে এই বন্ড ব্যবস্থা চালুর কথা ভেবেছিল সরকার। তবে আমরা এ বিষয়ে আর না এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ঠিক কি কারণে ব্রিটেন পিছু হটলো- সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তবে উপ প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগের আপত্তির কারণেই শেষ মুহূর্তে বন্ড চালুর প্রস্তাবটি আটকে যায় বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবরে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের মার্চে ভিসা বন্ড চালুর ওই পরিকল্পনা জানিয়ে ব্রিটিশ হোম অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই ছয় দেশের নাগরিকরা ব্রিটিশ ভিসার ‘অপব্যবহার’ করেন বেশি। এ কারণে এ দেশগুলোকেই পরীক্ষামূলক এই বন্ডের আওতায় আনা হবে। সাফল্য পেলে তা ধীরে ধীরে কার্যকর করা হবে অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও।
গত বছর ২ লাখ ৯৬ হাজার ভারতীয়, ১ লাখ ১ হাজার নাইজেরীয়, ৫৩ হাজার পাকিস্তানী, ১৪ হাজার বাংলাদেশী ও ১৪ হাজার শ্রীলঙ্কানকে ব্রিটেনে ৬ মাসের ভ্রমণ ভিসা দেয়া হয়। এর মধ্যে ক’জন ভিসার মেয়াদ শেষে দেশে ফেরেননি তার সঠিক পরিসংখ্যান ব্রিটিশ হোম অফিস প্রকাশ না করলেও কমনওয়েলথভুক্ত অশ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত এসব দেশকেই ‘ভিসার অপব্যবহারের’ জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যা নিয়ে পরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ব্রিটেনকে।
ব্রিটেনের হোম সেক্রেটারি টেরেসা মে অবশ্য সে সময় বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী প্রতি বছর ব্রিটেনে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ১ লাখের মধ্যে নামিয়ে আনতে চান। নতুন এই বন্ড ব্যবস্থা সেই লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে। এর আগে সাবেক লেবার পার্টি সরকারও এ ধরনের একটি বন্ড ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করে এবং ব্যাপক সমালোচনার মুখে পিছিয়ে যায়। বিক্ষোভের মুখে কানাডা সরকারের একটি চেষ্টাও কয়েক বছর আগে ভেস্তে যায়। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের প্রায় ২২ লাখ ভ্রমণ ভিসা দেয়। সূত্র : রয়টার্স
ইনকিলাব ডেস্ক : বাংলাদেশসহ ছয় দেশের নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসার আগেই তিন হাজার পাউন্ড জামানত রাখার পরিকল্পনা তীব্র সমালোচনার মুখে বাতিল করেছে ব্রিটেন। চলতি নভেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ার আদলে পরীক্ষামূলকভাবে এই ‘বন্ড’ ব্যবস্থা চালু হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নাইজেরিয়া ও ঘানার ক্ষেত্রে এ নিয়ম চালুর পরিকল্পনা করেছিল ব্রিটিশ সরকার।
পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, অভিবাসনের ক্ষেত্রে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ এই ছয় দেশের নাগরিকদের ভিসার আবেদনের সঙ্গে জামানত হিসেবে তিন হাজার পাউন্ড জমা দিতে হবে। ভিসার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে দেশে ফিরে না গেলে বাজেয়াপ্ত হবে ওই টাকা। তবে ওই পরিকল্পনা বাতিলের কথা জানিয়ে রোববার ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অবৈধ অভিবাসন কমিয়ে আনতে পরীক্ষামূলকভাবে এই বন্ড ব্যবস্থা চালুর কথা ভেবেছিল সরকার। তবে আমরা এ বিষয়ে আর না এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ঠিক কি কারণে ব্রিটেন পিছু হটলো- সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তবে উপ প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগের আপত্তির কারণেই শেষ মুহূর্তে বন্ড চালুর প্রস্তাবটি আটকে যায় বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবরে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের মার্চে ভিসা বন্ড চালুর ওই পরিকল্পনা জানিয়ে ব্রিটিশ হোম অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই ছয় দেশের নাগরিকরা ব্রিটিশ ভিসার ‘অপব্যবহার’ করেন বেশি। এ কারণে এ দেশগুলোকেই পরীক্ষামূলক এই বন্ডের আওতায় আনা হবে। সাফল্য পেলে তা ধীরে ধীরে কার্যকর করা হবে অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও।
গত বছর ২ লাখ ৯৬ হাজার ভারতীয়, ১ লাখ ১ হাজার নাইজেরীয়, ৫৩ হাজার পাকিস্তানী, ১৪ হাজার বাংলাদেশী ও ১৪ হাজার শ্রীলঙ্কানকে ব্রিটেনে ৬ মাসের ভ্রমণ ভিসা দেয়া হয়। এর মধ্যে ক’জন ভিসার মেয়াদ শেষে দেশে ফেরেননি তার সঠিক পরিসংখ্যান ব্রিটিশ হোম অফিস প্রকাশ না করলেও কমনওয়েলথভুক্ত অশ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত এসব দেশকেই ‘ভিসার অপব্যবহারের’ জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যা নিয়ে পরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ব্রিটেনকে।
ব্রিটেনের হোম সেক্রেটারি টেরেসা মে অবশ্য সে সময় বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী প্রতি বছর ব্রিটেনে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ১ লাখের মধ্যে নামিয়ে আনতে চান। নতুন এই বন্ড ব্যবস্থা সেই লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে। এর আগে সাবেক লেবার পার্টি সরকারও এ ধরনের একটি বন্ড ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করে এবং ব্যাপক সমালোচনার মুখে পিছিয়ে যায়। বিক্ষোভের মুখে কানাডা সরকারের একটি চেষ্টাও কয়েক বছর আগে ভেস্তে যায়। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের প্রায় ২২ লাখ ভ্রমণ ভিসা দেয়। সূত্র : রয়টার্স
Post a Comment