[Featured Post][featured][recent][5]

জনপ্রিয় পোস্ট

মারিয়ানা’স ওয়েব কি? ইন্টারনেট এর এই সবচেয়ে রহস্যময় ও অন্ধকার স্থান সম্পর্কে জানুন

অনেকেই হয়ত মারিয়ানা'স ওয়েব এর নাম শুনেছেন; আবার অনেকে হয়ত শুনেন নি। মারিয়ানা'স ওয়েব আসলে কি? আমরা কি মারিয়ানা'স ওয়েব সার্ফ ক...

আবার হোয়াইট ওয়াশ
দেবব্রত মুখোপাধ্যায়
আরেকবার নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করে বাংলাদেশকে আনন্দে ভাসালো জাতীয় ক্রিকেট দল। গতকাল রবিবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে শ্বাসরুদ্ধকর ৪ উইকেটের এক পরাজয় উপহার দিয়ে এবার ৩-০ ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা ৭ ওয়ানডে জয়ের অসাধারণ এক রেকর্ড করল বাংলাদেশ।

প্রথম দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে শুরু থেকেই বিপদে রেখে জিতেছিল বাংলাদেশ; কিন্তু গতকাল জয়টা এলো রীতিমতো পরাজয়ের গন্ধ পেতে পেতে উত্তেজনাময় এক লড়াই শেষে।

নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেয়া ৩০৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৬৮ রান। এই টানটান উত্তেজনাটা বহাল ছিল এক ওভার আগে পর্যন্ত; কিন্তু নাসির হোসেন ও সোহাগ গাজীর শেষ সময়ের বীরত্বে বাংলাদেশ ৪ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখে পৌঁছে যায় জয়ের লক্ষ্যে।

এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে ৩১৩ রান করে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ।

বিশাল এই 'চেস'-এ বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন এই ম্যাচের নায়ক সামসুর রহমান শুভ ও তামিমের বদলে নামা 'পিঞ্চ হিটিং ওপেনার' জিয়াউর রহমান। এই দুই জনের আগ্রাসনে ৭ ওভারে বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬০ রান তুলে ফেলে!

জিয়াউর রহমান ২০ বলে ২টি চার ২টি ছক্কায় ২২ রান করে ফেরার পর শুভর সঙ্গী হন মুমিনুল হক। শুভর আগ্রাসন তাতে থামেনি। দ্বিতীয় উইকেটে এরা দুই জন যোগ করেন ৬৫ রান; কিন্তু মুমিনুল সেই তিরিশের-গেরোতেই আটকে যান। ৩৩ বলে ৩২ রান করে মুমিনুল আউট হওয়ার পরের ওভারেই মুশফিক অপ্রত্যাশিতভাবে ফিরে আসেন ২ রান করে।

এরপর শুভ ও নাঈম ইসলাম হাল ধরেন। এই জুটিতে যোগ হয় ৭৫ রান। বড় দুঃখজনকভাবে শুভ সেঞ্চুরি থেকে চার রান দূরে আউট হয়ে ফেরেন। তার আগে ১০৭ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো ৯৬ রানের অমূল্য ইনিংস খেলে আসেন।

এরপর নাসির বাকি দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নেন। নাঈমও কার্যকর ৬৩ রানের ইনিংস খেলে ফেরার পর মাহমুদউল্লাহ ১৬ রান করে আউট হন। শেষ সময়ে নাসিরকে দারুণ সঙ্গ দিতে সোহাগ ১০ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলেন। আর বাংলাদেশের 'বেভান' হয়ে ওঠা নাসির শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে নিউজিল্যান্ড টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বেশ সতর্ক কিন্তু স্থির একটা শুরু করেছিল। তরুণ ওপেনার অ্যান্টন ডেভচিসের ৪৬ রানের কল্যাণে ৬৬ রানের উদ্বোধনী জুটি পেয়ে গিয়েছিল তারা। এই সময় বাংলাদেশ ৩৫ রানের ব্যবধানে তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ভালোমতো খেলায় ফিরে আসে।

ডেভচিসকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু দেন মাহমুদউল্লাহ। পরপরই তিন নম্বরে নামা গ্রান্ট এলিয়টকে ফিরিয়ে দেন রাজ্জাক। আর রুবেল দ্বিতীয় স্পেলের আক্রমণে এসে ৪৩ রান করা লাথামকে ফেরান।

কিন্তু এই তিন উইকেট হারানোর পরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জুটিটা করে নিউজিল্যান্ড। তরুণ কলিন মুনরোকে নিয়ে ১৩০ রানের জুটি করেন সাবেক অধিনায়ক রস টেলর। ৯৫ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ৮৫ রান করে মাহমুদউল্লাহর দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন মুনরো। পরপরই কোরি অ্যান্ডারসনকে ফেরান সোহাগ গাজী।

তারপরই রস টেলর আসলে খেলাটা বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। শেষ ৫ ওভারে ৭৩ রানের এক ঝড় চালিয়ে দলীয় স্কোর ৩০০ পার করে দেন টেলর ও রনচি।

শেষ পর্যন্ত ৯৩ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরে ১০৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন টেলর।

Post a Comment