[Featured Post][featured][recent][5]

জনপ্রিয় পোস্ট

মারিয়ানা’স ওয়েব কি? ইন্টারনেট এর এই সবচেয়ে রহস্যময় ও অন্ধকার স্থান সম্পর্কে জানুন

অনেকেই হয়ত মারিয়ানা'স ওয়েব এর নাম শুনেছেন; আবার অনেকে হয়ত শুনেন নি। মারিয়ানা'স ওয়েব আসলে কি? আমরা কি মারিয়ানা'স ওয়েব সার্ফ ক...

একই সময়ে তিনটি সূর্য দেখার ম্যাজিক
ইনকিলাব ডেস্ক :
এক আকাশে তিনটি সূর্য দেখা যাওয়ার বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হলেও যেসব দেশে বরফ পড়ে সেসব দেশে ৩টি সূর্য দেখার দুর্লভ সৌভাগ্য হতেই পারে। এটা আর কিছুই না, আলোর প্রতিসরণধর্মের কারণেই এমনটি হয়। কিভাবে এ দৃশ্য তৈরি হয় তার কারণ হলো জ্যামিতিতে অদ্ভূত এবং সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আকৃতি হচ্ছে ষড়ভূজ। এর ভারসাম্যপূর্ণ কিনারের কারণে একে সব দিক থেকে একই রকম দেখায়। আর আক্ষরিকভাবে বলতে গেলে, জলবায়ুর তাপমাত্রা যখন অত্যন্ত নিচে নেমে যায় তখন এ ষড়ভূজ আকাশ থেকে নেমে যায়।
পানি যখন বরফে রূপান্তরিত হয় তখন এটি ষড়ভূজাকৃতির স্ফটিক তৈরি করে। কখনো কখনো এ স্ফটিকের আকৃতি লম্বা পেন্সিল মতো হতে পারে। তবে বেশিরভাগই সমতল ডিস্কের মতো আকার পায়। যখন এই ডিস্ক আকৃতির স্ফটিক উপর থেকে পতিত হয় তখন বার্ণালি ইফেক্টের কারণে তার সমতল অংশটি ভূমির সঙ্গে সমান্তরালে থাকে। কিন্তু যখন একটি কিনারা সৃষ্টির জন্য ডিস্কটি কাত হয়ে যায় তখন বায়ু খুব দ্রুত এর সরু পাশ দিয়ে অতিক্রম করে। ফলে, ঠিক এর পেছনে একটা নিম্নচাপের অঞ্চল তৈরি হয় এবং স্ফটিকটির ধারগুলো আরো শক্ত হয়ে যায়, যতক্ষণ না এর সমতল অংশটি মাটি স্পর্শ করে। স্ফটিকের এই ষড়ভূজাকৃতিতে সূর্যের রশ্মি পতিত হলেই নানা ম্যাজিক দেখায়। এটা ঘটে মূলত আলোর প্রতিসরণধর্মের কারণে। এটা জানা কথা যে কাচ, বরফসহ আরো কিছু স্বচ্ছ বস্তু আলোর গতিপথকে বাঁকিয়ে দেয়। তবে এটা বুঝা খুব কঠিন যে এই ধর্মটিই সূর্যের একটা যমজ ছবি তৈরি করে। ধরা যাক, কেউ একটি স্বাভাবিক সূর্য দেখছে। এখানে আলোর গতিপথটা বোঝা খুব সহজ। সূর্য কণাগুলো সমানভাবে চারদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে কিছু দর্শকের চোখে সরাসরি এবং সরল পথে গিয়ে পড়ছে ফলে সে সূর্যের একটা বিম্ব দেখতে পাচ্ছে। এখন অন্য দু’জন ব্যক্তি প্রথম দর্শকের অন্যপাশে একচতুর্থাংশ মাইল দূরে অবস্থান করছে। এদের চোখেও সমান পরিমাণ রশ্মি সরল পথে পতিত হবে ফলে তারা একটি সূর্যই দেখতে পাবে। এই একই ঘটনা ঘটে যখন বাতাসে বরফের স্ফটিক থাকে এবং এরকম আবহাওয়ার মধ্যে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় দৃষ্টিভ্রমের সৃষ্টি হয়। কিছু রশ্মি সোজা পথে ওই তিন দর্শকের চোখেই পৌঁছায় এবং তারা একটি সূর্য দেখে। তবে ওই একই গতিপথের সব রশ্মি তাদের চোখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে না ফলে তারা পূর্ণ বিম্বটার আংশিক দেখতে পাবে। কারণ, কিছু ফোটন বাতাসে ষড়ভূজাকৃতি স্ফটিকের কারণে আসল গতিপথ থেকে বিচ্যুত হবে। এই বিচ্যুতির কারণে ওই দুই দর্শকের চোখের দিকে যাওয়া কিছু রশ্মি স্ফটিকের কারণে গতিপথ পরিবর্তন করে প্রথম দর্শকের চোখেও পড়বে। ফলে, সে দুটি সূর্য দেখতে পাবে। এ দুটি সূর্য কিন্তু দর্শকের চোখে সরাসরি পতিত আলোকরশ্মির দ্বারা সৃষ্ট কোনো বিম্ব নয়। এটি আসলে গতিপথ পরিবর্তন করে আসা আলোকরশ্মির দ্বারা সৃষ্ট একটি বিম্ব মাত্র। আর এ কারণেই দর্শকের চোখে এক আকাশে তিনটি সূর্য মনে হবে। সূত্র : ওয়েবসাইট।

Post a Comment