ল্যাপটপ মেইন্ট্যানেন্স এর টুকটাক নামের ধারাবাহিক পোস্ট এর প্রায় শেষ দিকে আমরা চলে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ল্যাপটপ এর ব্যাটারির কিছু সাধারন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। ল্যাপটপ এর ব্যাটারি খুবি সেনসিটিভ একটি কম্পোনেন্ট। তাই কিছু বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে;
১I যত ছোট ততই ভালোঃ লক্ষ্য করলে দেখবেন, নেটবুক গুলো আমাদের ল্যাপটপ বা নোটবুক এর থেকেও বেশি ক্ষন ব্যাটারি ব্যাকআপ দেয়। কেন?
আপনার ল্যাপটপ এর ডিসপ্লে যত ছোট হবে, তার জন্য ব্যাটারি ততটাই কম খরচ হবে। আবার আপনার হার্ডডিস্ক টি যদি ৪২০০ আরপিএম এর হয়, তবে তা ৫৪০০ বা ৭২০০ আরপিএম হার্ডডিস্ক থেকে কম ব্যাটারি খরচ করবে। একই কথা প্রসেসর এর জন্যও… নেটবুক এর এটম প্রসেসর অন্যান্য সকল প্রসেসর থেকে অনেক কম বিদ্যুৎ এ চলে।
আপনার ল্যাপটপ এর ডিসপ্লে যত ছোট হবে, তার জন্য ব্যাটারি ততটাই কম খরচ হবে। আবার আপনার হার্ডডিস্ক টি যদি ৪২০০ আরপিএম এর হয়, তবে তা ৫৪০০ বা ৭২০০ আরপিএম হার্ডডিস্ক থেকে কম ব্যাটারি খরচ করবে। একই কথা প্রসেসর এর জন্যও… নেটবুক এর এটম প্রসেসর অন্যান্য সকল প্রসেসর থেকে অনেক কম বিদ্যুৎ এ চলে।
২I পাওয়ার কন্ট্রোলঃ আপনি আপনার ল্যাপটপ এর পাওয়ার সেটিংস্ থেকে আপনার ল্যাপটপ টি কি পরিমাণ পাওয়ার খরচ করবে তা নির্ধারন করে দিতে পারবেন।
যেমন, যদি আপনার ল্যাপটপ টি বেশ কিছু সময় ধরে অকার্যকর অবস্থায় থেকে, তবে তা যেন নিজ থেকেই বন্ধ হয়ে যায়, তার পরে, ঠিক কত সময় পরে আপনার ডিসপ্লে বন্ধ হবে, সে সময়ে আপনার ল্যাপটপ এর হার্ডডিস্ক টি চালু থাকবে কি না, ইত্যাদি আপনি নির্ধারন করে দিন।
৩।স্ক্রীন এর উজ্জলতা কমিয়েঃ আপনার ল্যাপটপ এর ব্যাটারি খরচ কমাতে আপনি আপনার ল্যাপটপ এর স্ক্রীন এর ব্রাইটনেস বা উজ্জলতা কমিয়ে রাখতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই উজ্জলতা এতটাই কমানো উচিত হবে না, যাতে আপনার চোখের উপর চাপ পড়ে।
৪।ব্যাটারি ব্যবহারের দিকে লক্ষ্য রাখুনঃ আপনি যখনই ল্যাপটপ টী ব্যাটারি দ্বারা ব্যবহার করবেন, একটু লক্ষ্য রাখুন, আপনার ল্যাপটপ টি কি পরিমান ব্যাটারি ব্যবহার করছে। যদি মনে হয়, সাধারনের থেকে হঠাৎ করেই আপনার ল্যাপটপ টি বেশি পরিমান ব্যাটারি ব্যবহার করছে, তবে সাথে সাথেই তা সার্ভিস সেন্টারে দেখিয়ে নেয়া উচিত।
৫।ব্যাটারি চার্জ করে রাখুনঃ যখনই যেখানে সম্ভব অর্থাৎ আপনি যখনই এমন কোথাও যাবেন, যেখানে ইলেক্ট্রিসিটি আছে, আপনার ল্যাপটপ এর ব্যাটারিটি চার্জ করে নিন।
৩।স্ক্রীন এর উজ্জলতা কমিয়েঃ আপনার ল্যাপটপ এর ব্যাটারি খরচ কমাতে আপনি আপনার ল্যাপটপ এর স্ক্রীন এর ব্রাইটনেস বা উজ্জলতা কমিয়ে রাখতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই উজ্জলতা এতটাই কমানো উচিত হবে না, যাতে আপনার চোখের উপর চাপ পড়ে।
৪।ব্যাটারি ব্যবহারের দিকে লক্ষ্য রাখুনঃ আপনি যখনই ল্যাপটপ টী ব্যাটারি দ্বারা ব্যবহার করবেন, একটু লক্ষ্য রাখুন, আপনার ল্যাপটপ টি কি পরিমান ব্যাটারি ব্যবহার করছে। যদি মনে হয়, সাধারনের থেকে হঠাৎ করেই আপনার ল্যাপটপ টি বেশি পরিমান ব্যাটারি ব্যবহার করছে, তবে সাথে সাথেই তা সার্ভিস সেন্টারে দেখিয়ে নেয়া উচিত।
৫।ব্যাটারি চার্জ করে রাখুনঃ যখনই যেখানে সম্ভব অর্থাৎ আপনি যখনই এমন কোথাও যাবেন, যেখানে ইলেক্ট্রিসিটি আছে, আপনার ল্যাপটপ এর ব্যাটারিটি চার্জ করে নিন।
৬।ব্যাকআপ ব্যাটারিঃ অনেক ল্যাপটপ আছে, যেগুলো দুইটি ব্যাটারির সাহায্যে চলতে পারে। একটির চার্জ শেষ হয়ে গেলেও অন্যটি আপনাকে ব্যাকআপ দিবে। তবে বর্তমান ল্যাপটপ গুলো তে এই সুবিধাটি নেই। তাই আপনি, নতুন একটু ব্যাটারি কিনে আপনার সাথে ব্যাকআপ হিসেবে রেখে দিতে পারেন। তবে অবশ্যই সেই ব্যাকআপ ব্যাটারিটিকেও আপনার ল্যাপটপ এর মূল ব্যাটারির মতনই যত্ন নিতে হবে।
৭।ব্যাটারির পাওয়ার শেষ করে নিনঃ প্রথম বারের জন্য যখন আপনি আপনার ল্যাপটপ টিকে চালু করবেন, (যে দিন আপনি ল্যাপটপ কিনলেন বা অনেক দিন ব্যবহার না করলে) তখনই ল্যাপটপের ব্যাটারি কে সম্পূর্ন ডিসচার্জ করে নিন। এর পরে চার্জ করতে শুরু করুন।
৮।ব্যাটারি পরিস্কার রাখুনঃ নিয়মিত ভাবে ব্যাটারি পরিস্কার রাখা খুবি গুরুত্বপূর্ন। অনেক সময় দেখা যায়, ব্যাটারির টার্মিনাল গুলোতে ময়লা পড়ে, তা ল্যাপটপ এর সাথে ঠিক মতন কন্টাক্ট করতে পারে না। এতে করে আপনার ল্যাপটপে এবং ব্যাটারিতে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে।
৯।সি-মস (CMOS) ব্যাটারি চেক করে রাখুনঃ ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ এর ভেতরে ছোট্ট একটি ব্যাটারি থাকে। এটা আপনার কম্পিউটারের ক্লক টিকে সচল রাখে। কোন কারনে যদি এই সি-মস ব্যাটারি টি শেষ হয়ে যায়, তবে তখন আপনার মেইন ব্যাটারি থেকে শক্তি নিয়ে আপনার ল্যাপটপ সেই ক্লক টিকে চালু রাখে।
১০।অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশান এবং হার্ডওয়্যার বন্ধ করে রাখুনঃ আপনার কম্পিউটার যখন ব্যাটারির ক্ষমতায় চালাবেন, তখন, অকারনে ল্যাপটপ এর BlueThooth, WiFi বন্ধ করে রাখতে পারেন।আপনি যদি এক্সটার্নাল মাউস ব্যবহার করেন, তবে আপনার ল্যাপটপটির টাচ প্যাড বন্ধ করে রাখতে পারেন।অকারনে আপনার ইউএসবি পোর্ট এ কোন ডিভাইস লাগিয়ে রাখা উচিত হবে না। যে সমস্ত সফটওয়্যার আপনার কাজে কম লাগে, সেগুলো কে একে বারে মুছে ফেলাই ভালো। কখনো লাগলে আবার ইন্সটল করে নিন।
এবার আসুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে আপনি আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে পারেন;
১I সব সময় আপনার ল্যাপটপ টির সাথে আসা চার্জার দিয়েই আপনার ল্যাপটপ এর ব্যাটারি চার্জ করুন। অনেক সময় দেখা যায় , অরিজিনাল চার্জার নষ্ট বা হারিয়ে গেলে, আমরা অন্য ব্রান্ড এর চার্জার , অথবা ইউনিভার্সেল চার্জার (বাজারে পাওয়া যায় ) দিয়ে ল্যাপটপ চার্জ করে থাকি। যা কখনই উচিত নয়। হ্যা এটা ঠিক যে, অরিজিনাল চার্জার এর দাম অনেক বেশি। কিন্তু এটাও সত্যি যে, আপনার এই সতর্কতাটির অভাবে, আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি যে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে তাই নয়, আপনার ল্যাপটপ টির ক্ষতির সম্ভাবনাও আছে।
২I ল্যাপটপ এর সাথে কিছু ব্যবহার বিধি দেয়া থাকে, শুধু মাত্র ল্যাপটপ এই নয়, সমস্ত ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্ট এর সাথেই থাকে। আমরা আমাদের খামখেয়ালিপনার জন্য কখনই তা পড়ে দেখিনা। যা মোটেও ঠিক নয়।কেননা আপনার ল্যাপটপ এর এবং এর ব্যাটারির সঠিক যত্নের উপায় কিন্তু এই ব্যবহার বিধিতেই পাবেন। সতরাং এটা পড়ে দেখুন।
৩I ল্যাপটপ এর ব্যাটারি কখনই এমন কোথাও রাখা ঠিক না, যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে, অথবা যে সমস্ত জায়গা খুবি গরম হয়।
৪I ব্যাটারি ইনলে, সাধারনত লিথিয়াম আয়োন ব্যাটারি কেনাই ভালো, কেননা এতে বিল্ট-ইন প্রসেসসর থাকে। (যদিও লিথিয়াম ব্যাটারির দাম একটু বেশি)।
৫I নন লিথিয়াম ব্যাটারির ক্ষেত্রে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন বার, ব্যাটারি সম্পূর্ন ডিসচার্জ করে, ফুল চার্জ করে নেয়া ভালো। এবং লিথিয়াম ব্যাটারির জন্য, মাসে কমপক্ষে একবার এই কাজটি করা উচিত।
৬I ধরুন এমন হলো, আপনি অনেক দিনের জন্য কোথাও যাবেন, এবং সে সময় আপনার ল্যাপটপ টি অব্যবহৃত থাকবে। এক্ষত্রে আপনি ল্যাপটপ এর ব্যাটারিটি সম্পূর্ন ডিসচার্জ করে রেখে যেতে পারেন।
Post a Comment