আমরা যারা ল্যাপটপ ব্যবহার করি তাদের মধ্যে আমার দেখা কিছু সংখ্যক মানুষ আছে যারা তাদের ল্যাপটপের দিকে কম যত্নশীল। অবশ্য এর পেছনেও রয়েছে কারণ। আমি যাদের সাথে কথা বলেছিলাম তারা বলেছেন যেঃ ল্যাপটপের যত্ন আবার কেমন করে নেব? মোছামুছি করলেই তো যত্ন হয়ে গেল! আমার আজকের পোষ্টটা সেই সব নতুন ল্যাপটপ ব্যবহার কারীদের জন্য।
এই পোষ্টে আমি খুবই সাধারণ এবং কমোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
- ল্যাপটপ বেশিক্ষণ কোলের উপর রেখে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছুদিন আগে একদল গবেষক ল্যাপটপ ব্যবহারকারীর মাঝে এক জরিপ চালিয়ে দেখেছেন, যারা কোলের উপর রেখে অনেকক্ষণ ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তাদের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে।
- ল্যাপটপে বিল্ট-ইন কিছু ডিভাইস আছে যেমনঃ ব্লু-টুথ, ওয়াই-ফাই, ইনফ্রারেড ইত্যাদি। প্রয়োজন না থাকলে ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় এসব ডিভাইস বন্ধ করে রাখুন। এতে ব্যাটারির শক্তি খরচ কম হবে।
- ল্যাপটপ বহনে ল্যাপটপের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করুন। এসব ব্যাগ ল্যাপটপকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়া ভ্রমণে ল্যাপটপ বহন করার জন্য কাঁধে ঝুলানোর সুবিধাযুক্ত ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে বহনে সুবিধার পাশাপাশি আরেকটি সুবিধা হলো বাইরে থেকে বোঝাই যাবে না যে, আপনি ল্যাপটপ বহন করছেন। তাই ছিনতাইকারীর দৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
- ল্যাপটপে গেম খেলা বা কোনো কিছু টাইপ করার জন্য এক্সটার্নাল কী-বোর্ড এবং মাউস ব্যবহার করুন। কারণ, এসব ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহারে ল্যাপটপের টাচ প্যাড এবং কী-বোর্ডের আয়ু কমে যেতে পারে।
- ঘরে বা বাহিরে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা আছে এমন স্থানে সরাসরি বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে ল্যাপটপ চালান। ল্যাপটপের ব্যাটারির একটি নির্দিষ্ট আয়ু আছে। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বার চার্জ হওয়ার পর এই ব্যাটারিটি নষ্ট অর্থাৎ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়।
- ল্যাপটপের এয়ার ভেন্টটি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। কারণ এয়ার ভেন্ট বন্ধ হয়ে গেলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হবে, যা ল্যাপটপের জন্য ক্ষতিকর।
- খাবার ও পানীয় থেকে ল্যাপটপ দূরে রাখুন। না হলে অসাবধানতাবশত ল্যাপটপের উপর পানি পড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- ল্যাপটপ ডেস্কটপের মতো একটানা ব্যবহার করা ঠিক নয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ব্যবহার করার পর ল্যাপটপ কিছু সময় বন্ধ রাখা উচিত।
- আপনার চোখের সুবিধার জন্য স্ক্রীনের লাইট আপনার চোখের সঙ্গে মানানসই করে রাখুন। মনে রাখবেন এমন হাই কালার দিযে রাখবেন না, যেটি আপনার চোখের সহ্যের বাহিরে। প্রয়োজনে Flux নামের একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার দিয়ে, এই কাজটি সয়ংক্রিয় ভাবে করতে পারেন।
Post a Comment