[Featured Post][featured][recent][5]

জনপ্রিয় পোস্ট

মারিয়ানা’স ওয়েব কি? ইন্টারনেট এর এই সবচেয়ে রহস্যময় ও অন্ধকার স্থান সম্পর্কে জানুন

অনেকেই হয়ত মারিয়ানা'স ওয়েব এর নাম শুনেছেন; আবার অনেকে হয়ত শুনেন নি। মারিয়ানা'স ওয়েব আসলে কি? আমরা কি মারিয়ানা'স ওয়েব সার্ফ ক...


ঘরে বসেই শুরু করুন নিজের ই-কমার্স ব্যবসা” সিরিজের গত ২ পর্বে আমরা লিখেছি মিথ ও মানসিকতা এবং প্রাথমিক প্ল্যানিং নিয়ে। উপযুক্ত নাম নির্বাচন হচ্ছে “ব্র্যান্ডিং” এর প্রথম ধাপ। আপনি যতদিন বিজনেস করবেন, এই নাম আপনার সাথে থাকবে, তাই নামকরণ হুট করে করা মটেও উচিত নয়। এই পর্বে আমরা লিখব কি করে আপনি আপনার ই-কমার্স বিজনেসের নামকরণ করবেন সেটা নিয়ে।

নাম নির্বাচন

আপনার সন্তানের নামকরণের পূর্ণ স্বাধীনতা আপনার রয়েছে। কিন্তু সমাজে নামটির গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখার জন্য তাকে অর্থবহুল ও পরিবারের সাথে মানানসই হতে হয়। ঠিক তেমনি, আপনার ব্যাবসার নামকরণের সময়ও আপনাকে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে…
১। নামটা কি সহজে মনে রাখার মত? এমন একটা শব্দ বেছে নিন যা মানুষ স্বাভাবিক ভাবে ব্যবহার করে। আর যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে “ক্যাচি” কোন শব্দ বেছে নিন।
২। নামটা বেশি বড় হয়ে গেলনাতো? চেষ্টা করুন এক থেকে দুটি শব্দ বা ফ্রেযের মধ্যে নামটাকে সীমাবদ্ধ রাখতে।
৩। চেষ্টা করবেন নামটা যেন কোন নির্দিষ্ট পন্যের নামে না হয় (যদি না আপনি ১০০% নিশ্চিত থাকেন যে আপনি ওই একটা পণ্য নিয়েই আজীবন ব্যবসা করবেন।) পণ্যর নাম ব্যবহার না করে পণ্য বা সার্ভিসের “উপকারিতা” দিয়ে নামকরণ করতে পারেন। আপনারাই বলুন “চাল-ডাল ডট কম” নামের সাইটে মেয়েদের শাড়ি পাওয়া যায়, এটা কি কোন কাস্টমারের মাথায় আসবে? এর থেকে “এখনি”, “বাই২৪”, “যেমনখুশি”, “সহজ”, “দ্রুত” এগুলো আরও জেনেরিক নাম ও এই নামগুলো ব্যবহার করে এক্সপেনশান আরও সহজ।
৪। নামের বানানে কি বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে? বাংলা অনেক সব্দই ইংলিশ এ লিখতে গেলে কিছু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। যেমন “ভাল” V দিয়ে লিখব নাকি BH দিয়ে। Z, J, G এর মধ্যেও ঝামেলা লাগতে পারে। “জনতা” বানানে A হবে নাকি O হবে। “খুশি” E দিয়ে, নাকি I দিয়ে, নাকি E Y দিয়ে লিখব, এই ধরনের বিভ্রান্তিতে অনেকেই পরতে পারে। ফলস্বরূপ দেখা যেতে পারে, আপনার কাস্টমার আপনার URL টাইপ করতে গিয়ে অন্য কারোটা টাইপ করেছে ভুল করে। ক্ষতি কিন্তু আপনারই হল। অতএব ই-কমার্স সাইটের নাম যদি বাংলা শব্দ দিয়ে রাখতে চান, তাহলে বানানের এই বিষয় টা মাথায় রাখুন। আর একটা কাজ করতে পারেন… আপনার সাইটের নাম যত ধরনের বানান দিয়ে লেখা যায় সব গুলো ডোমেইনই আপনি কিনে রাখতে পারেন। এতে অযথা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হবে না।
৫। আপনার এই নাম কি অন্য কোন কোম্পানির নামের সাথে প্রায় মিলে যাচ্ছে? চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব ইউনিক নাম দেয়ার। এতে ব্রেন্ডিং করা অনেক সহজ হবে। “এখনই ডট কম” আর “এখানেই ডট কম” এই দুটো নামের মধ্যে গোলমাল লেগে যাওয়া খুবই সহজ।
৬। ই-কমার্স বিজনেসের একটা ওয়েব অ্যাড্রেস লাগেই… শুধু ফেইসবুক দিয়ে বেশিদিন ব্যবসা করা কঠিন। আপনি যেই নামটি পছন্দ করেছেন, সেই নামের ডট কম বা ডট কম ডট বিডি ডোমেইন আছে কিনা দেখে নিন। অধিকাংশ ইংলিশ মৌলিক নামের ডোমেইন-ই (ডোমেইন নিয়ে একটু পরে বিস্তারিত লেখা আছে) ইতোমধ্যে কেউ না কেউ কিনে নিয়েছে। তাই নাম ঠিক করার সময় নেম ডট কম সাইটে গিয়ে চেক করে নিন ডোমেইনটি এভেলেবল কিনা।
ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্বে আমরা ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে কি কি লাগবে ও প্রয়োজনীয় খরচাপাতি নিয়ে লিখব যা আপনাদেরকে একটা পরিষ্কার দিকনির্দেশনা দেবে। আমন্ত্রন রইল।
সিরিজের সবগুলো আর্টিকেলঃ
১। ই-কমার্স বিজনেস সম্পর্কে কিছু ভুল ধারনা যা আপনাকে ঝেড়ে ফেলতে হবে (পর্ব ১)
২। কাস্টমার নির্বাচন, প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগে থাকা ও প্রাথমিক প্ল্যানিং (পর্ব ২)
৩। নাম নির্বাচনের কিছু বাস্তবমুখী টিপস (পর্ব ৩)
৪। সাইট বানাতে কি কি লাগবে ও শুরুর খরচ (পর্ব ৪)
৫। প্রোডাক্ট পাবেন কোত্থেকে? ডেলিভারি দেবেন কি করে? (পর্ব ৫)
৬। কিভাবে মার্কেটিং করবেন, কিভাবে সেল বাড়াবেন? (পর্ব ৬)
৭। কখন বুঝবেন “নেক্সট স্টেপ” নেয়ার সময় চলে এসেছে (পর্ব ৭)

Post a Comment