প্রথম বিশ্বকাপের শিরোপাধারী তারা। তবে প্রথম শিরোপার সেই আনন্দকে ছাপিয়ে যায় ১৯৫০ বিশ্বকাপের শিরোপা জয়। মারাকানায় ওই বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলকে হতাশায় ডুবিয়ে শিরোপা তুলে নিয়েছিল দলটি। আজ নকআউট পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবার সময় সেই সুখস্মৃতি মনে না জেগে পারে না উরুগুইয়ানদের। দলের সেরা তারকা লুইস সুয়ারেজের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও দলটিকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে মারাকানার পাঁচ যুগের পুরনো সেই স্মৃতি।
এই মারাকানা স্টেডিয়ামেই ১৯৫০ বিশ্বকাপ ফুটবলের শেষ ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে হেরে ভেঙ্গে যায় ব্রাজিলের স্বপ্ন। সেই ব্রাজিলের মাটিতেই আবার উরুগুয়ে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলেছে। সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি এবং ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তারা উঠে গেছে শেষ ষোলয়। আজ তাদের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। বেলে হরিজোন্তোয় ব্রাজিল-চিলি ম্যাচের পর রাত ২টায় মারাকানায় মুখোমুখি হবে তারা।
১৯৩০ এবং ১৯৫০ এর বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপের আসর শুরু করেছিল হার দিয়ে। কোষ্টারিকার কাছে ৩-১ গোলে হেরে। সেদিন মহাখুশি হয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ানরা। তাদের মুখে শোনা গেছে উরুগুয়ে বিদায় হয়ে যাচ্ছে। উরুগুয়ে বিদায় নিচ্ছে ভেবে হোটেল-রেস্টুরেন্টে বিয়ারে চুমুক দিয়েছেন অনেকেই। তাদের যুক্তি ছিল কোষ্টারিকার কাছেই হেরে গেছে, তার মানে পরের দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড এবং ইতালির কাছে তুলোধুনো হয়ে যাবে দলটি। কিন্তু এমন ধারণা বদলে দিয়েছেন ফিফার ৭ নম্বরে থাকা কোচ অসকার তাভারেজের দল উরুগুয়ে। ইতালিকে ১-০ গোলে হারিয়ে উরুগুয়ে ব্রাজিলিয়ানদের যেন বলেছে 'মাত্র শুরু অপেক্ষা করো আরো আছে'। প্রিকোয়ার্টার পর্বে উঠার জন্য উরুগুয়ের দরকার ছিল আরেকটি জয়। সামনে তখন প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে উরুগুয়ে। ২-০ গোলে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ডি গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে উরুগুয়ে প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে (ক্রোয়েশিয়া গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন) চলে আসে। বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দুই দলকে বিদায় করে দিয়ে শুধু ব্রাজিলেরই নয়, পুরো ফুটবল দুনিয়াকে চমকে দিয়েছে তারা।
তবে প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের দুঃখ, তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাইকার সুয়ারেজ মাঠে নামতে পারছেন না। ইতালির এক ফুটবলারকে কামড়ে দিয়ে নয় ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন তিনি। তাই আজ সুয়ারেজকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে উরুগুয়েকে। ফরমেশন পরিবর্তন করতে হবে কোচকে। কোচ অসকার তাভারেজের দল ৪-৪-২ ফরমেশনে খেলে। আবার দেখা যায় ৩-৫-২ এবং ৪-৩-৩ ফরমেশনেও খেলেছে। তবে কোচ স্বীকার করেছেন, সুয়ারেজ নিঃসন্দেহে দলের জন্য বড় অস্ত্র। তাকে ছাড়া দল কিছুটা পিছিয়ে থাকবে। তবে তিনি চাইছেন অপর স্ট্রাইকার কাবানিকে কাজে লাগাতে। তাকে (কাবানি) সহযোগিতা করবেন রডরিগুইজ, স্টুয়ানি, পেছনে থাকবেন আরভালো এবং লডিয়েরো।
২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ফুটবলের গত আসরে উরুগুয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল। আর কলম্বিয়া টানা তিনটি বিশ্বকাপ (২০০২, ২০০৬, ২০১০) ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বেই উঠতে পারেনি। কলম্বিয়ার সেরা সাফল্য বলতে ১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা। ২৪ বছর পর আবার কলম্বিয়া প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বকাপ ফুটবলে কলম্বিয়া-উরুগুয়ে যে ক'বার মুখোমুখি হয়েছে তাতে আজকের খেলায় ফেভারিট হচ্ছে উরুগুয়ে। এ পর্যন্ত তারা ফিফার ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ১৭ বার। উরুগুয়ের জয়টা বেশি। ৭ বার। কলম্বিয়ার জয় ৪ বার।
তবে পরিসংখ্যান অনেক সময় ম্যাচে কোনো কাজে আসে না। কলম্বিয়া সে প্রমাণ রাখতে চায় আজ। সি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন কলম্বিয়া ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট পেয়েছে। গ্রীস (৩-০), আইভরি কোষ্ট (২-১) এবং জাপানকে হারিয়েছে (৪-১) তারা। তারপরও কলম্বিয়ার জন্য কঠিন পরীক্ষাই আজ।
এই মারাকানা স্টেডিয়ামেই ১৯৫০ বিশ্বকাপ ফুটবলের শেষ ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে হেরে ভেঙ্গে যায় ব্রাজিলের স্বপ্ন। সেই ব্রাজিলের মাটিতেই আবার উরুগুয়ে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলেছে। সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি এবং ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তারা উঠে গেছে শেষ ষোলয়। আজ তাদের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। বেলে হরিজোন্তোয় ব্রাজিল-চিলি ম্যাচের পর রাত ২টায় মারাকানায় মুখোমুখি হবে তারা।
১৯৩০ এবং ১৯৫০ এর বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপের আসর শুরু করেছিল হার দিয়ে। কোষ্টারিকার কাছে ৩-১ গোলে হেরে। সেদিন মহাখুশি হয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ানরা। তাদের মুখে শোনা গেছে উরুগুয়ে বিদায় হয়ে যাচ্ছে। উরুগুয়ে বিদায় নিচ্ছে ভেবে হোটেল-রেস্টুরেন্টে বিয়ারে চুমুক দিয়েছেন অনেকেই। তাদের যুক্তি ছিল কোষ্টারিকার কাছেই হেরে গেছে, তার মানে পরের দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড এবং ইতালির কাছে তুলোধুনো হয়ে যাবে দলটি। কিন্তু এমন ধারণা বদলে দিয়েছেন ফিফার ৭ নম্বরে থাকা কোচ অসকার তাভারেজের দল উরুগুয়ে। ইতালিকে ১-০ গোলে হারিয়ে উরুগুয়ে ব্রাজিলিয়ানদের যেন বলেছে 'মাত্র শুরু অপেক্ষা করো আরো আছে'। প্রিকোয়ার্টার পর্বে উঠার জন্য উরুগুয়ের দরকার ছিল আরেকটি জয়। সামনে তখন প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে উরুগুয়ে। ২-০ গোলে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ডি গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে উরুগুয়ে প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে (ক্রোয়েশিয়া গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন) চলে আসে। বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দুই দলকে বিদায় করে দিয়ে শুধু ব্রাজিলেরই নয়, পুরো ফুটবল দুনিয়াকে চমকে দিয়েছে তারা।
তবে প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের দুঃখ, তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাইকার সুয়ারেজ মাঠে নামতে পারছেন না। ইতালির এক ফুটবলারকে কামড়ে দিয়ে নয় ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন তিনি। তাই আজ সুয়ারেজকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে উরুগুয়েকে। ফরমেশন পরিবর্তন করতে হবে কোচকে। কোচ অসকার তাভারেজের দল ৪-৪-২ ফরমেশনে খেলে। আবার দেখা যায় ৩-৫-২ এবং ৪-৩-৩ ফরমেশনেও খেলেছে। তবে কোচ স্বীকার করেছেন, সুয়ারেজ নিঃসন্দেহে দলের জন্য বড় অস্ত্র। তাকে ছাড়া দল কিছুটা পিছিয়ে থাকবে। তবে তিনি চাইছেন অপর স্ট্রাইকার কাবানিকে কাজে লাগাতে। তাকে (কাবানি) সহযোগিতা করবেন রডরিগুইজ, স্টুয়ানি, পেছনে থাকবেন আরভালো এবং লডিয়েরো।
২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ফুটবলের গত আসরে উরুগুয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল। আর কলম্বিয়া টানা তিনটি বিশ্বকাপ (২০০২, ২০০৬, ২০১০) ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বেই উঠতে পারেনি। কলম্বিয়ার সেরা সাফল্য বলতে ১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা। ২৪ বছর পর আবার কলম্বিয়া প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বকাপ ফুটবলে কলম্বিয়া-উরুগুয়ে যে ক'বার মুখোমুখি হয়েছে তাতে আজকের খেলায় ফেভারিট হচ্ছে উরুগুয়ে। এ পর্যন্ত তারা ফিফার ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ১৭ বার। উরুগুয়ের জয়টা বেশি। ৭ বার। কলম্বিয়ার জয় ৪ বার।
তবে পরিসংখ্যান অনেক সময় ম্যাচে কোনো কাজে আসে না। কলম্বিয়া সে প্রমাণ রাখতে চায় আজ। সি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন কলম্বিয়া ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট পেয়েছে। গ্রীস (৩-০), আইভরি কোষ্ট (২-১) এবং জাপানকে হারিয়েছে (৪-১) তারা। তারপরও কলম্বিয়ার জন্য কঠিন পরীক্ষাই আজ।
Post a Comment