উন্নয়নের দুর্ভোগ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য রাজধানীকে সাজানোর প্রক্রিয়া দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
তারা বলছেন, এসএসসি পরীক্ষার এই সময়ে রাস্তা মেরামতের কারণে সড়কে যানজট দেখা দিয়েছে, যাতে ভুগতে হচ্ছে প্রতিদিনই।
একটি বড় আয়োজনের জন্য দ্রুত কাজ হওয়ায় সাময়িক এই দুর্ভোগ মেনে নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মিরপুর অঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
তবে নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম দুর্ভোগের জন্য প্রশাসনের অদূরদর্শিতাকে দায়ী করে রাতে মেরামতের কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
আগামী ৮ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল ভেন্যু ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
তবে একে কেন্দ্র করে প্রায় সারা ঢাকায়ই সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ চলছে। এসএসসি পরীক্ষার মধ্যে তা চলায় পরীক্ষার্থীদের পথে সময় বেশি লাগছে বলে অভিভাবকরা জানান।
মিরপুরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খোড়াখুঁড়ির কারণে সড়কে যানজট লেগে থাকছে।
এই কারণে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলেকে নিয়ে দুই কিলোমিটার দূরের পরীক্ষা কেন্দ্র বাংলা স্কুলে যেতে তার সময় এক ঘণ্টা বেশি লাগছে বলে জানান তিনি।
“সারা বছর গেলে কেউ রাস্তার দিকে তাকাইলো না। এখন দেখি ছেলেটার পরীক্ষার সময় এই অবস্থা।”
মহাখালী ও বনানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেও একই ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া যায়। তারা বলছেন, বিমানবন্দর এলাকা থেকে মহাখালী পর্যন্ত এখন যানজট লেগেই রয়েছে।
আজিমপুরের বাসিন্দা রনী চক্রবর্তী নিয়মিত অফিস করেন উত্তরার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।
“এমনিতে আধা ঘণ্টার পথ লাগে দুই ঘণ্টা, তারপর আবার রাস্তার মেরামত,” বলেন তিনি।
নগরবাসীর এই অভিযোগ মেনে নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেও দ্রুত কাজ সারতে এর বিকল্প না থাকার কথা বললেন সিটি করপোরেশনের মিরপুর অঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল।
তিনি বলেন, “গত ১৫ দিন ধরে চলা এ সব কাজ ৪ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে। আমাদের উপায় নেই, ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে।”
“আমরা যতটা কম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি,” নগরবাসীকে আশ্বস্ত করেন নগর কর্মকর্তা।
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুলের মতে, এসব উন্নয়ন কাজ সবসময় রাতে করা উচিত।
“হয় এদের কোনো ধারণা নেই কিংবা এরা জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে,” নগর কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগ তুলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন তিনি।
অধ্যাপক নজরুলের মতে, তাড়াহুড়ো কাজ করলে তা ভাল হয় না। ফলে অর্থ নষ্ট হয়।
এজন্য নগর কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি না থাকার অভিযোগও করেন তিনি।
“জবাবদিহি না থাকায় তারা ড্যাম কেয়ার স্টাইলে চলে। দুর্বল ও অগ্রহণযোগ্য প্রশাসনের কারণে এই অবস্থা।”
তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটানোর পরিবর্তে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা করে উন্নয়ন কাজ চালানোর পরামর্শ দেন এই পরিকল্পনাবিদ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য রাজধানীকে সাজানোর প্রক্রিয়া দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
তারা বলছেন, এসএসসি পরীক্ষার এই সময়ে রাস্তা মেরামতের কারণে সড়কে যানজট দেখা দিয়েছে, যাতে ভুগতে হচ্ছে প্রতিদিনই।
একটি বড় আয়োজনের জন্য দ্রুত কাজ হওয়ায় সাময়িক এই দুর্ভোগ মেনে নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মিরপুর অঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
তবে নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম দুর্ভোগের জন্য প্রশাসনের অদূরদর্শিতাকে দায়ী করে রাতে মেরামতের কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
আগামী ৮ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল ভেন্যু ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
তবে একে কেন্দ্র করে প্রায় সারা ঢাকায়ই সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ চলছে। এসএসসি পরীক্ষার মধ্যে তা চলায় পরীক্ষার্থীদের পথে সময় বেশি লাগছে বলে অভিভাবকরা জানান।
মিরপুরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খোড়াখুঁড়ির কারণে সড়কে যানজট লেগে থাকছে।
এই কারণে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলেকে নিয়ে দুই কিলোমিটার দূরের পরীক্ষা কেন্দ্র বাংলা স্কুলে যেতে তার সময় এক ঘণ্টা বেশি লাগছে বলে জানান তিনি।
“সারা বছর গেলে কেউ রাস্তার দিকে তাকাইলো না। এখন দেখি ছেলেটার পরীক্ষার সময় এই অবস্থা।”
মহাখালী ও বনানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেও একই ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া যায়। তারা বলছেন, বিমানবন্দর এলাকা থেকে মহাখালী পর্যন্ত এখন যানজট লেগেই রয়েছে।
আজিমপুরের বাসিন্দা রনী চক্রবর্তী নিয়মিত অফিস করেন উত্তরার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।
“এমনিতে আধা ঘণ্টার পথ লাগে দুই ঘণ্টা, তারপর আবার রাস্তার মেরামত,” বলেন তিনি।
নগরবাসীর এই অভিযোগ মেনে নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেও দ্রুত কাজ সারতে এর বিকল্প না থাকার কথা বললেন সিটি করপোরেশনের মিরপুর অঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল।
তিনি বলেন, “গত ১৫ দিন ধরে চলা এ সব কাজ ৪ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে। আমাদের উপায় নেই, ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে।”
“আমরা যতটা কম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি,” নগরবাসীকে আশ্বস্ত করেন নগর কর্মকর্তা।
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুলের মতে, এসব উন্নয়ন কাজ সবসময় রাতে করা উচিত।
“হয় এদের কোনো ধারণা নেই কিংবা এরা জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে,” নগর কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগ তুলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন তিনি।
অধ্যাপক নজরুলের মতে, তাড়াহুড়ো কাজ করলে তা ভাল হয় না। ফলে অর্থ নষ্ট হয়।
এজন্য নগর কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি না থাকার অভিযোগও করেন তিনি।
“জবাবদিহি না থাকায় তারা ড্যাম কেয়ার স্টাইলে চলে। দুর্বল ও অগ্রহণযোগ্য প্রশাসনের কারণে এই অবস্থা।”
তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটানোর পরিবর্তে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা করে উন্নয়ন কাজ চালানোর পরামর্শ দেন এই পরিকল্পনাবিদ।
Post a Comment