আ. লীগের ইশতেহার: ‘আসুন, এগিয়ে যাই সমৃদ্ধির মহাসড়কে’
==============================
গত পাঁচ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে সমৃদ্ধির মহাসড়কে তোলা হয়েছে দাবি করে এই যাত্রা গতিশীল রাখতে দেশবাসীর কাছে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্ব চেয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি আওয়ামী লীগের ইশতেহার
বিরোধী দলবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আট দিন আগে শনিবার ঘোষিত এই ইশতেহারে বিএনপি-জামায়াত জোটের সমালোচনা করে তাদের হুমকি উপেক্ষা করে দেশের মানুষকে ভোট দিতে যাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
ভোট রুখতে বিরোধী দলের আন্দোলনের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়ার পর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মের ওপর ভরসা করে বলেছেন, “তাদের হাতেই তুলে দিচ্ছি ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামের এই ইশতেহার।”
ঘোষিত ইশতেহারে পাঁচ বছরে কী কী করবেন, তার বিস্তারিত বর্ণনা দিলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা হলে দশম সংসদ ভেঙে আগাম নির্বাচন দেবেন; যদিও বিরোধী জোট এই নির্বাচনেই তাদের দাবির প্রতিফলন দেখতে চাইছে।
শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার, পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার, দ্বিতীয় পদ্মা ও দ্বিতীয় যমুনা সেতু নির্মাণের, শিল্প শ্রমিকসহ গরিবদের জন্য রেশন চালু, জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের।
সেইসঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দুর্নীতি হ্রাস, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তির প্রসার, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত, পরিকল্পিত নগরায়ন, সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, বিচার বিভাগের ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার।
নারীর ক্ষমতায়নে নারী উন্নয়ন নীতিমালা অনুসরণ ও বাস্তবায়নের পক্ষে অবস্থান জানানোর পাশাপাশি আবার কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন প্রণয়ন না করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন শেখ হাসিনা। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে উন্নত মসজিদ নির্মাণেরও।
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ২০২১ সালের রূপকল্প সামনে তুলে ধরে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন শেখ হাসিনা। এবার তিনি বলেছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা করা হবে, যা বাংলাদেশকে ২০৫০ সালের মধ্যে নিয়ে যাবে উন্নত দেশের তালিকায়।
গত নির্বাচনের ইশতেহার বাস্তবায়নের দাবি করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেছেন, “আমরা আমাদের কথা রেখেছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আমরা আজ বলতে পারি, বাংলাদেশ এখন আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে পা বাড়িয়েছি।”
এই ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে বাধা হিসেবে বিএনপি-জামায়াত জোটকে দায়ী করে তিনি বলেন, “যুদ্ধাপরাধের বিচার ও জামাতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রেক্ষিতে বিএনপিই এখন জামাতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশকে তারা সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া ও রায় কার্যকরের পর আগামীতে এই বিচার বানচালের ষড়যন্ত্রে জড়িতদেরও বিচারেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
সেই সঙ্গে এই বিচার বানচালে আন্দোলনের নামে হত্যা, সন্ত্রাস, পবিত্র কোরআন শরিফে অগ্নিসংযোগ, শিল্প-কারখানায় অগ্নিসংযোগ, রেলওয়ের ফিশপ্লেট উপড়ে ফেলা, সড়ক কাটাসহ রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পদের ধ্বংস, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, উপাসনালয় ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও বৃক্ষ নিধনের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
গত পাঁচ বছরে বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা আগামী পাঁচ বছরে দেশের প্রতিটি গরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০১৬ সালের মধ্যে ১৬ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন।
বাপেক্সকে শক্তিশালী করে খনিজ অনুসন্ধানের পাশাপাশি গ্যাসের মজুদ কম বলে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি অব্যাহিত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। এজন্য মহেশখালী দ্বীপে এলএনজি টার্মিনালসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
প্রথম পদ্মা সেতু নির্মাণের মূল কাজ শুরু না হলেও ইশতেহারে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় যমুনা সেতুর ঘোষণাও এসেছে। সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পর ঢাকা-মংলা ও ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতুও চার লেইনের প্রতিশ্রুতিও রয়েছে।
আওয়ামী লীগের বর্তমান আমলে আইন সংশোধন করে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাধীনতা খর্বের অভিযোগ উঠলেও এবারের ইশতেহারেও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির কার্যকারিতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখারও প্রতিশ্রুতি এসেছে।
থ্রি জির পর এবার ফোর জি চালু, আগামী পাঁচ বছরে দেশের সব জমির রেকর্ড ডিজিটালাইজডের কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় গেলে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, অতি দরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য ও টেস্ট রিলিফ ছাড়াও একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ন, গৃহায়ন, আদর্শ গ্রাম, গুচ্ছ গ্রাম, ঘরে ফেরা প্রভৃতি কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।
প্রতিটি জেলায় একটি করে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। শিক্ষকদের দলাদলিতে যাতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয় সেজন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশগুলো পুনর্মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় সংশোধন করার কথা বলেন তিনি।
মহাজোট সরকারের ৫ বছরের সাফল্যও তুলে ধরা হয় ৪৮ পৃষ্ঠার এই ইশতেহারে।‘দিনবদলের সনদ’ শিরোনামে ওই ইশতেহারে ভর করে ক্ষমতায় যাওয়ার পর এবার ক্ষমতায় থাকতে ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামের ইশতেহার দিল।
বিরোধী দলের অহযোগিতা ও সংঘাতের রাজনীতি নিয়ে একটি পরিচ্ছদ রাখা হয় ইশতেহারে। আর তাতে শেখ হাসিনা বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী একটি অবাধ, শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই এ দেশের মানুষ এই অপশক্তির সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেবে।”
==============================
গত পাঁচ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে সমৃদ্ধির মহাসড়কে তোলা হয়েছে দাবি করে এই যাত্রা গতিশীল রাখতে দেশবাসীর কাছে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্ব চেয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি আওয়ামী লীগের ইশতেহার
বিরোধী দলবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আট দিন আগে শনিবার ঘোষিত এই ইশতেহারে বিএনপি-জামায়াত জোটের সমালোচনা করে তাদের হুমকি উপেক্ষা করে দেশের মানুষকে ভোট দিতে যাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
ভোট রুখতে বিরোধী দলের আন্দোলনের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়ার পর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মের ওপর ভরসা করে বলেছেন, “তাদের হাতেই তুলে দিচ্ছি ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামের এই ইশতেহার।”
ঘোষিত ইশতেহারে পাঁচ বছরে কী কী করবেন, তার বিস্তারিত বর্ণনা দিলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা হলে দশম সংসদ ভেঙে আগাম নির্বাচন দেবেন; যদিও বিরোধী জোট এই নির্বাচনেই তাদের দাবির প্রতিফলন দেখতে চাইছে।
শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার, পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার, দ্বিতীয় পদ্মা ও দ্বিতীয় যমুনা সেতু নির্মাণের, শিল্প শ্রমিকসহ গরিবদের জন্য রেশন চালু, জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের।
সেইসঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দুর্নীতি হ্রাস, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তির প্রসার, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত, পরিকল্পিত নগরায়ন, সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, বিচার বিভাগের ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার।
নারীর ক্ষমতায়নে নারী উন্নয়ন নীতিমালা অনুসরণ ও বাস্তবায়নের পক্ষে অবস্থান জানানোর পাশাপাশি আবার কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন প্রণয়ন না করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন শেখ হাসিনা। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে উন্নত মসজিদ নির্মাণেরও।
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ২০২১ সালের রূপকল্প সামনে তুলে ধরে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন শেখ হাসিনা। এবার তিনি বলেছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা করা হবে, যা বাংলাদেশকে ২০৫০ সালের মধ্যে নিয়ে যাবে উন্নত দেশের তালিকায়।
গত নির্বাচনের ইশতেহার বাস্তবায়নের দাবি করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেছেন, “আমরা আমাদের কথা রেখেছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আমরা আজ বলতে পারি, বাংলাদেশ এখন আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে পা বাড়িয়েছি।”
এই ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে বাধা হিসেবে বিএনপি-জামায়াত জোটকে দায়ী করে তিনি বলেন, “যুদ্ধাপরাধের বিচার ও জামাতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রেক্ষিতে বিএনপিই এখন জামাতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশকে তারা সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া ও রায় কার্যকরের পর আগামীতে এই বিচার বানচালের ষড়যন্ত্রে জড়িতদেরও বিচারেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
সেই সঙ্গে এই বিচার বানচালে আন্দোলনের নামে হত্যা, সন্ত্রাস, পবিত্র কোরআন শরিফে অগ্নিসংযোগ, শিল্প-কারখানায় অগ্নিসংযোগ, রেলওয়ের ফিশপ্লেট উপড়ে ফেলা, সড়ক কাটাসহ রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পদের ধ্বংস, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, উপাসনালয় ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও বৃক্ষ নিধনের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
গত পাঁচ বছরে বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা আগামী পাঁচ বছরে দেশের প্রতিটি গরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০১৬ সালের মধ্যে ১৬ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন।
বাপেক্সকে শক্তিশালী করে খনিজ অনুসন্ধানের পাশাপাশি গ্যাসের মজুদ কম বলে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি অব্যাহিত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। এজন্য মহেশখালী দ্বীপে এলএনজি টার্মিনালসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
প্রথম পদ্মা সেতু নির্মাণের মূল কাজ শুরু না হলেও ইশতেহারে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় যমুনা সেতুর ঘোষণাও এসেছে। সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পর ঢাকা-মংলা ও ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতুও চার লেইনের প্রতিশ্রুতিও রয়েছে।
আওয়ামী লীগের বর্তমান আমলে আইন সংশোধন করে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাধীনতা খর্বের অভিযোগ উঠলেও এবারের ইশতেহারেও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির কার্যকারিতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখারও প্রতিশ্রুতি এসেছে।
থ্রি জির পর এবার ফোর জি চালু, আগামী পাঁচ বছরে দেশের সব জমির রেকর্ড ডিজিটালাইজডের কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় গেলে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, অতি দরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য ও টেস্ট রিলিফ ছাড়াও একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ন, গৃহায়ন, আদর্শ গ্রাম, গুচ্ছ গ্রাম, ঘরে ফেরা প্রভৃতি কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।
প্রতিটি জেলায় একটি করে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। শিক্ষকদের দলাদলিতে যাতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয় সেজন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশগুলো পুনর্মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় সংশোধন করার কথা বলেন তিনি।
মহাজোট সরকারের ৫ বছরের সাফল্যও তুলে ধরা হয় ৪৮ পৃষ্ঠার এই ইশতেহারে।‘দিনবদলের সনদ’ শিরোনামে ওই ইশতেহারে ভর করে ক্ষমতায় যাওয়ার পর এবার ক্ষমতায় থাকতে ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামের ইশতেহার দিল।
বিরোধী দলের অহযোগিতা ও সংঘাতের রাজনীতি নিয়ে একটি পরিচ্ছদ রাখা হয় ইশতেহারে। আর তাতে শেখ হাসিনা বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী একটি অবাধ, শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই এ দেশের মানুষ এই অপশক্তির সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেবে।”
Post a Comment