প্রেসক্লাবের ভিতরেও সংঘর্ষ, সাংবাদিক আহত
=======================
প্রেসক্লাবের ভিতরে বিএনপি সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ সমর্থক এক সাংবাদিক নেতা আহত হয়েছেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সংঘর্ষে আহত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ ও ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকার সাংবাদিক মফিজুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক রিয়াজুল বাশার জানান, বিএনপি-জামায়াত সমর্থক সাংবাদিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ঢিল ছোড়াছুড়ির পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে আধা ঘণ্টার মাথায় আবারো প্রেসক্লাবের ভিতরে সমাবেশ শুরু করে বিএনপি সমর্থকরা।
এর কিছু সময় পর আওয়ামী লীগ সমর্থক একদল সাংবাদিক প্রেসক্লাবের ভিতরে একপাশে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ শুরু করে। তখন বিএনপি সমর্থকরা ঢিল ছুড়লে মফিজুল আহত হন।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবের ভিতরে ‘বন্ধ গণমাধ্যম’ খুলে দেয়ার দাবিতে সমাবেশ করছিলেন।
এ সময় পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের মিছিল এলে সমাবেশের মাইক থেকে ‘শেখ হাসিনার গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’সহ বিভিন্ন সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়া হয়।
এই স্লোগানে আওয়ামী লীগ কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে বিএনপি সমর্থকরাও উত্তেজনা দেখান। এক পর্যায়ে ওই এলাকায় রাস্তা সংস্কারের কাজের জন্য পড়ে থাকা ইটের টুকরো প্রেসক্লাবের ভিতরে ছুড়ে মারেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা। তখন ভিতর থেকেও পাল্টা ঢিল ছোড়া হয়।
প্রায় আধা ঘণ্টা পর আওয়ামী লীগ কর্মীদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান সাংবাদিকদের বলেন, “প্রেসক্লাবের ভিতরে বিএনপির কর্মসূচির পক্ষে একটি সমাবেশ হচ্ছিল। সেই সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়া হয়।
“সে সময় আওয়ামী লীগ সমর্থকদের একটি মিছিল প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়।”
ঘটনার পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “জাতীয় প্রেসক্লাব যদি কোনো দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু হয় তাহলে খুবই দুঃখজনক। আমরা চাই না প্রেসক্লাব কোনো দলীয় কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু হোক।
“আজকে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি এই ক্লাবের ভিতরে একটি দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচির সমর্থনে কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে। এই কারণেই বিরোধীপক্ষ তাদের উত্তেজনা দেখিয়েছে।”
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর নেতৃত্বে একযোগে বেশ কয়েকজন প্রেসক্লাব থেকে বেরোতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে প্রেসক্লাবের ভিতরে অবস্থান নেন সাংবাদিকরা।
আগামী ৫ জানুয়ারির ভোট রুখতে আহ্বান জানিয়ে রোববার ‘ঢাকামুখী যাত্রা’ কর্মসূচির ডাক দেন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এই কর্মসূচির সুযোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় জড়িত জামায়াত-শিবির কর্মীরা ঢাকায় এসে নাশকতা চালাতে পারে-আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজধানীতে বিরোধী দলকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
দুইদিন আগে থেকেই সারা দেশের সঙ্গে রাজধানীর যান চলাচল অনেকাংশে বন্ধ করা হয়েছে। রোববার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ও প্রবেশ পথগুলোতে চেক পোস্ট বসিয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
=======================
প্রেসক্লাবের ভিতরে বিএনপি সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ সমর্থক এক সাংবাদিক নেতা আহত হয়েছেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সংঘর্ষে আহত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ ও ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকার সাংবাদিক মফিজুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক রিয়াজুল বাশার জানান, বিএনপি-জামায়াত সমর্থক সাংবাদিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ঢিল ছোড়াছুড়ির পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে আধা ঘণ্টার মাথায় আবারো প্রেসক্লাবের ভিতরে সমাবেশ শুরু করে বিএনপি সমর্থকরা।
এর কিছু সময় পর আওয়ামী লীগ সমর্থক একদল সাংবাদিক প্রেসক্লাবের ভিতরে একপাশে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ শুরু করে। তখন বিএনপি সমর্থকরা ঢিল ছুড়লে মফিজুল আহত হন।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবের ভিতরে ‘বন্ধ গণমাধ্যম’ খুলে দেয়ার দাবিতে সমাবেশ করছিলেন।
এ সময় পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের মিছিল এলে সমাবেশের মাইক থেকে ‘শেখ হাসিনার গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’সহ বিভিন্ন সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়া হয়।
এই স্লোগানে আওয়ামী লীগ কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে বিএনপি সমর্থকরাও উত্তেজনা দেখান। এক পর্যায়ে ওই এলাকায় রাস্তা সংস্কারের কাজের জন্য পড়ে থাকা ইটের টুকরো প্রেসক্লাবের ভিতরে ছুড়ে মারেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা। তখন ভিতর থেকেও পাল্টা ঢিল ছোড়া হয়।
প্রায় আধা ঘণ্টা পর আওয়ামী লীগ কর্মীদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান সাংবাদিকদের বলেন, “প্রেসক্লাবের ভিতরে বিএনপির কর্মসূচির পক্ষে একটি সমাবেশ হচ্ছিল। সেই সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়া হয়।
“সে সময় আওয়ামী লীগ সমর্থকদের একটি মিছিল প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়।”
ঘটনার পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “জাতীয় প্রেসক্লাব যদি কোনো দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু হয় তাহলে খুবই দুঃখজনক। আমরা চাই না প্রেসক্লাব কোনো দলীয় কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু হোক।
“আজকে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি এই ক্লাবের ভিতরে একটি দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচির সমর্থনে কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে। এই কারণেই বিরোধীপক্ষ তাদের উত্তেজনা দেখিয়েছে।”
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর নেতৃত্বে একযোগে বেশ কয়েকজন প্রেসক্লাব থেকে বেরোতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে প্রেসক্লাবের ভিতরে অবস্থান নেন সাংবাদিকরা।
আগামী ৫ জানুয়ারির ভোট রুখতে আহ্বান জানিয়ে রোববার ‘ঢাকামুখী যাত্রা’ কর্মসূচির ডাক দেন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এই কর্মসূচির সুযোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় জড়িত জামায়াত-শিবির কর্মীরা ঢাকায় এসে নাশকতা চালাতে পারে-আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজধানীতে বিরোধী দলকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
দুইদিন আগে থেকেই সারা দেশের সঙ্গে রাজধানীর যান চলাচল অনেকাংশে বন্ধ করা হয়েছে। রোববার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ও প্রবেশ পথগুলোতে চেক পোস্ট বসিয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
Post a Comment