জেএসসি-জেডিসি: পাসের হার, জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে
============================
বিরোধীদলের হরতাল-অবরোধে দফায় দফায় পরীক্ষা পেছালেও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে। ফলের অপেক্ষায় ১৯ লাখ শিক্ষার্থী
সারা দেশে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এই সমাপনী পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৮৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ ছাত্রছাত্রী।
এবার ১৯ লাখ দুই হাজার ৭৪৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ১০৯ জন।
এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ২০৮ জন। এ বছর প্রথমবারের মতো চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ হওয়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর হার বেড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার সকাল ১০টায় গণবভনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন।
শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তাসলিমা বেগমসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর জেএসসি-জেডিসিতে পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাশের হার বেড়েছে তিন শতাংশ পয়েন্টের মতো।
জেএসসি-জেডিসিতে গত বছর ৪৬ হাজার ৯৪২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছিল। এর মধ্যে জেএসসিতে ৪৪ হাজার ১৫৮ জন এবং জেডিসিতে ২ হাজার ৭৮৪ জন পেয়েছিল পূর্ণ জিপিএ।
এবার আট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে ৮৯ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
জেএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৫২ হাজার ৯৯৭ জন, আর জেডিসিতে ১৯ হাজার ২১১ জন।
এবার চার হাজার ৯৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তবে ৫৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি।
বোর্ডওয়ারি পাসের হার- ঢাকায় ৮৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ, রাজশাহীতে ৯৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যশোরে ৮৯ দশমিক ০৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮৬ দশমিক ১৩ শতাংশ, বরিশালে ৯৬ দশমিক ৬০ শতাংশ, সিলেটে ৯১ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং দিনাজপুর বোর্ডে ৮৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।
আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে পাস করেছে ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী।
শিক্ষামন্ত্রী দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এরপর বেলা ২টা থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) জেএসসি ও জেডিসির ফল দেয়া হবে।
এছাড়া যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে JSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালেও ফিরতি এসএমএসে জেএসসির ফল জানা যাবে।
আর জেডিসির ফল পেতে একইভাবে JDC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
৪ নভেম্বর থেকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও বিরোধী দলের অবরোধের কারণে ৪ ও ৬ নভেম্বরের পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়। একই কারণে পিছিয়ে যায় জেএসসি-জেডিসির ১৭টি বিষয়ের পরীক্ষা।
ফলে ২০ নভেম্বর এই পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয় ২২ নভেম্বর। তবে এবারো ঘোষিত সময়ের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হলো।
============================
বিরোধীদলের হরতাল-অবরোধে দফায় দফায় পরীক্ষা পেছালেও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে। ফলের অপেক্ষায় ১৯ লাখ শিক্ষার্থী
সারা দেশে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এই সমাপনী পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৮৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ ছাত্রছাত্রী।
এবার ১৯ লাখ দুই হাজার ৭৪৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ১০৯ জন।
এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ২০৮ জন। এ বছর প্রথমবারের মতো চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ হওয়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর হার বেড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার সকাল ১০টায় গণবভনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন।
শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তাসলিমা বেগমসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর জেএসসি-জেডিসিতে পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাশের হার বেড়েছে তিন শতাংশ পয়েন্টের মতো।
জেএসসি-জেডিসিতে গত বছর ৪৬ হাজার ৯৪২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছিল। এর মধ্যে জেএসসিতে ৪৪ হাজার ১৫৮ জন এবং জেডিসিতে ২ হাজার ৭৮৪ জন পেয়েছিল পূর্ণ জিপিএ।
এবার আট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে ৮৯ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
জেএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৫২ হাজার ৯৯৭ জন, আর জেডিসিতে ১৯ হাজার ২১১ জন।
এবার চার হাজার ৯৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তবে ৫৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি।
বোর্ডওয়ারি পাসের হার- ঢাকায় ৮৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ, রাজশাহীতে ৯৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যশোরে ৮৯ দশমিক ০৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮৬ দশমিক ১৩ শতাংশ, বরিশালে ৯৬ দশমিক ৬০ শতাংশ, সিলেটে ৯১ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং দিনাজপুর বোর্ডে ৮৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।
আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে পাস করেছে ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী।
শিক্ষামন্ত্রী দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এরপর বেলা ২টা থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) জেএসসি ও জেডিসির ফল দেয়া হবে।
এছাড়া যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে JSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালেও ফিরতি এসএমএসে জেএসসির ফল জানা যাবে।
আর জেডিসির ফল পেতে একইভাবে JDC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
৪ নভেম্বর থেকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও বিরোধী দলের অবরোধের কারণে ৪ ও ৬ নভেম্বরের পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়। একই কারণে পিছিয়ে যায় জেএসসি-জেডিসির ১৭টি বিষয়ের পরীক্ষা।
ফলে ২০ নভেম্বর এই পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয় ২২ নভেম্বর। তবে এবারো ঘোষিত সময়ের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হলো।
Post a Comment