হরতালে রহস্যজনকভাবে শেয়ারবাজার চাঙ্গা
উদ্দেশ্যমূলক বিনিয়োগে হঠাত্ দরপতনের আশঙ্কা
আহসান হাবীব রাসেল
হরতাল হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিল্প কারখানার চাকা বন্ধ হয়ে যায়। বেশিরভাগ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে দেখা দেয় স্থবিরতা। অথচ হরতাল হলে শেয়ারবাজার রহস্যজনকভাবে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এমনটাই দেখা যাচ্ছে গত কয়েকদিনের হরতালে।
১৮ দলীয় জোটের ডাকা তিনদিনের হরতালের প্রথমদিন গতকাল সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৯১ পয়েন্ট। আর লেনদেন প্রায় ১০০ কোটি টাকা বেড়ে দেড় মাস পর চারশ' কোটির ঘর ছুঁয়েছে। এর আগে ২৭, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর টানা তিনদিনের হরতালের সময়ও দেখা গেছে সূচকের বড় ঊর্ধ্বগতি। কিন্তু হরতালের আগে ও পরে সূচক ও লেনদেনে যথারীতি মন্দাভাব।
তথ্যে দেখা গেছে, ২৭ অক্টোবর সূচক বেড়েছিল ১০৯ পয়েন্ট। আর লেনদেন বেড়েছিল প্রায় ২০ কোটি টাকা। এর পরদিন ডিএসইতে সূচক বাড়ে ৪২ পয়েন্ট। লেনদেন বাড়ে ১১৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা। হরতালের শেষদিন সূচক বাড়ে ৩৭ পয়েন্ট। আর লেনদেন বাড়ে প্রায় ২৩ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে সূচক বাড়ে ১৮০ পয়েন্ট। টানা তিনদিন এত বেশি পরিমাণে সূচক ও লেনদেন বাড়ার নজির গত কয়েক মাসের মধ্যে দেখা যায়নি। অথচ হরতালের কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কেন্দ্র শেয়ারবাজারে বড় দরপতনের আশঙ্কাতেই ছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতালের কারণে শেয়ারবাজার সাধারণত মন্দাভাব দেখা যায়। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে ঠিক তার উল্টো। তাই হরতাল বা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সময় লেনদেন ও সূচক অনেক বেড়ে যাওয়ার পেছনে কারো উদ্দেশ্যমূলক অংশগ্রহণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন ডিএসই'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ একে ইতিবাচকভাবে দেখলেও অনেকে মনে করছেন, বাজার তার নিজস্ব গতিতেই চলা উচিত। অন্যথায় হঠাত্ করে বড় দরপতনের ভয় থাকে।
এ প্রসঙ্গে কথা হয় ডিএসই'র সাবেক একজন পরিচালকের সঙ্গে। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নির্বাচন ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের কোনো বিক্ষোভ এই মুহূর্তে সরকারের জন্য ইতিবাচক নয়। তাই শেয়ারবাজার যেন হঠাত্ করে পড়ে না যায় সরকার এমনটাই চায়। আর হরতালের সময়ই যেহেতু বড় দরপতনের ভয় থাকে তাই এ সময়ই বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেউ কেউ বিনিয়োগ করছে। বাজারের জন্য এ ধরনের শেয়ার ক্রয় প্রবণতার প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে ক্রয়ের চাপ থাকলে তাতে ক্ষতির কিছু নেই। উপরন্তু ভালোই হয়। আর বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাওয়ার পর শেয়ার বিক্রির চাপ তেমন কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না।
একটি সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানির সিইও এ প্রসঙ্গে বলেন, শেয়ার ক্রয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেউ শেয়ার কেনা বেচা করা ইতিবাচক নয়। কারণ এ ক্ষেত্রে হঠাত্ করে বাজারে বড় দরপতনের আশঙ্কা তৈরি হয়।
উদ্দেশ্যমূলক বিনিয়োগে হঠাত্ দরপতনের আশঙ্কা
আহসান হাবীব রাসেল
হরতাল হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিল্প কারখানার চাকা বন্ধ হয়ে যায়। বেশিরভাগ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে দেখা দেয় স্থবিরতা। অথচ হরতাল হলে শেয়ারবাজার রহস্যজনকভাবে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এমনটাই দেখা যাচ্ছে গত কয়েকদিনের হরতালে।
১৮ দলীয় জোটের ডাকা তিনদিনের হরতালের প্রথমদিন গতকাল সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৯১ পয়েন্ট। আর লেনদেন প্রায় ১০০ কোটি টাকা বেড়ে দেড় মাস পর চারশ' কোটির ঘর ছুঁয়েছে। এর আগে ২৭, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর টানা তিনদিনের হরতালের সময়ও দেখা গেছে সূচকের বড় ঊর্ধ্বগতি। কিন্তু হরতালের আগে ও পরে সূচক ও লেনদেনে যথারীতি মন্দাভাব।
তথ্যে দেখা গেছে, ২৭ অক্টোবর সূচক বেড়েছিল ১০৯ পয়েন্ট। আর লেনদেন বেড়েছিল প্রায় ২০ কোটি টাকা। এর পরদিন ডিএসইতে সূচক বাড়ে ৪২ পয়েন্ট। লেনদেন বাড়ে ১১৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা। হরতালের শেষদিন সূচক বাড়ে ৩৭ পয়েন্ট। আর লেনদেন বাড়ে প্রায় ২৩ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে সূচক বাড়ে ১৮০ পয়েন্ট। টানা তিনদিন এত বেশি পরিমাণে সূচক ও লেনদেন বাড়ার নজির গত কয়েক মাসের মধ্যে দেখা যায়নি। অথচ হরতালের কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কেন্দ্র শেয়ারবাজারে বড় দরপতনের আশঙ্কাতেই ছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতালের কারণে শেয়ারবাজার সাধারণত মন্দাভাব দেখা যায়। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে ঠিক তার উল্টো। তাই হরতাল বা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সময় লেনদেন ও সূচক অনেক বেড়ে যাওয়ার পেছনে কারো উদ্দেশ্যমূলক অংশগ্রহণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন ডিএসই'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ একে ইতিবাচকভাবে দেখলেও অনেকে মনে করছেন, বাজার তার নিজস্ব গতিতেই চলা উচিত। অন্যথায় হঠাত্ করে বড় দরপতনের ভয় থাকে।
এ প্রসঙ্গে কথা হয় ডিএসই'র সাবেক একজন পরিচালকের সঙ্গে। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নির্বাচন ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের কোনো বিক্ষোভ এই মুহূর্তে সরকারের জন্য ইতিবাচক নয়। তাই শেয়ারবাজার যেন হঠাত্ করে পড়ে না যায় সরকার এমনটাই চায়। আর হরতালের সময়ই যেহেতু বড় দরপতনের ভয় থাকে তাই এ সময়ই বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেউ কেউ বিনিয়োগ করছে। বাজারের জন্য এ ধরনের শেয়ার ক্রয় প্রবণতার প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে ক্রয়ের চাপ থাকলে তাতে ক্ষতির কিছু নেই। উপরন্তু ভালোই হয়। আর বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাওয়ার পর শেয়ার বিক্রির চাপ তেমন কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না।
একটি সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানির সিইও এ প্রসঙ্গে বলেন, শেয়ার ক্রয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেউ শেয়ার কেনা বেচা করা ইতিবাচক নয়। কারণ এ ক্ষেত্রে হঠাত্ করে বাজারে বড় দরপতনের আশঙ্কা তৈরি হয়।
Post a Comment