এক শ্রেণীর পত্রিকা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে :প্রধানমন্ত্রী
পিআইবির ৮ তলা ভবন উদ্বোধন
ইত্তেফাক রিপোর্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এক শ্রেণীর সংবাদপত্র মুখরোচক তথ্য প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তারা সাংবাদিকতা ও গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি মানে না। তারা সংবিধানও মানে না। তবে তাদের মনে রাখা দরকার যে, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা থাকলে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি)'র নবনির্মিত ৮ তলা ভবন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এজন্য আপনাদের সাহায্য-সহযোগিতা চাই। সরকার সংবিধান সমুন্নত রাখতে চায়। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি শুধু এটুকুই চাচ্ছি, যারা পরবর্তী প্রজন্ম, যারা আগামী দিনের কর্ণধার হবে তাদের জন্য এমন ব্যবস্থা রেখে যাওয়া, যা হবে সংবিধান মোতাবেক। কোথাও না কোথাও থেকে শুরু করতে হবে এবং আমরাই সেটা শুরু করে যাব। প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের কল্যাণে একটি ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, সরকারি 'সীড মানি' দিয়ে এই ট্রাস্ট গঠিত হবে। সাংবাদিকরা অন্যদের কাছ থেকে এই তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে।
প্রচার মাধ্যমকে রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ, সমাজের দর্পণ, উন্নয়নের সহায়ক শক্তি এবং সাংবাদিকদের প্রচার মাধ্যমের প্রাণ হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর সামরিক সরকার শুধু সাংবাদিকদের উন্নয়ন প্রকল্পই বন্ধ করেনি। তখন সংবাদপত্র চলতো সামরিক ফরমান বলে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল না। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ভাষণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, গণতন্ত্রের একটা নীতিমালা আছে। সাংবাদিকতারও একটা নীতিমালা আছে। এ দু'টো মনে রাখলে আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই উক্তিটি আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যদি মুখে এক কথা বলেন, আর করেন আরেকটা তাহলে গণতন্ত্রের ঝুঁকি বাড়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির পথ-প্রদর্শক হিসেবে আবির্ভূত না হলে হয়তো সাংবাদিকই হতেন। ছাত্রজীবনে তিনি কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেহাদ-এর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু দৈনিক ইত্তেফাক প্রকাশে সহযোগিতা করেন। তিনি সাংবাদিকবান্ধব ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানি শাসন-শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন, তখন সংবাদকর্মীরা ছিলেন তার সহায়ক শক্তি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার এবার ক্ষমতায় আসার পর গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করতে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও সাংবাদিকদের তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিতসহ বহুমুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। এবার ১৭টি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল অনুমোদন এবং কমিউনিটি রেডিও চালু করা হয়েছে। সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধে তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার পরিবর্তে সমন জারির বিধান করে ফৌজদারী কার্যবিধি সংশোধন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রথম সাংবাদিক সহায়তা তহবিল গঠন ও এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে তারা এখন অনেক বেশি সহায়তা পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকেও সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের যথাযথ বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নিয়ে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সম্প্রতি হরতালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইদানীং হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের যানবাহন ভাঙচুরের শিকার হচ্ছে। ধর্মান্ধরা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের পাঁয়তারা করছে। অনেকে গণমাধ্যম ও সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে অশালীন ও আক্রমণাত্মক কথা বলেন। যা কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, তারা গণতন্ত্রের জন্যও মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। তিনি দেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে এসব অপশক্তি মোকাবেলায় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে প্রথমবারের মতো বেসরকারি খাতে টিভি চ্যানেল চালুর অনুমোদন দেয়া হয়; কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার এই অনুমোদন বাতিল করে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের জন্য প্রথম কল্যাণ তহবিল গঠন এবং সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পিআইবি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে; কিন্তু বিএনপির পাঁচ বছর ও পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই প্রকল্পের কাজে কোনো অগ্রগতি হয়নি। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার আরো সুযোগ-সুবিধাসহ এই প্রকল্প নবায়ন করেছে। এটি সম্পূর্ণ করতে মোট ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মুর্তজা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন এমপি, প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পিআইবির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মিলন, পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পিআইবি প্রকাশিত 'বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম' নামের একটি গ্রন্থ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মিলন।
পিআইবির ৮ তলা ভবন উদ্বোধন
ইত্তেফাক রিপোর্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এক শ্রেণীর সংবাদপত্র মুখরোচক তথ্য প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তারা সাংবাদিকতা ও গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি মানে না। তারা সংবিধানও মানে না। তবে তাদের মনে রাখা দরকার যে, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা থাকলে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি)'র নবনির্মিত ৮ তলা ভবন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এজন্য আপনাদের সাহায্য-সহযোগিতা চাই। সরকার সংবিধান সমুন্নত রাখতে চায়। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি শুধু এটুকুই চাচ্ছি, যারা পরবর্তী প্রজন্ম, যারা আগামী দিনের কর্ণধার হবে তাদের জন্য এমন ব্যবস্থা রেখে যাওয়া, যা হবে সংবিধান মোতাবেক। কোথাও না কোথাও থেকে শুরু করতে হবে এবং আমরাই সেটা শুরু করে যাব। প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের কল্যাণে একটি ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, সরকারি 'সীড মানি' দিয়ে এই ট্রাস্ট গঠিত হবে। সাংবাদিকরা অন্যদের কাছ থেকে এই তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে।
প্রচার মাধ্যমকে রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ, সমাজের দর্পণ, উন্নয়নের সহায়ক শক্তি এবং সাংবাদিকদের প্রচার মাধ্যমের প্রাণ হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর সামরিক সরকার শুধু সাংবাদিকদের উন্নয়ন প্রকল্পই বন্ধ করেনি। তখন সংবাদপত্র চলতো সামরিক ফরমান বলে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল না। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ভাষণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, গণতন্ত্রের একটা নীতিমালা আছে। সাংবাদিকতারও একটা নীতিমালা আছে। এ দু'টো মনে রাখলে আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই উক্তিটি আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যদি মুখে এক কথা বলেন, আর করেন আরেকটা তাহলে গণতন্ত্রের ঝুঁকি বাড়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির পথ-প্রদর্শক হিসেবে আবির্ভূত না হলে হয়তো সাংবাদিকই হতেন। ছাত্রজীবনে তিনি কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেহাদ-এর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু দৈনিক ইত্তেফাক প্রকাশে সহযোগিতা করেন। তিনি সাংবাদিকবান্ধব ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানি শাসন-শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন, তখন সংবাদকর্মীরা ছিলেন তার সহায়ক শক্তি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার এবার ক্ষমতায় আসার পর গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করতে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও সাংবাদিকদের তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিতসহ বহুমুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। এবার ১৭টি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল অনুমোদন এবং কমিউনিটি রেডিও চালু করা হয়েছে। সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধে তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার পরিবর্তে সমন জারির বিধান করে ফৌজদারী কার্যবিধি সংশোধন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রথম সাংবাদিক সহায়তা তহবিল গঠন ও এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে তারা এখন অনেক বেশি সহায়তা পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকেও সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের যথাযথ বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নিয়ে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সম্প্রতি হরতালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইদানীং হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের যানবাহন ভাঙচুরের শিকার হচ্ছে। ধর্মান্ধরা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের পাঁয়তারা করছে। অনেকে গণমাধ্যম ও সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে অশালীন ও আক্রমণাত্মক কথা বলেন। যা কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, তারা গণতন্ত্রের জন্যও মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। তিনি দেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে এসব অপশক্তি মোকাবেলায় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে প্রথমবারের মতো বেসরকারি খাতে টিভি চ্যানেল চালুর অনুমোদন দেয়া হয়; কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার এই অনুমোদন বাতিল করে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের জন্য প্রথম কল্যাণ তহবিল গঠন এবং সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পিআইবি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে; কিন্তু বিএনপির পাঁচ বছর ও পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই প্রকল্পের কাজে কোনো অগ্রগতি হয়নি। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার আরো সুযোগ-সুবিধাসহ এই প্রকল্প নবায়ন করেছে। এটি সম্পূর্ণ করতে মোট ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মুর্তজা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন এমপি, প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পিআইবির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মিলন, পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পিআইবি প্রকাশিত 'বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম' নামের একটি গ্রন্থ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মিলন।
Post a Comment