[Featured Post][featured][recent][5]

জনপ্রিয় পোস্ট

মারিয়ানা’স ওয়েব কি? ইন্টারনেট এর এই সবচেয়ে রহস্যময় ও অন্ধকার স্থান সম্পর্কে জানুন

অনেকেই হয়ত মারিয়ানা'স ওয়েব এর নাম শুনেছেন; আবার অনেকে হয়ত শুনেন নি। মারিয়ানা'স ওয়েব আসলে কি? আমরা কি মারিয়ানা'স ওয়েব সার্ফ ক...

অনলাইন ডেস্ক, ২ নভেম্বর:
 বাংলাদেশ ড়–ড়ে মৌলবাদ ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিতে আরব দেশের ১৮টি ইসলামি ব্যাংক বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত। এ নিয়ে ভারত বাংলাদেশকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, আরব দেশগুলোর সক্রিয়তাও তত বাড়ছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট হাতে এসেছে নয়া দিল্লীর। গোটা ঘটনাটির পেছনে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই'র ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে ভারত। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে নিজেদের আশঙ্কার কথা হাসিনা সরকারকেও ঘরোয়াভাবে জানিয়েছে ভারত।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের পাওয়া রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের জামায়াতপন্থী মৌলবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোকে বিভিন্ন খাতে ঢালাও ঋণ দিচ্ছে আরবের ইসলামি ব্যাংকগুলো। গোয়েন্দারা অনুমান করছেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসের পরিকাঠামো তৈরি এবং অস্ত্র কেনার কাজেই এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে। সীমান্ত অঞ্চলে ভারতবিরোধী কার্যকলাপে এই পুঁজি লাগানো হচ্ছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে দেশটির সরকার।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে মৌলবাদীদের আর্থিক মদত দেওয়া ব্যাংকগুলোর অধিকাংশই সৌদি আরবের। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত এবং কাতারের কিছু ব্যাংকের কার্যকলাপও খুবই সন্দেহজনক। রিপোর্টে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ (আইবিবিএল) ও সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংককে (এসআইবিএল)।
ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেছে, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের প্রচুর প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমের কিছু দেশ অকাতরে ডলার ঢালছে ওই দুটি ব্যাংকে। সৌদি আরবের আল রাজি ব্যাংকও বাংলাদেশে টাকা ঢালতে সক্রিয়।
বাংলাদেশে বর্তমান হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সাউথ ব্লক। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনার সঙ্গেও সম্প্রতি দিল্লীতে এ বিষয়ে কথা হয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংয়ের। তবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষণে একমত হতে পারেনি দিল্লী। ভারতের সরকারি সূত্র জানায়, বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত জোটের মৌলবাদী রাজনীতি, হেফাজতে ইসলামের উত্থান ও প্রকাশ্য-গোপনে ভারতবিরোধী প্রচার যথেষ্টই অস্বস্তিতে রেখেছে দিল্লীকে। নির্বাচন পর্যন্ত এই অরাজক পরিস্থিতি চলবে বলে মনে করছে দিল্লী। সরকারিভাবে দিল্লীর অবস্থান, বাংলাদেশে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কারণ সরকার বদলায় কিন্তু পররাষ্ট্রনীতির অভিমুখ একই থাকে।
কিন্তু দিল্লীর আশঙ্কা, মৌলবাদী রাজনীতির বাড়বাড়ন্তে নির্বাচনের আগে ও পরে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানুষ ভারতীয় ভূখণ্ডে চলে আসতে পারেন। তাছাড়া চলতি অরাজক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে হুজি এবং জেএমবির মতো জঙ্গি সংগঠনের উত্থানও নয়া দিল্লীর মাথা ব্যথার বিষয়।

Post a Comment