সর্বদলীয় সরকারে কোন প্রতিনিধি দেবে না বিএনপি : মির্জা ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সর্বদলীয় সরকারে কোন প্রতিনিধি দেবে না বিএনপি। সরকার ১৫ নভেম্বর ‘সর্বদলীয় সরকার’ গঠন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ ‘সর্বদলীয় সরকার’ গঠনে প্রতিনিধির নাম দেয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি-না বা আমন্ত্রণ জানালে বিএনপি প্রতিনিধি দেবে কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের প্রথমদিন গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। সারাদেশের হরতালের সার্বিক চিত্র তুলে ধরতেই দিন শেষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৫ নভেম্বর সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে কি-না আমরা জানি না। তবে পরিষ্কার বলতে চাই, সরকার নির্বাচকালীন যে সর্বদলীয় সরকার গঠন করতে চাচ্ছে সেখানে বিএনপি অংশ নেবে না এবং বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনেও অংশ নেবে না।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে কোন সাড়া না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী একতরফাভাবে নিজেদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের উদ্যোগের ঘোষণা দেশের রাজনীতিকে আরও সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সরকার নিজেদের গোয়ার্তুমি, অহমিকা বজায় রাখতে বিরোধীদলের আন্দোলন দমন করার জন্য নিষ্ঠুর ‘হার্ডলাইন’ গ্রহণ করে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত ও ঘোলাটে করে তোলা হচ্ছে। এখন সর্বত্র মানুষের মনে চাপা আতঙ্ক। আর এই আতঙ্ক, অস্বস্তি ও নৈরাজ্যের বিভীষিকা সরকারই তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী সরকার পঞ্চদশ সংশোধনী সংবিধানে সংযোজন করেছে শুধুমাত্র নিজেদের অধীনে নির্বাচনের জন্য। যে নির্বাচন হবে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার গ্যারান্টি। সত্যিকার গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট বিধিমালা থাকে, যা লিপিবদ্ধ থাকে ঐসব দেশের সংবিধানে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী সংযোজন করার পর সংবিধানে আর সর্বজনমান্য চরিত্র নেই। এটি বাকশালেরই নামান্তর।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সিএনএন’র বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে বিডিআর হত্যাকা-ে বিএনপিকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি দাবি করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিএনএন’র যে সংবাদের কথা বলছেনে তা আসলে সংবাদ মাধ্যমটির নিজস্ব সংবাদ নয়। কারণ, সিএনএন’র আই-রির্পোট নামে একটি পাঠক পেইজ আছে, যেখানে যে কেউ অ্যাকাউন্ট খুলে নিউজ আপলোড করতে পারে, যা সিএনএন যাচাই করে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই ধরণের একটি নিউজকে টেনে এনে মূলত বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে চেয়েছেন। তিনি সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রীকে এই অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বানও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
লিখিত বক্তব্যে ফখরুল বলেন, আজও দ্বিতীয় দফা ৬০ ঘণ্টা হরতালের প্রথমদিনে সরকারি বাহিনীর বর্বরতায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীকে হত্যা, গুলি চালিয়ে মিছিলে হামলা করে মারাত্মক আহত করা, গণগ্রেফতার ও উৎপীড়ন-নির্যাতনের বিভীষিকাময় পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। মুখে সংলাপের ফানুস উড়িয়ে জনগণের আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে তারা মানুষ হত্যা করে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রেফতার, বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি ও হামলা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফা ৬০ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিনে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের ছত্রছায়ায় সশস্ত্র যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্তৃক আগের মতোই বিএনপি নেতৃত্বাদীন ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের হত্যা, জখম, জুলুম, নির্যাতন, গণগ্রেফতার এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক কারাদ- প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করতে রাস্তায় নেমেছি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নিরস্ত্র নেতা-কর্মীদর ওপর নির্বিচারে গুলি করে এ পর্যন্ত ২০ জন নেতা-কর্মীর প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়েছে। এ নির্মম হত্যাকা-ের দায় এই সরকারের। সরকার সারাদেশে অস্থিরতা এবং অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাতে চাচ্ছে। হরতাল পালন করতে গিয়ে সরকারী বাহিনীর গুলি ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের যেসব নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করেন তিনি। বংশালে ছয়জন সাংবাদিককে শ্রমিকলীগ কর্তৃক প্রহার ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও জানান তিনি।
হরতালে রাজধানীতে বিএনপি নেতাকর্মীকে রাজপথে দেখা যাচ্ছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। তারা নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করছেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সর্বদলীয় সরকারে কোন প্রতিনিধি দেবে না বিএনপি। সরকার ১৫ নভেম্বর ‘সর্বদলীয় সরকার’ গঠন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ ‘সর্বদলীয় সরকার’ গঠনে প্রতিনিধির নাম দেয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি-না বা আমন্ত্রণ জানালে বিএনপি প্রতিনিধি দেবে কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের প্রথমদিন গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। সারাদেশের হরতালের সার্বিক চিত্র তুলে ধরতেই দিন শেষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৫ নভেম্বর সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে কি-না আমরা জানি না। তবে পরিষ্কার বলতে চাই, সরকার নির্বাচকালীন যে সর্বদলীয় সরকার গঠন করতে চাচ্ছে সেখানে বিএনপি অংশ নেবে না এবং বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনেও অংশ নেবে না।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে কোন সাড়া না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী একতরফাভাবে নিজেদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের উদ্যোগের ঘোষণা দেশের রাজনীতিকে আরও সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সরকার নিজেদের গোয়ার্তুমি, অহমিকা বজায় রাখতে বিরোধীদলের আন্দোলন দমন করার জন্য নিষ্ঠুর ‘হার্ডলাইন’ গ্রহণ করে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত ও ঘোলাটে করে তোলা হচ্ছে। এখন সর্বত্র মানুষের মনে চাপা আতঙ্ক। আর এই আতঙ্ক, অস্বস্তি ও নৈরাজ্যের বিভীষিকা সরকারই তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী সরকার পঞ্চদশ সংশোধনী সংবিধানে সংযোজন করেছে শুধুমাত্র নিজেদের অধীনে নির্বাচনের জন্য। যে নির্বাচন হবে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার গ্যারান্টি। সত্যিকার গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট বিধিমালা থাকে, যা লিপিবদ্ধ থাকে ঐসব দেশের সংবিধানে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী সংযোজন করার পর সংবিধানে আর সর্বজনমান্য চরিত্র নেই। এটি বাকশালেরই নামান্তর।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সিএনএন’র বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে বিডিআর হত্যাকা-ে বিএনপিকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি দাবি করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিএনএন’র যে সংবাদের কথা বলছেনে তা আসলে সংবাদ মাধ্যমটির নিজস্ব সংবাদ নয়। কারণ, সিএনএন’র আই-রির্পোট নামে একটি পাঠক পেইজ আছে, যেখানে যে কেউ অ্যাকাউন্ট খুলে নিউজ আপলোড করতে পারে, যা সিএনএন যাচাই করে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই ধরণের একটি নিউজকে টেনে এনে মূলত বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে চেয়েছেন। তিনি সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রীকে এই অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বানও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
লিখিত বক্তব্যে ফখরুল বলেন, আজও দ্বিতীয় দফা ৬০ ঘণ্টা হরতালের প্রথমদিনে সরকারি বাহিনীর বর্বরতায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীকে হত্যা, গুলি চালিয়ে মিছিলে হামলা করে মারাত্মক আহত করা, গণগ্রেফতার ও উৎপীড়ন-নির্যাতনের বিভীষিকাময় পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। মুখে সংলাপের ফানুস উড়িয়ে জনগণের আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে তারা মানুষ হত্যা করে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রেফতার, বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি ও হামলা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফা ৬০ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিনে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের ছত্রছায়ায় সশস্ত্র যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্তৃক আগের মতোই বিএনপি নেতৃত্বাদীন ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের হত্যা, জখম, জুলুম, নির্যাতন, গণগ্রেফতার এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক কারাদ- প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করতে রাস্তায় নেমেছি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নিরস্ত্র নেতা-কর্মীদর ওপর নির্বিচারে গুলি করে এ পর্যন্ত ২০ জন নেতা-কর্মীর প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়েছে। এ নির্মম হত্যাকা-ের দায় এই সরকারের। সরকার সারাদেশে অস্থিরতা এবং অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাতে চাচ্ছে। হরতাল পালন করতে গিয়ে সরকারী বাহিনীর গুলি ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের যেসব নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করেন তিনি। বংশালে ছয়জন সাংবাদিককে শ্রমিকলীগ কর্তৃক প্রহার ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও জানান তিনি।
হরতালে রাজধানীতে বিএনপি নেতাকর্মীকে রাজপথে দেখা যাচ্ছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। তারা নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করছেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।
Post a Comment