ইনকিলাব ডেস্ক :
অধিকৃত পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিতে নতুন করে ৩,৫০০ বাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরাইল। কারাগার থেকে ২৬ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তির পরপরই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ নির্দেশ দিয়েছেন। নেতানিয়াহুর দফতরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, এ নির্দেশ অনুযায়ী প্রথম দিকে ১,৫০০ বসতি নির্মাণ করা হবে। এরপর নির্মাণ করা হবে আরো ২,০০০ বসতি। এর আগে, গত বুধবার ইসরাইল জানিয়েছিল, পশ্চিম তীরের রামা শ্লোমতে ১,৫০০ বসতি নির্মাণ করা হবে। এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স
ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দেয়া নিয়ে ইসরাইলিদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইহুদি বাড়ি নির্মাণের এ অনুমোদন দেন বলে মনে করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পশ্চিম তীরের অন্যান্য স্থানে ২ হাজার হাউজিং ইউনিট গড়ে তোলা হবে। তবে এ প্রকল্পটি এ মুহূর্তে পরিকল্পনার পর্যায়ে আছে বলে জানান তিনি।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপকে শান্তি প্রচেষ্টার জন্য ধ্বংসাত্মক বলে মন্তব্য করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আয়োজিত শান্তি আলোচনার পরিবেশ ধরে রাখতে ঘোষিত ১০৪ জনের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে আরো ২৬ ফিলিস্তিনি বন্দিকে গত বুধবার মুক্তি দেয় ইসরাইল। এর আগে প্রথম ধাপে অপর ২৬ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল। অধিকৃত পশ্চিমতীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতির জন্য আরো ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। গত বৃহস্পতিবার দেশটির পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, নতুন ভবনের টেন্ডার আগামী সপ্তাহে ঘোষণা করা হতে পারে। নাম প্রকাশ না করা একজন কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে বলেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর প্রাক্কালে সমঝোতা অনুযায়ী আগামী কয়েক মাসে ইসরাইল অধিকৃত এলাকা এবং জেরুজালেমে ভবন নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে যাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিস্তিন উভয়ই এই সমঝোতার ব্যাপারে অবগত। তবে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রয়টার্স।
ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গত বুধবার রোমে সাক্ষাৎ করেন। এর মাত্র একদিন পর ইসরাইল এই ঘোষণা দেয়। ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে বিরোধের প্রধান একটি কারণ জেরুজালেম। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল জেরুজালেম দখল করে। এরপর থেকেই জেরুজালেমের দখল নিয়ে দুই দেশ অশান্ত হয়ে ওঠে।
ইসরাইলের জবরদখল ছাড়াও ভবিষ্যতে ইসরাইলের উপনিবেশের কী হবে সেটা নিয়েও দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ চলছে। ইসরাইল চায় তাদের অধিবাসীরা সেখানেই থাকুক। এদিকে শরণার্থীদের নিজ বাড়িতে ফেরার অধিকার দাবি করছে ফিলিস্তিন। পুরো জেরুজালেমকে ইসরাইল তাদের সনাতন রাজধানী বলে মনে করে। ইসরাইল তাদের পক্ষে সাফাই দেয়ার জন্য ইতিহাস এবং বাইবেলের সূত্রের কথা উল্লেখ করে। যদিও বেশির ভাগ দেশ মনে করে পশ্চিমতীর এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরাইল যে উপনিবেশ গড়ে তুলেছে তা অবৈধ। ওই এলাকায় ইসরাইলের ৫ লাখ অধিবাসীর বিপরীতে ফিলিস্তিনের ২৫ লাখ অধিবাসী বসবাস করছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিতে নতুন করে ৩,৫০০ বাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরাইল। কারাগার থেকে ২৬ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তির পরপরই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ নির্দেশ দিয়েছেন। নেতানিয়াহুর দফতরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, এ নির্দেশ অনুযায়ী প্রথম দিকে ১,৫০০ বসতি নির্মাণ করা হবে। এরপর নির্মাণ করা হবে আরো ২,০০০ বসতি। এর আগে, গত বুধবার ইসরাইল জানিয়েছিল, পশ্চিম তীরের রামা শ্লোমতে ১,৫০০ বসতি নির্মাণ করা হবে। এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স
ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দেয়া নিয়ে ইসরাইলিদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইহুদি বাড়ি নির্মাণের এ অনুমোদন দেন বলে মনে করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পশ্চিম তীরের অন্যান্য স্থানে ২ হাজার হাউজিং ইউনিট গড়ে তোলা হবে। তবে এ প্রকল্পটি এ মুহূর্তে পরিকল্পনার পর্যায়ে আছে বলে জানান তিনি।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপকে শান্তি প্রচেষ্টার জন্য ধ্বংসাত্মক বলে মন্তব্য করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আয়োজিত শান্তি আলোচনার পরিবেশ ধরে রাখতে ঘোষিত ১০৪ জনের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে আরো ২৬ ফিলিস্তিনি বন্দিকে গত বুধবার মুক্তি দেয় ইসরাইল। এর আগে প্রথম ধাপে অপর ২৬ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল। অধিকৃত পশ্চিমতীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতির জন্য আরো ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। গত বৃহস্পতিবার দেশটির পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, নতুন ভবনের টেন্ডার আগামী সপ্তাহে ঘোষণা করা হতে পারে। নাম প্রকাশ না করা একজন কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে বলেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর প্রাক্কালে সমঝোতা অনুযায়ী আগামী কয়েক মাসে ইসরাইল অধিকৃত এলাকা এবং জেরুজালেমে ভবন নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে যাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিস্তিন উভয়ই এই সমঝোতার ব্যাপারে অবগত। তবে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রয়টার্স।
ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গত বুধবার রোমে সাক্ষাৎ করেন। এর মাত্র একদিন পর ইসরাইল এই ঘোষণা দেয়। ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে বিরোধের প্রধান একটি কারণ জেরুজালেম। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল জেরুজালেম দখল করে। এরপর থেকেই জেরুজালেমের দখল নিয়ে দুই দেশ অশান্ত হয়ে ওঠে।
ইসরাইলের জবরদখল ছাড়াও ভবিষ্যতে ইসরাইলের উপনিবেশের কী হবে সেটা নিয়েও দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ চলছে। ইসরাইল চায় তাদের অধিবাসীরা সেখানেই থাকুক। এদিকে শরণার্থীদের নিজ বাড়িতে ফেরার অধিকার দাবি করছে ফিলিস্তিন। পুরো জেরুজালেমকে ইসরাইল তাদের সনাতন রাজধানী বলে মনে করে। ইসরাইল তাদের পক্ষে সাফাই দেয়ার জন্য ইতিহাস এবং বাইবেলের সূত্রের কথা উল্লেখ করে। যদিও বেশির ভাগ দেশ মনে করে পশ্চিমতীর এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরাইল যে উপনিবেশ গড়ে তুলেছে তা অবৈধ। ওই এলাকায় ইসরাইলের ৫ লাখ অধিবাসীর বিপরীতে ফিলিস্তিনের ২৫ লাখ অধিবাসী বসবাস করছে।
Post a Comment