কণ্ঠশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক আরফিন রুমির বিরুদ্ধে আবারও নির্যাতন ও আইনি শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ করলেন তার প্রথম স্ত্রী লামিয়া ইসলাম অনন্যা।
সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনন্যা যুগান্তরের কাছে এ অভিযোগ করেন। গত ১২ অক্টোবর তার করা যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলার (মামলা নং-৩০) পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ রুমিকে গ্রেফতার করে। রুমির ঘনিষ্ঠ কিছু লোকজনের সহায়তায় বেশকিছু শর্তসাপেক্ষে আদালত থেকে জামিন পান রুমি। জামিনের শর্ত ছিল, রুমি কখনও অনন্যাকে তালাক দিতে পারবে না, পূর্ণ স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখবে, যৌতুকের দাবি করতে পারবে না, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে পারবে না, অনন্যার পরিবারের কোনো ক্ষতিসাধন করতে পারবে না, ছেলে আরিয়ানের ভবিষ্যতের জন্য ২০ লাখ টাকা এফডিআর করে দেবে, অনন্যার ভরণ-পোষণের জন্য প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা দেবে, ছেলে আরিয়ানের খরচ আলাদাভাবে দেবে, অনন্যার পড়াশোনা এবং গান-বাজনায় বাধা দিতে পারবে না ও অনন্যার বিয়ের গহনা (প্রায় ৬ ভরি) ফেরত দিতে হবে। এর যে কোনো একটি শর্ত ভঙ্গ করলেই জামিন বাতিল হবে বলে চুক্তিনামায় উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু জামিনের কিছুদিন গত হতে না হতেই শর্ত ভঙ্গ করে আবারও অনন্যার ওপর নির্যাতন শুরু করেন বলেই অভিযোগ তার। অনন্যা যুগান্তরকে জানান, ‘শুরু থেকেই ও আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। আমাদের বিয়ের সাত মাসের মাথায় সে আমার গায়ে হাত তোলে। সংসার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমি তার নির্যাতন সহ্য করে এসেছি। পরে সে যখন কামরুন্নেসার সঙ্গে প্রেম এবং বিয়ে করেন, তখনও আমি সংসারের স্বার্থে নিশ্চুপ ছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘রুমি ও তার পরিবার (মা, ভাই) আমার একমাত্র ছেলে আরিয়ানকে আমার কাছ থেকে সরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে কামরুন্নেসাকে মেনে নিতে বাধ্য করেন। ছেলে হারানোর ভয়ে আমি মুখ ফুটে কিছু না বলে তখন সবকিছু মেনে নিয়েছিলাম। দ্বিতীয় বিয়ের পর আমার ওপর শাশুড়ি ও রুমির নির্যাতনের মাত্রাটা এত বেশি ছিল যে, আইনের আশ্রয় নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। শর্তসাপেক্ষে জামিনের পর সে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তালাক দেয়ার ভয় দেখাচ্ছে। তাই আমি এবং আমার মা ও ছেলের নিরাপত্তার স্বার্থে আবারও ৩১ অক্টোবর চকবাজার থানায় জিডি (নং-১৪০৬) করেছি।’ অনন্যা জানিয়েছেন, আইনি শর্ত ভঙ্গের বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই আদালতকে অবহিত করবেন তিনি। এদিকে অনন্যার অভিযোগ প্রসঙ্গে রুমির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি কোনো শর্তে রাজি হইনি। পূর্ণাঙ্গ কোনো কাগজপত্রেও স্বাক্ষর করিনি। তিনটি কাগজের মধ্যে মাত্র একটিতে স্বাক্ষর করেছিলাম। অনন্যা আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে।’ নির্যাতন এবং শর্ত ভঙ্গের বিষয়টি রুমি অস্বীকার করলেও অনন্যার কাছে এ সম্পর্কিত প্রমাণ এবং তথ্যাদি রয়েছে বলে অনন্যা জানিয়েছেন। এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ১১ নভেম্বর অনন্যার দায়ের করা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হবে রুমিকে। সেদিনই রুমি গ্রেফতার হতে পারে বলে জানিয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র।
সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনন্যা যুগান্তরের কাছে এ অভিযোগ করেন। গত ১২ অক্টোবর তার করা যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলার (মামলা নং-৩০) পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ রুমিকে গ্রেফতার করে। রুমির ঘনিষ্ঠ কিছু লোকজনের সহায়তায় বেশকিছু শর্তসাপেক্ষে আদালত থেকে জামিন পান রুমি। জামিনের শর্ত ছিল, রুমি কখনও অনন্যাকে তালাক দিতে পারবে না, পূর্ণ স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখবে, যৌতুকের দাবি করতে পারবে না, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে পারবে না, অনন্যার পরিবারের কোনো ক্ষতিসাধন করতে পারবে না, ছেলে আরিয়ানের ভবিষ্যতের জন্য ২০ লাখ টাকা এফডিআর করে দেবে, অনন্যার ভরণ-পোষণের জন্য প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা দেবে, ছেলে আরিয়ানের খরচ আলাদাভাবে দেবে, অনন্যার পড়াশোনা এবং গান-বাজনায় বাধা দিতে পারবে না ও অনন্যার বিয়ের গহনা (প্রায় ৬ ভরি) ফেরত দিতে হবে। এর যে কোনো একটি শর্ত ভঙ্গ করলেই জামিন বাতিল হবে বলে চুক্তিনামায় উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু জামিনের কিছুদিন গত হতে না হতেই শর্ত ভঙ্গ করে আবারও অনন্যার ওপর নির্যাতন শুরু করেন বলেই অভিযোগ তার। অনন্যা যুগান্তরকে জানান, ‘শুরু থেকেই ও আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। আমাদের বিয়ের সাত মাসের মাথায় সে আমার গায়ে হাত তোলে। সংসার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমি তার নির্যাতন সহ্য করে এসেছি। পরে সে যখন কামরুন্নেসার সঙ্গে প্রেম এবং বিয়ে করেন, তখনও আমি সংসারের স্বার্থে নিশ্চুপ ছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘রুমি ও তার পরিবার (মা, ভাই) আমার একমাত্র ছেলে আরিয়ানকে আমার কাছ থেকে সরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে কামরুন্নেসাকে মেনে নিতে বাধ্য করেন। ছেলে হারানোর ভয়ে আমি মুখ ফুটে কিছু না বলে তখন সবকিছু মেনে নিয়েছিলাম। দ্বিতীয় বিয়ের পর আমার ওপর শাশুড়ি ও রুমির নির্যাতনের মাত্রাটা এত বেশি ছিল যে, আইনের আশ্রয় নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। শর্তসাপেক্ষে জামিনের পর সে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তালাক দেয়ার ভয় দেখাচ্ছে। তাই আমি এবং আমার মা ও ছেলের নিরাপত্তার স্বার্থে আবারও ৩১ অক্টোবর চকবাজার থানায় জিডি (নং-১৪০৬) করেছি।’ অনন্যা জানিয়েছেন, আইনি শর্ত ভঙ্গের বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই আদালতকে অবহিত করবেন তিনি। এদিকে অনন্যার অভিযোগ প্রসঙ্গে রুমির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি কোনো শর্তে রাজি হইনি। পূর্ণাঙ্গ কোনো কাগজপত্রেও স্বাক্ষর করিনি। তিনটি কাগজের মধ্যে মাত্র একটিতে স্বাক্ষর করেছিলাম। অনন্যা আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে।’ নির্যাতন এবং শর্ত ভঙ্গের বিষয়টি রুমি অস্বীকার করলেও অনন্যার কাছে এ সম্পর্কিত প্রমাণ এবং তথ্যাদি রয়েছে বলে অনন্যা জানিয়েছেন। এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ১১ নভেম্বর অনন্যার দায়ের করা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হবে রুমিকে। সেদিনই রুমি গ্রেফতার হতে পারে বলে জানিয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র।
Post a Comment