[Featured Post][featured][recent][5]

জনপ্রিয় পোস্ট

মারিয়ানা’স ওয়েব কি? ইন্টারনেট এর এই সবচেয়ে রহস্যময় ও অন্ধকার স্থান সম্পর্কে জানুন

অনেকেই হয়ত মারিয়ানা'স ওয়েব এর নাম শুনেছেন; আবার অনেকে হয়ত শুনেন নি। মারিয়ানা'স ওয়েব আসলে কি? আমরা কি মারিয়ানা'স ওয়েব সার্ফ ক...

চট্টগ্রামে ডিআইজির নিরাপত্তা রক্ষী পুলিশ কনস্টেবল খুন
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের টাইগার পাস সংলগ্ন এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রকাশ্যে দিনের আলোতে এক পুলিশ কনস্টেবল খুন হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও তিনজন। নিহত কনস্টেবলের নাম আবদুল কাইয়ুম (২২)। এসব পুলিশ রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স’র সদস। তারা চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. নওশের আলীর বাংলোর নিরাপত্তায় নিয়েজিত। গতকাল রোববার বেলা এগারটার দিকে নগরীর খুলশী থানাধীন টাইগারপাসের আমবাগান এলাকার পাহাড় সংলগ্ন পিডবি¬¬উ কলোনির সামনে ডিআইজি বাংলোর কাছাকাছি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন কনস্টেবল সালাউদ্দিন, আরিফুল ইসলাম ও শাহাবুদ্দিন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডিআইজির বাংলো ওই টাইগার পাস এলাকার জিলাপীর পাহাড়ে অবস্থিত।   
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার মাসুদ-উল-হাসান বলেন, ছিনতাইকারী ধরতে গেলে কনস্টেবল কাইয়ুমসহ চারজনকে কোপায় ছিনতাইকারীরা। গুরুতর আহত কাইয়ুমকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কাইয়ুমসহ চার কনস্টেবল রিজার্ভ ফোর্সের কনস্টেবল হিসেবে ডিআইজি বাংলোতে কর্মরত ছিলেন। আহত কনস্টেবল আরিফুল ইসলাম হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ভোর রাতে ডিউটি শেষ করে ঘুমাতে যাই। ঘুম থেকে উঠে সিভিল পোশাকে আমবাগান এলাকায় নাস্তা করতে আসি।
এসময় দুইজন ছিনতাইকারী জিলাপী পাহাড়ের আশপাশে ছিনতাই করছে দেখতে পেলে তাদের বাধা দিলে আরও দশ-বারজন ছিনতাইকারী এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হাসপাতালে আহতদের আনয়নকারী অপর এক কনস্টেবল কামরুল হাসান জানান, নিহত কাইয়ুমের গলায় ও পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি আরও জানান, কনস্টেবল কাইয়ুম গত ৬ অক্টোবর কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করেন। আবদুল কাইয়ুমের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামে। সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. শহীদুল¬øাহ জানান, প্রাথমিকভাবে ছিনতাইকারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছি। হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, জিলাপীর পাহাড়ের বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাইকারী ও নেশাখোরদের বেপরোয়া উৎপাত চলছে। এসব অপরাধীরা সেখানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের জিম্মি করে নিয়মিত ছিনতাই করে আসছে। নগরীতে সাম্প্রতিককালে ছিনতাইকারীদের হাতে আনসার সদস্য, ব্যবসায়ী, দোকান কর্মচারী, গৃহবধূসহ বেশ কয়েকজন খুন হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। বিরোধী দলের কর্মীদের বিশেষ করে শিবির আতঙ্কে রাতের বেলা টহল পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। এর ফলে নগরীতে অপরাধীদের তা-ব বেপরোয়া রূপ ধারণ করেছে।
চট্টগ্রামে ডিআইজির দেহরক্ষী কনস্টেবল নেপথ্যে যুবলীগ, কারণ ভাগ বাটোয়ারা
ডিআইজির বাংলোর অদূরে দিনের আলোতে ৪ পুলিশ সদস্যের হতাহতের ঘটনার তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে এই খুনের ঘটনায় জড়িত হিসেবে শাসক দল আওয়ামী লীগের যুবসংগঠন যুবলীগের ৭ ক্যাডারের নাম পেয়েছে পুলিশ। তারা হলো- সুমন, আরসেল, মিন্টু, বাবুল ওরফে বুলেট বাবুল, হাসান, লাদেন ওরফে রাসেল ও নিজাম।
পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, ডিআইজি বাংলোর অদূরে জিলাপীর পাহাড়ে যুবলীগ ক্যাডারদের সাথে ওই পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত দেখা হত। তারা সেখানে ক্যাডারদের সাথে জুয়াও খেলত। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে, যুবলীগ ক্যাডারদের অপকর্মের সহযোগিতা করত ওই পুলিশ সদস্যরা। গতকালও তারা সেখানে জুয়া খেলতে বসে। আর এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে টাকা পয়সার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঝগড়া শুরু হলে সন্ত্রাসীরা ৪ পুলিশ সদস্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এদের মধ্যে এক জন মারা যায়।
ওইসব ক্যাডারদের বিরুদ্ধে নগরীর আমবাগান এলাকায় যুবলীগের কর্মী মুরাদকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। কয়েকদিন আগে আমবাগান রেলক্রসিংয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে এসব সন্ত্রাসীরা। ওই হত্যাকা-ের পর গ্রেফতার না হওয়ায় তারা আরও একটি হত্যাকা- ঘটিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার প্রকৌশলী বনজ কুমার মজুমদার বলেন, স্থানীয় একটি সস্ত্রাসী গ্রুপের লোকজন এই হত্যাকা-ের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বেশ কয়েকজনের নামও আমাদের হাতে এসেছে। এখন তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি আশাবাদী খুনিদের চিহ্নিত করা যাবে। আর কি কারণে তারা ওই পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে তাও জানা যাবে।

Post a Comment