নগরের শরীর নির্মাণ হয় ইট পাথরের কংক্রিটে। একারণেই হৃদয়হীনতার মেটাফোর ব্যবহার করি আমরা। কিন্তু নির্মমতায় কতোটা নিচে নামতে পারে এখানে বসবাস করা ভদ্রবেশী মানুষেরা, এই ছবিগুলো দেখলেই সহজে অনুমান করা যায়।
বিদেশি হাইপ্রোফাইল অতিথি এলে অথবা আন্তর্জাতিক কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে শহরের শ্রীবৃদ্ধি করার তোড়জোর শুরু হয়। আর এ জন্য প্রথম যে কাজটি করা হয় তা হলো- ফুটপাত থেকে গৃহহীন আর বস্তিবাসীদের নির্বিচারে উচ্ছেদ।
ব্রিটিশরা এদিক থেকে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে। তারা রীতিমতো দরিদ্র তাড়ানোর স্থাপত্য শিল্প উদ্ভাবন করে ফেলেছ! একে বলা হচ্ছে, ‘প্রতিরক্ষা স্থাপত্য’। দালানের পাশে, ফ্লাইওভাবের নিচে অথবা গৃহহীনরা আশ্রয় নিতে পারে এমন বহু স্থানে এই নির্মম স্থাপত্য চোখে পড়ে।
হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে, শহুরে শিক্ষিত স্বচ্ছল মানুষেরা নিজেদের নিরাপদ রাখতে অথবা নিরাপদ বোধটা নিশ্চিত করতে নিজেদের প্রজাতিরই একটা শ্রেণীকে অস্বীকার করে, বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কিন্তু বোঝে না নিজেদের এভাবে গুটিয়ে নেয়াটা তাদের জন্যই বাইরে থেকে বিপদ ডেকে আনছে। এভাবে জীবন কতো কুৎসিত হয়ে উঠছে!
Post a Comment