[Featured Post][featured][recent][5]

জনপ্রিয় পোস্ট

মারিয়ানা’স ওয়েব কি? ইন্টারনেট এর এই সবচেয়ে রহস্যময় ও অন্ধকার স্থান সম্পর্কে জানুন

অনেকেই হয়ত মারিয়ানা'স ওয়েব এর নাম শুনেছেন; আবার অনেকে হয়ত শুনেন নি। মারিয়ানা'স ওয়েব আসলে কি? আমরা কি মারিয়ানা'স ওয়েব সার্ফ ক...



একাত্তর ইস্যুতে মানবতা মুছে ফেলো টয়লেট টিস্যুতে’ স্লোগানটা বহু বছর আগে ব্লগে প্রথম দেখেছিলাম চমকে উঠেছিলাম আজ এতো বছর পরও মনে পড়ে, প্রথমবার দেখে সেদিন কেমন থমকে গিয়েছিলাম মনে হয়েছিলো এর জের বহুদূর টানতে হবে বাংলাদেশকে একটা গোষ্ঠীর চিন্তার প্রকাশ যদি এমন হয়, এবং তা সমাজের শিক্ষিত অংশের মাঝে সমাদৃতও হয়, তবে তার পরিণতি কারো জন্য ভালো হওয়ার কথা না হয়ওনি।

বাঙালীর এ আনন্দ-উল্লাস দেখে মনে পড়ে বইয়ে পড়া গহীন অরণ্যের আদিম নরখাদক জংলী গোষ্ঠীর উল্লাসের কথা আগুনে পোড়ানো হচ্ছে কিছু নারী আর শিশুকে। তাদের চামড়া পুড়িয়ে আগুন আরো ভেতরে যাচ্ছে, জ্বালাচ্ছে চুল পুড়ছে, হাত পুড়ছে, পা পুড়ছে শ্মশানের পাশে যেমন গন্ধ পাওয়া যায়, সেই মাংসপোড়া গন্ধ ভাসে বাতাসে আর তাদের চারপাশ ঘিরে ফেসবুকের জঙ্গলে উল্লাসে হৈ হৈ করে নাচছে, লাফাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আপ্লুত বাঙালীর দল আদিম সেই উল্লাস, খাদ্য জুটছে তাদের প্রতিহিংসাপরায়ণ অন্ধ মনের যেখানে পুড়ছে মানুষ, পুড়ছে দেশ, পুড়ছে মানবতা, পুড়ছে স্বাধীনতা

একাত্তরের চেয়ে মানবতা অনেক বড় একটা বিষয় আর কয়েক জেনারেশন পর একাত্তর স্রেফ অতীতের একটা ঘটনা হয়ে যাবে কয়েকশ বছর পরে থাকবে বই এর পাতায় কিন্তু পৃথিবীর শেষ মানুষটা বেঁচে থাকা পর্যন্ত মানবতা একটা দরকারী বিষয় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী একাত্তরে মানবতার তোয়াক্কা করেনি বলেই তারা এতো ঘৃণিত।

কয়েক বছর ধরে যে অবিচার আর অমানবিকতা চলে আসছে, তাতে মানুষের আর বিচার হয় না পুলিশ যাকে ইচ্ছা তাকে ধরে নির্বিকার খুন করে ফেলতে পারে, ছাদ থেকে ফেলে দিতে পারে, গুম করতে পারে, কোন বিচার নাই যা ইচ্ছা খুন ধর্ষন চালিয়ে যেতে পারে, কোন সমস্যা নাই বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে কুপিয়ে মারা সবার সামনে উঁচু গলায় তার পরিবারকে জানিয়ে দেয়, সমস্যা হবে না কোন গ্রেফতার টেফতার এগুলো ফরমালিটিজ নারী শিশুদেরকে পুড়িয়ে মারার পর সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হাসিমুখে বলতে পারে, এটা নিছক দুর্ঘটনা।

সমসাময়িক বাংলাদেশে মানবতার এ দুর্দশা শুরু হয়েছিলো আঠাশে অক্টোবরে পল্টনে লগি-বৈঠার সেই ঘটনায় যেদিন হাসিনার নির্দেশের ফলে মানুষকে আর মানুষের সম্মান দেয়া হয়নি পশুর মতো পিটিয়ে মারা হয়েছে, প্রকাশ্য দিবালোকে এবং তার কোন বিচার হয়নি সে ঘটনার মানসিক প্রভাব ছিলো সুদূর প্রসারী।

একবার ভাবুনতো আমাদের লালসার আগুনে পুড়ছে শত মানুষ পুড়ছে বিশ্বাস  পুড়ছে মানবতা..প্রাণভয়ে নিজের বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছে নারী-পুরুষ-শিশু চোখে ভাসছেনা একাত্তরের নির্মমতার সেই ছবি ?…পাকিস্তানি হায়েনাদের বর্বরতার কথা ?

৫২ থেকে ৭১ পর্যন্ত লক্ষকোটি মানুষের সমষ্টিগত প্রচেষ্টার ফসল এই স্বাধীনতা আজ কেনো বারবার কলংকিত হচ্ছে ? আমার পাশের মানুষটি যদি আমার কাছে নিরাপদ থাকতে না পারে- তাহলে কেমন স্বাধীনতা এটি?  

আমি বিজয় দেখিনি, জন্মেই শুনেছি স্বাধীন দেশ স্বাধীন দেশ অনুভূতিটা সব সময় শিহরণ জাগাত আমরা স্বাধীন তাইতো সব সময় ভাবতাম, আমাদের কেউ কিছু বলার সাহস রাখে না। অথচ যখন বড় হই, নিজের কাছে স্বাধীনতার পুরো অর্থ পাল্টে যেতে থাকে নিসত্দব্ধ হৃদয়ের চারপাশে ভীড় জমায় স্পষ্ট কত গুলো প্রশ্ন আমরা কি আজও স্বাধীন হতে পেরেছি

নব্য জালে জাতিকে বেধে করি দুর্নীতির চাষ গড়বো সোনার বাংলা আমরা দেখাই স্বপ্ন এক রাশ



Post a Comment