এই আধুনিক যুগে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনে আমরা নির্ভরশীল আমাদের কম্পিউটারটির উপর – সকালে বা বিকালে, রাতে-বিরাতে, সময়ে কি অসময়ে! আর অপরিহার্য এই প্রয়োজন, এই কম্পিউটারটি যখন বেশ কিছু সময় ব্যবহারের ফলে বা কোন কারনে স্লো পারফর্ম করে, তা বিরক্তির কারন হয়ে দাড়ায় যে কারোই।
আবার দেখা যায়, ঠিক যে সময় খুব প্রয়োজনীয় একটি কাজ করছেন আপনার পিসিতে, বা কোন একটি প্রমান সাইজের প্রোগ্রাম রান করছেন তখন কম্পিউটার কমান্ড প্রসেস করতে অনেক সময় নিচ্ছে, অনেক ধীর হয়ে গেছে পিসি। এমন সমস্যার মুখে মেজাজ বা মাথা ঠাণ্ডা রাখা খুবই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তাই মন-মর্জিকে শান্ত রাখতে হলে, আপনার পিসিকেও রাখতে হবে Healthy & Fast।
আর এ জন্যই প্রথমে জেনে নেয়া প্রয়োজন আপনার কম্পিউটারকে ধীর করে দেয়ার পিছনে সাধারনত কি কি কারণগুলো দায়ী :
- দুর্বল Processor এবং অপর্যাপ্ত RAM
- Bad Sector সহ হার্ডডিস্ক
- অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সটল করে RAM ও হার্ডড্রাইভ অতিরিক্ত ভারী করে রাখা
- কম্পিউটার যদি ভাইরাস, ট্রোজান ও স্পাইওয়ার দ্বারা আক্রান্ত হয়
- অ্যান্টি-ভাইরাস ও ভুল ডিভাইস ড্রাইভার ইন্সটল্ড থাকা
এই টিপিক্যাল কারণগুলো সচরাচর পিসিকে স্লো করে দেয়, তবে কিছু জটিলতর সমস্যাও এর জন্য দায়ী হতে পারে। তবে, এই সাধারন সমস্যাগুলো কিভাবে ডিল করবেন, কিভাবে সমাধান করে পিসিকে ফাস্ট করবেন তা জেনে নেওয়াটাও জরুরী। খুব অ্যাডভান্সড কোন উপায় নয়, কিছু সহজ উপায়ে কিভাবে পিসিকে আরও ফাস্ট করবেন তা জেনে নিন –
ডি-ক্লাটার
আগেই বলা হয়েছে, অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো হার্ডড্রাইভ ভারী করে রাখে, RAM কেও অপ্টিমাম পারফরম্যান্স দিতে বাঁধা দেয়। তাই যে প্রোগ্রামগুলো আপনি সচরাচর বা একদমই ব্যবহার করেন না সেগুলো নির্দ্বিধায় Windows এর Control Panel থেকে Program & Features লিস্ট থেকে একে একে Uninstall/Remove করুন।
Don’t Let TEMP Tempt You
পিসির Temporary Files গুলো ডিলিট করতে হবে। আপনার পিসির Run অ্যাপ্লিকেশন থেকে TEMP রান করুন। দেখবেন, এক গাঁদা ফাইল ভর্তি TEMP নামক একটি ফোল্ডার ওপেন হয়েছে। ফোল্ডারের ভিতরের সবগুলো ফাইল Ctrl+A দিয়ে সিলেক্ট করে Shift+Delete চেপে ডিলিট করুন। ফাইলগুলো আপনি পিসির My Computer থেকে C: Drive > Windows > Temp – ফোল্ডার থেকেও বের করে ডিলিট করতে পারেন। তবে ফোল্ডারটি ডিলিট করবেন না কিন্তু!
হার্ডড্রাইভের ব্রিদীং স্পেইস
সবসময় চেষ্টা করবেন যাতে আপনার হার্ডড্রাইভ এর মোট স্পেস এর একটা প্রমান পরিমান ফ্রি থাকে – হার্ডড্রাইভ এর সাইজ অনুপাতে তা কম বেশী হতে পারে। তবে মিনিমাম ১০০ জিবি ফ্রি-স্পেস রাখলে কম্পিউটার ধীরগতির হয়না। প্রয়োজনে নতুন হার্ডডিস্ক কিনুন, কিন্তু হার্ডড্রাইভ ওভারলোড করবেন না।
পরিষ্কার পিসি, ফাস্ট পিসি
কম্পিউটার এর প্রসেসর বা হিট সিঙ্ক ফ্যান যদি ধুলাবালি জমে ময়লা হয়ে যায়, তাহলে সিপিউ এর ভিতরে টেম্পারাচার কন্ট্রোল ডিস্টার্বড হয়। তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে প্রসেসর উত্তপ্ত হয়ে এর অপ্টিমাম পারফর্ম্যান্স ব্যহত হয়। তাই, পিসি যাতে ধীর না হয়ে যায় তার জন্য CPU Casing এর ভিতরের অংশ নিওমিত পরিষ্কার করে ধুলাবালি মুক্ত রাখুন।
Defragmentation of Disks
হার্ডড্রাইভ এর প্রতি সপ্তাহে Disk Defragment করা আবশ্যক। হার্ডড্রাইভ এর অবিন্যস্ত ফাইলগুলোকে ক্যাটাগোরাইজ করে সাজিয়ে ফ্রি স্পেস অপটিমাইজ করতে এই টুলটি খুব কার্যকরী। এই টুল ব্যবহার করতে প্রথমে My Computer এ Right Click করে Properties এ যেতে হবে। সেখানে Tools সেকশনটি সিলেক্ট করতে হবে। Tool List হতে “Defragment Now” বাটনটি ক্লিক করে যে ড্রাইভটি Defrag করতে চান সেই ড্রাইভটি সিলেক্ট করলেই কাজ সম্পন্ন!
এখন ঝটপট উপায়গুলো প্রয়োগ করে দেখুন, আপনার পিসি কতটা ফাস্ট হয়ে যায়।
Post a Comment