সোহেল রানা
বগুড়া সিটি ২৪
..…..…..…..…..…
আবার শুরু হয়েছে পেট্রলবোমার নারকীয় তাণ্ডব। বলি হচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। ক্ষমতার যুদ্ধে এদের কোনো অংশগ্রহণ নেই, নেই কোনোভাবে লাভবান হওয়ার আশাও। তবু আগুনে জীবন্ত পুড়ে অঙ্গার হতে হচ্ছে এদের। আক্রান্ত হচ্ছেন বিরোধী দলের নেতারাও। বিএনপির নেত্রীর উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানের ওপর বর্বরোচিত হামলা হয়েছে ১৩ জানুয়ারি রাতে। তিনি চারটি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তাঁর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে সে রাতে মারা যেতে পারতেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর গাড়ি থেকে বের হতে না পারলে পোড়া লাশে পরিণত হতে পারতেন ।
ক্ষমতার লোভে আজ দুই নারী উম্মাদ হয়ে পড়েছেন, নিজেদের স্বার্থের বাইরে একটি কর্মসূচি তাদের নেই, তারা কোন জনগনের কথা বলেন? নতুন কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষের মনে ভীতি আর শংকার ছায়া। এক দল নিজেরা ক্ষমতায় আসার জন্যে লড়াই করছে একদল টেকার জন্যে। আমার প্রশ্ন জনগণ কোথায়? গাধার মূলা দেখা ছাড়া কি জনগণ আর কিছু পাবে? হায়রে আজব দেশ, হায়রে আজব গণতন্ত্র ! আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী আচরন দেখে মনে হচ্ছে তারা আর কোনো দিন বিরোধী দলে যাবে না! ক্ষমতা যেনো তাদের কেনা সম্পত্তি!!
রিয়াজ রহমানসহ যেকোনো মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু বিএনপির নেতারা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায়ও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাক্ষ্য-আলামত ছাড়াই উল্টো বিএনপিকে দায়ী করা হচ্ছে। বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের নেত্রী ।
শেখ হাসিনার ওপর পাশবিক গ্রেনেড হামলা এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী এস এম এ কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন বিএনপির সরকারকেও আমরা এমন চরম দায়িত্বহীন মন্তব্য করতে দেখেছিলাম। আবার পেট্রলবোমার ঘটনায় বিএনপি বলছে, এটি আওয়ামী লীগেরই কাজ। এ ধরনের চরম নিষ্ঠুর মন্তব্য আমরা বিএনপির আমলে বিরোধী দল হিসেবে নৈরাজ্যকর কর্মসূচি পালন করার সময় আওয়ামী লীগকেও করতে দেখতাম।
এক ভয়াবহ খেলায় মেতে উঠেছে সরকার যে কোনো মূল্যেই হউক ক্ষমতায় থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে বিরোধী দলকে পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনী দিয়ে নিশ্চিন্ন করে দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে হবে নির্বাচনের আগে এবং পরে সরকার যেভাবে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে এবার তারচেয়েও বেশী আক্রমণাত্বক হবে বলে মনে হচ্ছে ।
একদল জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য আরেকদল জোর করে ক্ষমতায় যাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে এর জন্য তারা ১৫ কোটি মানুষের ঘৃণাও উপেক্ষা করছে প্রকাশ্য মিথ্যা বলছে তারই যাঁতাকলে আমরা পিষ্ট হচ্ছি ওদের রাজনীতি করার অধিকার যততুকু আছে, আমাদের বেঁচে থাকার কিংবা স্বাভাবিক মৃত্যুর অধিকার ততটুকু নেই ।
যেদেশের সাধারান মানুষ অতি তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে ঝগড়া-মারামারি করে, কারনে-অকারনে অকথ্য ভাষায় গালাগালী করে, কলেজ-ভার্সিটির ছাত্ররা রাজনীতির নামে সন্ত্রসী, চাদাবাজী ও খুনাখুনী করে, শিক্ষার নামে কূ-শিক্ষা, ধর্মকে অধর্ম বানিয়ে ব্যাবসা করে, প্রশাষন প্রকাশ্যে ঘুষ খায়, ব্যাবসায়ীরা প্রকাশ্যে ভেজাল-বিষাক্ত খাবার বিক্রি করে, দূর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী গডফাদাররা সমাজে অতি সন্মানের সাথে মাথা উচু করে চলে সেদেশে রাজনীতির নামে অপ-রাজনীতি অার সহিংসতাই স্বাভাবিক মানুষের চিন্তা-চেতনার মধ্যে পরিবর্তন অানতে হবে, অাচার-অাচরনে সভ্য হতে হবে, জনগনের সচেতন হতে হবে, সস্তা উত্তেজক রাজনৈতিক বক্তব্যে অন্ধ সমর্থন ও হাততালি দেয়া বন্ধ না করলে এই সমস্যার সমাধান হবে না।
হরতাল-অবরোধ, পেট্রোল বোমা ইত্যাদি কার্যক্রমের অসহায় শিকার আমরা সাধারণ নাগরিকরা এবং অবশ্যই ওগুলোর অবসান চাই কিন্তু সমস্যা কোথায় জানেন ? আজকে বিএনপি জোটের হরতাল-অবরোধে যে পেট্রোল বোমা মারা হচ্ছে, রেলে নাশকতা করা হচ্ছে-এ সবের উদ্ভাবক এবং প্রথম প্রয়োগকারী কিন্তু আওয়ামী লীগ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় বাহিনীর কিছু উৎসাহী কর্মকর্তা বেআইনি নির্দেশ ও রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক কাজ প্রকাশ্যে শুরু করেছেন এতে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটছে।
যারা অপরাধ করে ধরে থানায় দিন , আদালত বিচার করবে , আপ্নারা কেন ??? দেশে কি আইন নাই , নাকি এটাও সংবিধানে আছে ? যারা আওয়ামী লীগ করে তারাও এই দেশর যারা বিএনপি করে তারাও এই দেশর মনে রাখবেন রাষ্ট্রীয় সৈনিক ঽয়ে কোনা দলের হয়ে কাজ করবেন না তাদের টেক্সসের টাকায় আপনি চলেন কোন দলের নয় ।
সাধারন জনগন হত্যা, দৈনন্দিন জীবন এ বাধা কোন রাজনৈতিক আনদোলন হতে পারেনা !!! আনদোলন করেন সংসদে গিয়ে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান বাসে আগুন দেন কোনো ? জনগণ মেরে জনগণের ভাল এইসব অসুস্থ রাজনীতি বাদ দিন আপনারা রাজনীতি করেন শুধু আপনাদের জন্য জনগণের জন্য নয় এটা জনগণ জেনে গেছেন ।
খোদা হাফেজ
Post a Comment