ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে বিএনপির সংস্কারপন্থীদের রহস্যময় বৈঠকে তোলপাড়শেরপুর (বগুড়া) থেকে ফিরে মহসিন রাজু : গতকাল ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি জাতীয় পত্রিকায় একটি রেস্তোরাঁয় ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তাদের সাথে বিএনপির সংস্কারপন্থী একদল নেতার রহস্যময় বৈঠককে ঘিরে বগুড়া-৫ আসনের বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে শত শত বিএনপি কর্মী এই আসনের সাবেক এমপি জিএম সিরাজের কুশপুত্তলিকা দাহ এবং তার বিরুদ্ধে সেø¬াগান দিয়েছে এবং মিছিল করেছে। বিক্ষোভকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেছে, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ওই আসনে চারদলের মনোনীত প্রার্থী জানে আলম খোকাকে হারিয়ে দিতে বিশাল ভূমিকা পালন করেছে। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বলেন, “অতি সম্প্রতি যখন শোনা যাচ্ছে সরকারের গোপন ইঙ্গিতে বিএনপি ভেঙ্গে তৃণমূল বিএনপি গঠন করা হবে হঠাৎ গঠিত ওই বিএনপি সরকারের পাতানো একতরফা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বৈধতা দিবে” ঠিক তখনই বগুড়া-৫ আসনভুক্ত শেরপুর ও ধুনট উপজেলায় হঠাৎ করে তৎপর হয়ে উঠেছে জিএম সিরাজ। সে স্থানীয় বিএনপির অর্থলোভী নেতাকর্মীদের টাকার বিনিময়ে ক্রয় করে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তারা আরও বলেন, স্থানীয় বিএনপির বিরুদ্ধে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জিএম সিরাজ সরকারী দল এবং সরকারী দলের এমপির সহায়তা নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকেও বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। কাজেই শেরপুরের মাটিতে জিএম সিরাজকে বিএনপির পক্ষ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা আসন্ন ৬০ ঘণ্টার হরতাল পালনকালে সিরাজ ও তার দোসরদের যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই তাদের প্রতিহত করা হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়। এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি বগুড়া জেলা কমিটির উপদেষ্টা ও বিগত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলের মনোনীত প্রার্থী জানে আলম খোকা।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ১/১১’র তৎকালীন সরকারের ইঙ্গিতে বিএনপি থেকে খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার ফর্মুলার সাথে বিএনপির যে সমস্ত নেতা জড়িত ছিলেন জিএম সিরাজ তাদের মধ্যে অন্যতম। ওই সময় টেলিভিশনের ক্যামেরায় জিএম সিরাজ সংস্কারের পক্ষে জোরালো বক্তব্য দিয়ে বলেছিলেন, আমরা মসজিদ ভাঙতে নয় মসজিদের ইমাম (খালেদা জিয়া)-কে বদলাতে চাচ্ছি। সিরাজের ওই বক্তব্য ওই সময়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। পরবর্তীকালে রাজনীতির চলমান মাঠে অনুপস্থিত থেকে তিনি বর্তমান সরকারের প্রভাব ও অর্থশালী একটি চক্রের সাথে যোগাযোগ রেখে মতিঝিলের একটি সরকারী ব্যাংক থেকে বিপুল অংকের ঋণ মঞ্জুর করে নিয়েছেন। সেই কারণেই সরকারের ইঙ্গিতে তিনি পরিচালিত হতে বাধ্য বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, জিএম সিরাজ বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের বিপক্ষে শক্তিশালী অবস্থান নিলে মঞ্জুরিকৃত ব্যাংক ঋণকে কেন্দ্র করে হলমার্কের মতো নাজেহাল হওয়ার আশংকা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ১/১১’র তৎকালীন সরকারের ইঙ্গিতে বিএনপি থেকে খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার ফর্মুলার সাথে বিএনপির যে সমস্ত নেতা জড়িত ছিলেন জিএম সিরাজ তাদের মধ্যে অন্যতম। ওই সময় টেলিভিশনের ক্যামেরায় জিএম সিরাজ সংস্কারের পক্ষে জোরালো বক্তব্য দিয়ে বলেছিলেন, আমরা মসজিদ ভাঙতে নয় মসজিদের ইমাম (খালেদা জিয়া)-কে বদলাতে চাচ্ছি। সিরাজের ওই বক্তব্য ওই সময়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। পরবর্তীকালে রাজনীতির চলমান মাঠে অনুপস্থিত থেকে তিনি বর্তমান সরকারের প্রভাব ও অর্থশালী একটি চক্রের সাথে যোগাযোগ রেখে মতিঝিলের একটি সরকারী ব্যাংক থেকে বিপুল অংকের ঋণ মঞ্জুর করে নিয়েছেন। সেই কারণেই সরকারের ইঙ্গিতে তিনি পরিচালিত হতে বাধ্য বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, জিএম সিরাজ বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের বিপক্ষে শক্তিশালী অবস্থান নিলে মঞ্জুরিকৃত ব্যাংক ঋণকে কেন্দ্র করে হলমার্কের মতো নাজেহাল হওয়ার আশংকা রয়েছে।
Post a Comment