সমাবেশ কেন, জানেন না তারা
সাজিদুল হক ও আশিক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের ছবি সম্বলিত গেঞ্জি পরে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন মোহাম্মদ সাদেক।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোববার আওয়ামী লীগের সমাবেশে সাদেকের মতো অনেককেই একই বেশে দেখা গেল। নৌকার সঙ্গে ব্যক্তির নামে স্লোগানে সক্রিয় হলেও কী কারণে এই সমাবেশ, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তারা।
সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিলের সঙ্গে আসা কেউ কেউ আবার বলেন,বিরিয়ানি খেতে এসেছেন তারা।
জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে এই সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ। তবে নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের আন্দোলনের মধ্যে এই সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের শক্তির জানানও দিতে চেয়েছে ক্ষমতাসীন দল।
ঢাকার মিরপুরের সংসদ সদস্য কামাল মজুমদারের সমর্থনে মিছিলে আসা সাদেক সমাবেশের উদ্দেশ্য বলতে না পারার পর তার কাছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসা ছিল- আপনার নেতা কে?
তবে সে নামও বলতে পারেননি তিনি। তার উত্তর ছিল- “নাম তো জানি না, এই যে গেঞ্জিতে লেখা আছে।”
রাজধানীর সবুজবাগ থেকে যুবলীগের মিছিলের সঙ্গে আসা শরিফুল ইসলামের কাছে সমাবেশে আসার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জানি না, বড় ভাইরা নিয়ে এসেছে।”
হাজারীবাগ থেকে আসা শরিফুল জানেনই না কার সঙ্গে এসেছেন।
“শ্বশুড়বাড়িতে এসেছিলাম। এলাকার লোকজন বলল, যাও ঘুরে আসো। আমিও চলে আসলাম।”
দুপুরে খেয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিছিলের আগে সবাইকে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছে, তাই খেয়েছি।”
সাদেক, শরিফুলের মতো বক্তব্য পাওয়া যায় মিরপুর থেকে আসা গাজী মুন্না, রেজওয়ান পারভেজ, জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, আরিফ খান ও যাত্রাবাড়ী থেকে আসা মো. ফিরোজের কাছ থেকেও।
সভামঞ্চের আশে-পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশে যোগ দিতে আসা অনেককেই বিভিন্ন সাইজের বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে বসে থাকতে এবং খেতে দেখা যায়।
নানা ব্যানার-নানা কথা
জেলহত্যা দিবসের এই সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীদের মিছিলের শোভা ছিল বিভিন্ন রকমের ডিজিটাল ব্যানার, পোস্টার আর প্ল্যাকার্ড। আর এতে ছিল আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ছবি ও বক্তব্য।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আসার আওয়ামী লীগের ব্যানারে স্থানীয় সংসদ সদস্য স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানকের ছবি থাকলেও সেখানে লেখা, “উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে শেখ হাসিনার সরকার আরেকবার দরকার।”মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফেরোজ চুমকির ছবিসহ ব্যানারে লেখা, “উন্নয়নের জন্য যুগ যুগ ধরে আওয়ামী লীগ সরকার দরকার।”
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের একটি ব্যানারে লেখা আছে, “অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে।”
রানা প্লাজা ধসের পর নিজ দল আওয়ামী লীগের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনার মুখে পড়া সাভারের সংসদ সদস্য মুরাদ জংয়ের ছবিসহ প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “আমি ছিলাম, আমি আছি, আমি থাকব।”
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহরা খাতুনের ছবিসহ ব্যানার ও পোস্টারে বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ উন্নয়নের সাফল্যের কথা লেখা দেখা যায়।
ঢাকার আরেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান খান কামালের ছবিসহ পোস্টারে লেখা ছিল,“জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন।”
সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিলের সঙ্গে আসা কেউ কেউ আবার বলেন,বিরিয়ানি খেতে এসেছেন তারা।
জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে এই সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ। তবে নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের আন্দোলনের মধ্যে এই সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের শক্তির জানানও দিতে চেয়েছে ক্ষমতাসীন দল।
ঢাকার মিরপুরের সংসদ সদস্য কামাল মজুমদারের সমর্থনে মিছিলে আসা সাদেক সমাবেশের উদ্দেশ্য বলতে না পারার পর তার কাছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসা ছিল- আপনার নেতা কে?
তবে সে নামও বলতে পারেননি তিনি। তার উত্তর ছিল- “নাম তো জানি না, এই যে গেঞ্জিতে লেখা আছে।”
রাজধানীর সবুজবাগ থেকে যুবলীগের মিছিলের সঙ্গে আসা শরিফুল ইসলামের কাছে সমাবেশে আসার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জানি না, বড় ভাইরা নিয়ে এসেছে।”
হাজারীবাগ থেকে আসা শরিফুল জানেনই না কার সঙ্গে এসেছেন।
“শ্বশুড়বাড়িতে এসেছিলাম। এলাকার লোকজন বলল, যাও ঘুরে আসো। আমিও চলে আসলাম।”
দুপুরে খেয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিছিলের আগে সবাইকে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছে, তাই খেয়েছি।”
সাদেক, শরিফুলের মতো বক্তব্য পাওয়া যায় মিরপুর থেকে আসা গাজী মুন্না, রেজওয়ান পারভেজ, জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, আরিফ খান ও যাত্রাবাড়ী থেকে আসা মো. ফিরোজের কাছ থেকেও।
সভামঞ্চের আশে-পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশে যোগ দিতে আসা অনেককেই বিভিন্ন সাইজের বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে বসে থাকতে এবং খেতে দেখা যায়।
নানা ব্যানার-নানা কথা
জেলহত্যা দিবসের এই সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীদের মিছিলের শোভা ছিল বিভিন্ন রকমের ডিজিটাল ব্যানার, পোস্টার আর প্ল্যাকার্ড। আর এতে ছিল আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ছবি ও বক্তব্য।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের একটি ব্যানারে লেখা আছে, “অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে।”
রানা প্লাজা ধসের পর নিজ দল আওয়ামী লীগের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনার মুখে পড়া সাভারের সংসদ সদস্য মুরাদ জংয়ের ছবিসহ প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “আমি ছিলাম, আমি আছি, আমি থাকব।”
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহরা খাতুনের ছবিসহ ব্যানার ও পোস্টারে বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ উন্নয়নের সাফল্যের কথা লেখা দেখা যায়।
ঢাকার আরেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান খান কামালের ছবিসহ পোস্টারে লেখা ছিল,“জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন।”
Post a Comment