পাবনা প্রতিনিধি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
ফেইসবুকে মহানবীকে কটূক্তি করার অভিযোগ তুলে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় একটি হিন্দু বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।একই ধরনের অভিযোগ তুলে এক বছর আগে কক্সবাজারে বৌদ্ধ বসতিতে হামলার পর শনিবার জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর নির্বাচনী এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
কক্সবাজারের ঘটনায়ও জামায়াতের ইন্ধন ছিল বলে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সাঁথিয়ার বনগ্রাম বাজারের পাশের গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্র রাজীব সাহার ফেইসবুক পাতায় মহানবীকে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শনিবার রাতে ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
এরপর রাজীবের বাড়ি ভাংচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে বনগ্রাম বাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি ও দোকানও ভাংচুর হয়।
শনিবার দুপুরে স্থানীয়রা ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ সেখানে যায় এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে মহাসড়ক থেকে তাদের তুলে দেয়।
পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মিরাজ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মিয়াপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রাজীব ওই এলাকার বাবুল সাহার ছেলে। তারা দুজনই এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানান এসপি।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর এলাকায় সংঘটিত এই ঘটনাটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানান মিরাজ উদ্দিন।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বনগ্রাম এলাকার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজীবের বাড়িতে আগুন দেয়ার কিছুক্ষণ পর তার ঘরেও আগুন দেয়া হয়। পরে স্থানীয় কয়েকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে।
“আজ রাতে কালীপূজা, তাই পূজার সমস্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল, কিন্তু হামলার সময় স্থানীয় কালী মন্দিরে ভাংচুর চালানো হয় এবং প্রতিমা ভেঙে ফেলা হয়।”
এলাকার অন্তত ১০টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই ব্যক্তি।
হামলাকারী কাউকে চেনেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ““তারা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সমর্থক। আমি এলাকায় তাদের মিটিং-মিছিল করতে দেখেছি, তবে কারো নাম বলতে পারব না।”
‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন.” জানিয়ে এই বিষয়ে আর কিছু বলতে চাননি তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সাঁথিয়ার বনগ্রাম বাজারের পাশের গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্র রাজীব সাহার ফেইসবুক পাতায় মহানবীকে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শনিবার রাতে ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
এরপর রাজীবের বাড়ি ভাংচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে বনগ্রাম বাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি ও দোকানও ভাংচুর হয়।
শনিবার দুপুরে স্থানীয়রা ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ সেখানে যায় এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে মহাসড়ক থেকে তাদের তুলে দেয়।
পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মিরাজ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মিয়াপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রাজীব ওই এলাকার বাবুল সাহার ছেলে। তারা দুজনই এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানান এসপি।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর এলাকায় সংঘটিত এই ঘটনাটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানান মিরাজ উদ্দিন।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বনগ্রাম এলাকার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজীবের বাড়িতে আগুন দেয়ার কিছুক্ষণ পর তার ঘরেও আগুন দেয়া হয়। পরে স্থানীয় কয়েকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে।
“আজ রাতে কালীপূজা, তাই পূজার সমস্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল, কিন্তু হামলার সময় স্থানীয় কালী মন্দিরে ভাংচুর চালানো হয় এবং প্রতিমা ভেঙে ফেলা হয়।”
এলাকার অন্তত ১০টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই ব্যক্তি।
হামলাকারী কাউকে চেনেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ““তারা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সমর্থক। আমি এলাকায় তাদের মিটিং-মিছিল করতে দেখেছি, তবে কারো নাম বলতে পারব না।”
‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন.” জানিয়ে এই বিষয়ে আর কিছু বলতে চাননি তিনি।
Post a Comment