বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেফতারের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার : আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, ওই বিচারপতি দেশের বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছেন, দেশকে এক মারাত্মক সংকটে নিপতিত করেছেন। হরতাল সমর্থনে সুপ্রিমকোর্টে আয়োজিত আইনজীবী সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের বর্তমান সরকার একটা অবৈধ ও অসাংবিধানিক সরকার। ২৭ অক্টোবরের পর এ সরকার অবৈধ হয়ে গেছে। তারা বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কথায় কথায় বলেন- বাংলাদেশে অসাংবিধানিক সরকার আনতে দেবেন না। অথচ এখন যে সরকার আছে তা একটা অবৈধ সরকার, একটা অসাংবিধানিক সরকার।
গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান মাঝার গেটে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে কোর্ট প্রাঙ্গণে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে মিছিল করেন দুই শতাধিক আইনজীবী। আইনজীবীদের মিছিলটি প্রেসক্লাবে যেতে চাইলে কোর্টের মাঝার গেটে বাধা দেয় পুলিশ। এখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে আইনজীবীরা কোর্টের প্রধান গেট দিয়ে রাজপথে যেতে চাইলে সেখানেও পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন তারা।
সমাবেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, দেশ একটা মহা সংকটের মুখোমুখি। দেশের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা, দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন- সবকিছুই ধ্বংসের মুখোমুখি। আর এ ধ্বংসের মুখোমুখি করেছেন এক ব্যক্তি। কে সেই ব্যক্তি? যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এই দেশকে ধ্বংস করার জন্য গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য আইনের শাসনকে ধ্বংস করার জন্য বর্তমানে এই অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। আর তার সাথে সহযোগী হিসাবে সবচাইতে বেশি কাজ যিনি করেছেন তিনি হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় বিচারপতি খায়রুল হক নিজের দেয়া সংক্ষিপ্ত রায় পরিবর্তন করে দিয়েছেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাবেক এ প্রধান বিচারপতির একটি চুক্তি হয়েছিল।’ রফিকুল ইসলাম মিয়া আরো বলেন, বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তাই তিনি অবৈধভাবে এমপি আছেন। সেজন্য মন্ত্রী হিসাবে তার দায়িত্ব পালনও অবৈধ।
ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, শেখ হাসিনা বার বার বলেন- বাংলাদেশে অসাংবিধানিক সরকার আনতে দেবেন না। শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, এখন যে সরকার আছে সেটা কোন সরকার। এটা একটা অবৈধ সরকার, এটা একটা অসাংবিধানিক সরকার। তিনি প্রশ্ন রাখেন, গণতন্ত্র কি আছে বাংলাদেশে? মিছিল করা, মিটিং করা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু তাতে পুলিশ দিয়ে বাধা দিচ্ছে বর্তমান সরকার। সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সাংবিধানিক সরকার না, গণমানুষের সরকার না। এই সরকার স্বৈরাচারী সরকার, এ সরকার নির্যাতনকারী সরকার।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন বলেন, ২৭ অক্টোবরের পর আমরা আর কার কাছে দাবি করব? দাবি করার আর কোনো জায়গা নাই। এখন একমাত্র দাবি হচ্ছে জনগণের কাছে। জনগণকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আপনারা এগিয়ে আসুন, এ অবৈধ সরকারের কোনো আদেশ আর আমরা মানব না। তিনি বলেন, সাবেক বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেফতার করতে হবে। কারণ, ওই বিচারপতি দেশের বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছেন, দেশকে এক মারাত্মক সংকট নিপতিত করেছে।
মিছিল ও সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বারের সহসভাপতি এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন মিঠু, অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট আশরাফউজ্জামান, অ্যাডভোকেট ফিরোজ শাহ, বারের সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান ও অ্যাডভোকেট রফিকুল হক তালুকদার রাজা, কোষাধ্যক্ষ রবিউল করিম, অ্যাডভোকেট মির্জা আল মাহমুদ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
স্টাফ রিপোর্টার : আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, ওই বিচারপতি দেশের বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছেন, দেশকে এক মারাত্মক সংকটে নিপতিত করেছেন। হরতাল সমর্থনে সুপ্রিমকোর্টে আয়োজিত আইনজীবী সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের বর্তমান সরকার একটা অবৈধ ও অসাংবিধানিক সরকার। ২৭ অক্টোবরের পর এ সরকার অবৈধ হয়ে গেছে। তারা বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কথায় কথায় বলেন- বাংলাদেশে অসাংবিধানিক সরকার আনতে দেবেন না। অথচ এখন যে সরকার আছে তা একটা অবৈধ সরকার, একটা অসাংবিধানিক সরকার।
গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান মাঝার গেটে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে কোর্ট প্রাঙ্গণে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে মিছিল করেন দুই শতাধিক আইনজীবী। আইনজীবীদের মিছিলটি প্রেসক্লাবে যেতে চাইলে কোর্টের মাঝার গেটে বাধা দেয় পুলিশ। এখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে আইনজীবীরা কোর্টের প্রধান গেট দিয়ে রাজপথে যেতে চাইলে সেখানেও পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন তারা।
সমাবেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, দেশ একটা মহা সংকটের মুখোমুখি। দেশের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা, দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন- সবকিছুই ধ্বংসের মুখোমুখি। আর এ ধ্বংসের মুখোমুখি করেছেন এক ব্যক্তি। কে সেই ব্যক্তি? যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এই দেশকে ধ্বংস করার জন্য গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য আইনের শাসনকে ধ্বংস করার জন্য বর্তমানে এই অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। আর তার সাথে সহযোগী হিসাবে সবচাইতে বেশি কাজ যিনি করেছেন তিনি হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় বিচারপতি খায়রুল হক নিজের দেয়া সংক্ষিপ্ত রায় পরিবর্তন করে দিয়েছেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাবেক এ প্রধান বিচারপতির একটি চুক্তি হয়েছিল।’ রফিকুল ইসলাম মিয়া আরো বলেন, বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তাই তিনি অবৈধভাবে এমপি আছেন। সেজন্য মন্ত্রী হিসাবে তার দায়িত্ব পালনও অবৈধ।
ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, শেখ হাসিনা বার বার বলেন- বাংলাদেশে অসাংবিধানিক সরকার আনতে দেবেন না। শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, এখন যে সরকার আছে সেটা কোন সরকার। এটা একটা অবৈধ সরকার, এটা একটা অসাংবিধানিক সরকার। তিনি প্রশ্ন রাখেন, গণতন্ত্র কি আছে বাংলাদেশে? মিছিল করা, মিটিং করা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু তাতে পুলিশ দিয়ে বাধা দিচ্ছে বর্তমান সরকার। সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সাংবিধানিক সরকার না, গণমানুষের সরকার না। এই সরকার স্বৈরাচারী সরকার, এ সরকার নির্যাতনকারী সরকার।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন বলেন, ২৭ অক্টোবরের পর আমরা আর কার কাছে দাবি করব? দাবি করার আর কোনো জায়গা নাই। এখন একমাত্র দাবি হচ্ছে জনগণের কাছে। জনগণকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আপনারা এগিয়ে আসুন, এ অবৈধ সরকারের কোনো আদেশ আর আমরা মানব না। তিনি বলেন, সাবেক বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেফতার করতে হবে। কারণ, ওই বিচারপতি দেশের বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছেন, দেশকে এক মারাত্মক সংকট নিপতিত করেছে।
মিছিল ও সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বারের সহসভাপতি এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন মিঠু, অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট আশরাফউজ্জামান, অ্যাডভোকেট ফিরোজ শাহ, বারের সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান ও অ্যাডভোকেট রফিকুল হক তালুকদার রাজা, কোষাধ্যক্ষ রবিউল করিম, অ্যাডভোকেট মির্জা আল মাহমুদ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
Post a Comment