বর্তমান সময়ে ল্যাপটপ এর ব্যবহার খুবি বেড়ে গেছে। অনেকেই জানতে চান, কোন ল্যাপটপ টি ভালো হবে, কিভাবে তার সখের ল্যাপটপ টির আয়ু বাড়ানো যায়। আবার অনেকে জানতে চান কিভাবে ল্যাপটপ এর ব্যাটারির আয়ু বাড়ানো যায়। আজকে আমি আপনাদের সাথে ল্যাপটপ সম্পর্কিত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। বেশির ভাগ বিষয়ই আপনাদের জানা। কিন্তু জানা জিনিষ আবার জানতে কি কোন ক্ষতি আছে?
আপনি কি নতুন ল্যাপটপ কিনছেন ?
যদি সাধারন অফিস সম্পর্কিত কাজে। গান শোনা, মুভি দেখা, ইন্টারনেট সার্ফিং… ইত্যাদি। তাহলে একটু কম ক্ষমতার ল্যাপটপ হলেই আপনার চলবে। তবে যেহেতু আপনি ঠিক করেছেন যে আপনি মুভিও দেখতে চান, তবে একটু বড় স্ক্রীন এর ল্যাপটপ হলে ভালো হয়।
আবার আপনার বেশির ভাগ সময় যদি অফিস এর বাহিরে কাজ করতে হয়, এবং ল্যাপটপ নিতে চাচ্ছি, অফিস এর কাজ করার জন্যই তবে, ল্যাপটপ কেনার সময় দেখে নিন আপনার ল্যাপটপ টির ব্যাটারি ব্যাকআপ কতক্ষণ দেয়। সাধারনত ল্যাপটপ এর ব্যাটারি লিথিয়াম আইওন এর হয়ে থাকে, এবং যত বেশি সেল থাকবে ব্যাটারিতে, ব্যাটারির ব্যাকআপ ততটাই বেশি হবে। (এখানে একটি কথা আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনার ল্যাপটপ টির বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এর উপর কিন্তু ব্যাটারির ব্যাকআপ নির্ভিরশীল। যেমন এখনকার নেটবুক গুলো তে দেখবেন ইন্টেল এর অ্যাটম প্রসেসর যুক্ত। অ্যাটম প্রসেসর গুলো খুবি কম পরিমান শক্তি ব্যবহার করে থাকে।)
এখন, আপনি যদি ভাবেন যে আপনি ল্যাপটপ এ গেম খেলতে আগ্রহী তবে আপনার দরকার হবে একটি হাই এন্ড এর ল্যাপটপ। কেনার আগে দেখে নিন, ল্যাপটপ টির স্ক্রীন, প্রসেসর, র্যাম এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন আপনার ল্যাপটপ টিতে যে গ্রফিক্স প্রসেসর বসানো আছে, তার অবস্তা কি ? এবং গ্রাফিক্স মেমোরি কি শেয়ারড নাকি ডেডিকেটেড ? শারেদ মেমোরি আপনার র্যাম এর কিছু অংশ নিয়ে তা গ্রাফিক্স মেমোরি হিসেবে কাজ চালাবে। কিন্তু ডেডিকেটেড মেমোরি আপনার র্যাম থেকে কোন অংশ শেয়ার করবে না।
বিঃদ্রঃ আমি এমন অনেক কে দেখেছি, যারা প্রথমে বলেন যে শুধু মাত্র অফিস এর কাজের জন্য ল্যাপটপ নিচ্ছেন, কিন্তু পরে আমাকেই আবার শুনতে হয়, কি সঞ্চয় ভাই, কি ল্যাপটপ কিনে দিলেন, বাচ্চা তো গেম খেলতে পারছে না … বলেন তো ভাই আমি কই যাই !!!! ??? !!!
আপনার হঠাৎ মনে হলো, আজকেই ল্যাপটপ কিনে আনবো, আর আপনি কম্পিউটার সিটি অথবা অন্য কোন কম্পিউটার মার্কেট থেকে গিয়েই একটি ল্যাপটপ কিনে ফেললেন !!! ভাই, এ কাজ টি না করার জন্য আপনাদের কে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। একটি কাজ করতে পারেন, মার্কেটে যান, ঘুরে দেখুন, কিছু ল্যাপটপ এর মডেল পছন্দ করে ফেলুন (আপনার বাজেটের মধ্যে), এবং বাসাতে ফিরে, ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখুন। বিভিন্ন রিভিউ তে দেখবেন, ল্যাপটপ গুলো যারা ব্যবহার করেছেন, তাদের বিভিন্ন মতামত আছে। সেগুলো কে মাথা তে রেখে, আপনার ল্যাপটপ টি পছন্দ করুন, তার পরে কিনে ফেলুন।
বিঃদ্রঃ ভাই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সকল সাইটের, সকল মানুষের রিভিউ কিন্তু আবার বিশ্বাস করতে যাবেন না। এতে আপনি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবেন। নেটে এ এমন অনেকে এমন কিছু রিভিউ দেন, যা আদোও সত্য নয়… সুতরাং … সাবধান …
ল্যাপটপ কেনার আগে, দেখে নিন, আপনি যে ব্রান্ড এর ল্যাপটপ টি কিনছেন, তার ওয়ারেন্টির অবস্তা কি? আমার জানা মতে আসুস ছাড়া আর সবাই এক বছরের ওয়ারেন্টি দেয়। কিন্তু আসুস দেয় দুই বছরের।
এছাড়াও আরো একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে, আপনার ল্যাপটপ টিতে ইনপুট/ অউতপুট পোর্ট এর কি অবস্তা ? বর্তমান সময়ের ল্যাপটপ গুলো তে নতুন কিছু পোর্ট যুক্ত হয়েছে, এবং কিছু পোর্ট বাদ পড়ে গেছে। যুক্ত হয়েছে, এইচ ডি এম আই, ই- সাটা ইত্যাদি। কিন্তু বাদ পড়ে গেছে, কম পোর্ট, সিরিয়াল পোর্ট ইত্যাদি।
কেনার আগে দেখে নিন কত গুলো ইউএসবি পোর্ট আছে আপনার ল্যাপটপ টিতে, এবং এর লোকেশান গুলোও। কেননা আমি নিজেই এই সমস্যাতে পড়েছি। আমার ল্যাপটপ টিতে মাত্র তিনটি ইউএসবি পোর্ট আছে।
তো …… আপনি আপনার পছন্দের ল্যাপটপ টি কিনে ফেললেন। এখন ? আপনার ল্যাপটপ টিতে নিয়মিত কিছু কাজ করা উচিত। আসুন সেগুলো একবার দেখে নেই। আমরা এই নিয়মিত কাজ গুলো কে দুই ভাগে ভাগ করতে পারি।
১. সাপ্তাহিক।
২. মাসিক।
সাপ্তাহিক কাজের মধ্যে পড়বে, অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করা, পার্সোনাল ফায়ার ওয়াল আপডেট করা, এবং ল্যাপটপ এ থাকা আপনার খুবি জরুরি ফাইল গুলোর ব্যাকআপ করে নেয়া।
মাসিক কাজের মধ্যে আপনি রাখতে পারেন,
২.১ হার্ডডিস্ক পরিষ্কার করা (খালি করা)।
২.২ হার্ডডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট করা।
২.৩ ল্যাপটপ পরিষ্কার করা।
২.৪ হার্ডডিস্ক এর সম্পূর্ন ব্যাকআপ করে নেয়া।
২.৫ সফটওয়্যার আপডেট করে নেয়া।
আসুন এ কাজ গুলো নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক,
২.১ হার্ডডিস্ক পরিষ্কার করা (খালি করা):
অনেক সময়, আমাদের হার্ডডিস্ক এ আমরা বিভিন্ন ফাইল জমিয়ে রাখি, যা পরবর্তিতে কোন কাজে লাগে না। আবার অনেক সময় এমন হয় যে, ল্যাপটপ এ আপনি কিছু কাজ করলেন, এবং সেই কাজ টির সম্পর্কিত অন্যান্য ফাইল কে মুছে দিতে ভুলে গেলেন। এভাবে আপনার ল্যাপটপ টির হার্ডডিস্ক এ অনেক ফাইল জমে গেছে। এক মাস পর পর এই ধরনের ফাইল গুলো কে মুছে ফেলাই ভালো। কেননা আপনার হার্ডডিস্ক এ যত বেশি পরিমাণ ফাঁকা জায়গা থাকবে। আপনার হার্ডডিস্ক ঠিক ততটাই সাচ্ছন্দে কাজ করতে পারবে।
২.২ হার্ডডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট করাঃ
অন্যাতম একটি কাজ। আপনি বিভিন্ন সময় আপনার হার্ডডিস্ক এর বিভিন্ন জায়গা ব্যবহার করেছেন(আপনি করেন নি, কিন্তু আপনার ল্যাপটপ করেছে… হেঃ হেঃ হেঃ … একি কথা , তাই না ??), ডিফ্রাগমেন্টের মাধ্যমে, ল্যাপটপ এর হার্ডডিস্ক তার ডেটা ইনডেক্স গুলো নতুন করে সাজিয়ে নিতে পারে।
এটা ঠিক যে হার্ডডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট এর জন্য অনেক সময় এর প্রয়োজন। কিন্তু প্রতি মাসে অন্তত একটি বারের জন্য হলেও এই সময় টুকু আপনাকে বের করে আনতে হবে। এতে করে ল্যাপটপ এর হার্ডডিস্ক এ থাকা প্রোগ্রাম গুলো সহজে যেমন রান করতে পারবে, ঠিক তেমনি ভাবে আপনার ল্যাপটপটি তার হার্ডডিস্ক স্পেস টুকু খুব ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারবে।
২.৩ ল্যাপটপ পরিষ্কার করাঃ
এ সম্পর্কে আমি আজকে কিছুই বলতে যাচ্ছি না। কেননা আমার পরবর্তি পোস্ট এ ল্যাপটপ পরিষ্কার করার ব্যাপারে আমি আপনাদের কাছে বিশদ ভাবে আলোচনা করব।
২.৪ হার্ডডিস্ক এর সম্পূর্ন ব্যাকআপ করে নেয়াঃ
ল্যাপটপ যেহেতু বহন যোগ্য, তাই এটা হারিয়ে ফেলবার সম্ভাবনা কে কোন ভাবেই ছোট করে দেখা উচিত নয়। আবার কম্পিউটার মাত্রই তা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থেকেই যায়। মূলত এই বিষয় গুলোকে মাথায় রেখেই আপনার উচিত হবে, আপনার ল্যাপটপ টির সম্পূর্ন হার্ডডিস্ক এর মাসিক ব্যাকআপ করে রাখা।
২.৫ সফটওয়্যার আপডেট করে নেয়াঃ
অনেক সফটওয়্যার আছে, যেগুলোর প্রায় প্রতি মাসেই কিছু হট- ফিক্স বা আপডেট ইন্টারনেট এ সফটওয়্যার কোম্পানি গুলো ছেড়ে দেয়, যা সফটওয়্যার টির বিভিন্ন ধরনের বাগ এবং সফটওয়্যার টিকে ভালো ভাবে কাজ করাবার জন্য খুবি প্রয়োজনীয়। এগুলো মাসে একবার চেক করে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
আজ তাহলে এ পর্যন্তই থাক। আমার আগামী পোস্ট এ ইনশাল্লাহ, কিভাবে আপনার ল্যাপটপ টিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন, এ নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
পোস্ট টি পড়ে যদি আপনারা সামান্য ভাবেও উপকৃত হন, তবেই আমার কষ্ট সর্থক হবে বলে মনে করব।
যদি সাধারন অফিস সম্পর্কিত কাজে। গান শোনা, মুভি দেখা, ইন্টারনেট সার্ফিং… ইত্যাদি। তাহলে একটু কম ক্ষমতার ল্যাপটপ হলেই আপনার চলবে। তবে যেহেতু আপনি ঠিক করেছেন যে আপনি মুভিও দেখতে চান, তবে একটু বড় স্ক্রীন এর ল্যাপটপ হলে ভালো হয়।
আবার আপনার বেশির ভাগ সময় যদি অফিস এর বাহিরে কাজ করতে হয়, এবং ল্যাপটপ নিতে চাচ্ছি, অফিস এর কাজ করার জন্যই তবে, ল্যাপটপ কেনার সময় দেখে নিন আপনার ল্যাপটপ টির ব্যাটারি ব্যাকআপ কতক্ষণ দেয়। সাধারনত ল্যাপটপ এর ব্যাটারি লিথিয়াম আইওন এর হয়ে থাকে, এবং যত বেশি সেল থাকবে ব্যাটারিতে, ব্যাটারির ব্যাকআপ ততটাই বেশি হবে। (এখানে একটি কথা আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনার ল্যাপটপ টির বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এর উপর কিন্তু ব্যাটারির ব্যাকআপ নির্ভিরশীল। যেমন এখনকার নেটবুক গুলো তে দেখবেন ইন্টেল এর অ্যাটম প্রসেসর যুক্ত। অ্যাটম প্রসেসর গুলো খুবি কম পরিমান শক্তি ব্যবহার করে থাকে।)
এখন, আপনি যদি ভাবেন যে আপনি ল্যাপটপ এ গেম খেলতে আগ্রহী তবে আপনার দরকার হবে একটি হাই এন্ড এর ল্যাপটপ। কেনার আগে দেখে নিন, ল্যাপটপ টির স্ক্রীন, প্রসেসর, র্যাম এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন আপনার ল্যাপটপ টিতে যে গ্রফিক্স প্রসেসর বসানো আছে, তার অবস্তা কি ? এবং গ্রাফিক্স মেমোরি কি শেয়ারড নাকি ডেডিকেটেড ? শারেদ মেমোরি আপনার র্যাম এর কিছু অংশ নিয়ে তা গ্রাফিক্স মেমোরি হিসেবে কাজ চালাবে। কিন্তু ডেডিকেটেড মেমোরি আপনার র্যাম থেকে কোন অংশ শেয়ার করবে না।
বিঃদ্রঃ আমি এমন অনেক কে দেখেছি, যারা প্রথমে বলেন যে শুধু মাত্র অফিস এর কাজের জন্য ল্যাপটপ নিচ্ছেন, কিন্তু পরে আমাকেই আবার শুনতে হয়, কি সঞ্চয় ভাই, কি ল্যাপটপ কিনে দিলেন, বাচ্চা তো গেম খেলতে পারছে না … বলেন তো ভাই আমি কই যাই !!!! ??? !!!
আপনার হঠাৎ মনে হলো, আজকেই ল্যাপটপ কিনে আনবো, আর আপনি কম্পিউটার সিটি অথবা অন্য কোন কম্পিউটার মার্কেট থেকে গিয়েই একটি ল্যাপটপ কিনে ফেললেন !!! ভাই, এ কাজ টি না করার জন্য আপনাদের কে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। একটি কাজ করতে পারেন, মার্কেটে যান, ঘুরে দেখুন, কিছু ল্যাপটপ এর মডেল পছন্দ করে ফেলুন (আপনার বাজেটের মধ্যে), এবং বাসাতে ফিরে, ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখুন। বিভিন্ন রিভিউ তে দেখবেন, ল্যাপটপ গুলো যারা ব্যবহার করেছেন, তাদের বিভিন্ন মতামত আছে। সেগুলো কে মাথা তে রেখে, আপনার ল্যাপটপ টি পছন্দ করুন, তার পরে কিনে ফেলুন।
বিঃদ্রঃ ভাই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সকল সাইটের, সকল মানুষের রিভিউ কিন্তু আবার বিশ্বাস করতে যাবেন না। এতে আপনি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবেন। নেটে এ এমন অনেকে এমন কিছু রিভিউ দেন, যা আদোও সত্য নয়… সুতরাং … সাবধান …
ল্যাপটপ কেনার আগে, দেখে নিন, আপনি যে ব্রান্ড এর ল্যাপটপ টি কিনছেন, তার ওয়ারেন্টির অবস্তা কি? আমার জানা মতে আসুস ছাড়া আর সবাই এক বছরের ওয়ারেন্টি দেয়। কিন্তু আসুস দেয় দুই বছরের।
এছাড়াও আরো একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে, আপনার ল্যাপটপ টিতে ইনপুট/ অউতপুট পোর্ট এর কি অবস্তা ? বর্তমান সময়ের ল্যাপটপ গুলো তে নতুন কিছু পোর্ট যুক্ত হয়েছে, এবং কিছু পোর্ট বাদ পড়ে গেছে। যুক্ত হয়েছে, এইচ ডি এম আই, ই- সাটা ইত্যাদি। কিন্তু বাদ পড়ে গেছে, কম পোর্ট, সিরিয়াল পোর্ট ইত্যাদি।
কেনার আগে দেখে নিন কত গুলো ইউএসবি পোর্ট আছে আপনার ল্যাপটপ টিতে, এবং এর লোকেশান গুলোও। কেননা আমি নিজেই এই সমস্যাতে পড়েছি। আমার ল্যাপটপ টিতে মাত্র তিনটি ইউএসবি পোর্ট আছে।
তো …… আপনি আপনার পছন্দের ল্যাপটপ টি কিনে ফেললেন। এখন ? আপনার ল্যাপটপ টিতে নিয়মিত কিছু কাজ করা উচিত। আসুন সেগুলো একবার দেখে নেই। আমরা এই নিয়মিত কাজ গুলো কে দুই ভাগে ভাগ করতে পারি।
১. সাপ্তাহিক।
২. মাসিক।
সাপ্তাহিক কাজের মধ্যে পড়বে, অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করা, পার্সোনাল ফায়ার ওয়াল আপডেট করা, এবং ল্যাপটপ এ থাকা আপনার খুবি জরুরি ফাইল গুলোর ব্যাকআপ করে নেয়া।
মাসিক কাজের মধ্যে আপনি রাখতে পারেন,
২.১ হার্ডডিস্ক পরিষ্কার করা (খালি করা)।
২.২ হার্ডডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট করা।
২.৩ ল্যাপটপ পরিষ্কার করা।
২.৪ হার্ডডিস্ক এর সম্পূর্ন ব্যাকআপ করে নেয়া।
২.৫ সফটওয়্যার আপডেট করে নেয়া।
আসুন এ কাজ গুলো নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক,
২.১ হার্ডডিস্ক পরিষ্কার করা (খালি করা):
অনেক সময়, আমাদের হার্ডডিস্ক এ আমরা বিভিন্ন ফাইল জমিয়ে রাখি, যা পরবর্তিতে কোন কাজে লাগে না। আবার অনেক সময় এমন হয় যে, ল্যাপটপ এ আপনি কিছু কাজ করলেন, এবং সেই কাজ টির সম্পর্কিত অন্যান্য ফাইল কে মুছে দিতে ভুলে গেলেন। এভাবে আপনার ল্যাপটপ টির হার্ডডিস্ক এ অনেক ফাইল জমে গেছে। এক মাস পর পর এই ধরনের ফাইল গুলো কে মুছে ফেলাই ভালো। কেননা আপনার হার্ডডিস্ক এ যত বেশি পরিমাণ ফাঁকা জায়গা থাকবে। আপনার হার্ডডিস্ক ঠিক ততটাই সাচ্ছন্দে কাজ করতে পারবে।
২.২ হার্ডডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট করাঃ
অন্যাতম একটি কাজ। আপনি বিভিন্ন সময় আপনার হার্ডডিস্ক এর বিভিন্ন জায়গা ব্যবহার করেছেন(আপনি করেন নি, কিন্তু আপনার ল্যাপটপ করেছে… হেঃ হেঃ হেঃ … একি কথা , তাই না ??), ডিফ্রাগমেন্টের মাধ্যমে, ল্যাপটপ এর হার্ডডিস্ক তার ডেটা ইনডেক্স গুলো নতুন করে সাজিয়ে নিতে পারে।
এটা ঠিক যে হার্ডডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট এর জন্য অনেক সময় এর প্রয়োজন। কিন্তু প্রতি মাসে অন্তত একটি বারের জন্য হলেও এই সময় টুকু আপনাকে বের করে আনতে হবে। এতে করে ল্যাপটপ এর হার্ডডিস্ক এ থাকা প্রোগ্রাম গুলো সহজে যেমন রান করতে পারবে, ঠিক তেমনি ভাবে আপনার ল্যাপটপটি তার হার্ডডিস্ক স্পেস টুকু খুব ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারবে।
২.৩ ল্যাপটপ পরিষ্কার করাঃ
এ সম্পর্কে আমি আজকে কিছুই বলতে যাচ্ছি না। কেননা আমার পরবর্তি পোস্ট এ ল্যাপটপ পরিষ্কার করার ব্যাপারে আমি আপনাদের কাছে বিশদ ভাবে আলোচনা করব।
২.৪ হার্ডডিস্ক এর সম্পূর্ন ব্যাকআপ করে নেয়াঃ
ল্যাপটপ যেহেতু বহন যোগ্য, তাই এটা হারিয়ে ফেলবার সম্ভাবনা কে কোন ভাবেই ছোট করে দেখা উচিত নয়। আবার কম্পিউটার মাত্রই তা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থেকেই যায়। মূলত এই বিষয় গুলোকে মাথায় রেখেই আপনার উচিত হবে, আপনার ল্যাপটপ টির সম্পূর্ন হার্ডডিস্ক এর মাসিক ব্যাকআপ করে রাখা।
২.৫ সফটওয়্যার আপডেট করে নেয়াঃ
অনেক সফটওয়্যার আছে, যেগুলোর প্রায় প্রতি মাসেই কিছু হট- ফিক্স বা আপডেট ইন্টারনেট এ সফটওয়্যার কোম্পানি গুলো ছেড়ে দেয়, যা সফটওয়্যার টির বিভিন্ন ধরনের বাগ এবং সফটওয়্যার টিকে ভালো ভাবে কাজ করাবার জন্য খুবি প্রয়োজনীয়। এগুলো মাসে একবার চেক করে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
আজ তাহলে এ পর্যন্তই থাক। আমার আগামী পোস্ট এ ইনশাল্লাহ, কিভাবে আপনার ল্যাপটপ টিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন, এ নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
পোস্ট টি পড়ে যদি আপনারা সামান্য ভাবেও উপকৃত হন, তবেই আমার কষ্ট সর্থক হবে বলে মনে করব।
Post a Comment